ধৃতিরূপা দাস-এর দুটি কবিতা
জগডুমুর
১
হাফপ্যান্টের কাপড় যদি
আরামদায়ক না হয় দারুণ
খিস্তি মারতে ইচ্ছে করে
নিষ্ঠ পাথর চুষতে চুষতে
ইচ্ছে করার ডাল পাওয়া যায়
অতঃপর সে ডালের ডুমুর
প্যান্টে পকেট দুই থেকে এক
পাথর ভাঙার আওয়াজ শুধু
শুনতে পাইনা এই যা দোষের
শ্রবণ ভাঙছে, শ্রাবণ-কোশের
অদার্শনিক অন্ধ চরা
এখন মাটির বাহ্য সাজায়
সজ্জাটি তার স্বভাবজাত
হাফপ্যান্টের ছন্দ মেনে
ন্যস্ত পুচ্ছ খোয়াব দেখেন
তাঁর খোয়াবের খাইগো ডুমুর
২
কাচ ভাঙা
অব্দি কেউ
এই দহে
স্থল পেয়ে
টলছিল
কাচ ভাঙার
অপেক্ষায়।
কাব্যে নীল
নখগুলি
শব্দভর
জন্মানোর
ইঙ্গিতে
টলছিল।
এক দুটি
ডিম কৃমির
তার ছায়ে
বর্ষণে ট্যাংরা মাছ...
সম্বলের
এই পুঁজি
রইবে তো? হেই
ঠাকুর!
হেই পিতল!
পথ ছাড়ো।
নির্বাণের
হিমসাগর
চমকে দিক
পথ ছাড়ুক
এইটুকু
নীল গ্রহের
নীল আষাঢ় প্রস্তুতির
ডিম ব্যথায়
অন্তহীন
ব্যর্থ হয় ব্যর্থ হয়
লিঙ্গহীন
ক্ষেত্রফল
পক্ষহীন ব্যর্থতা
নির্ণীত এই ফুলের
এই আলোর
কাচ ভাঙা
অব্দি নেয়
বৃক্ষুকে?
নেয় যদি এই কৃষির
জগডুমুর
নিক প্রভু
নিক প্রভুর
কাচ দেহ
ফল ঝরার
কাচ শরীর
তুলনা নেই। আরো লেখা চাই। আরো আরো..
ReplyDelete