অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর দুটি কবিতা
বৃষ্টি এলে, বনস্পতি হাওয়া
নির্বাক ভবিষ্যতের ভেতরে দেখো
তোমার সচল যাতায়াত
আজকাল বৃষ্টি এলে
তুমি হাসো, আমি
বয়ে চলি শ্বাসনালী দিয়ে, আর
জানালা খুলে আসে বনস্পতি হাওয়া
যখন উপাস্য মেঘলা আলোয়
চুল এলিয়ে পড়ে
রেলিং-এ লেগে থাকে
মেঘমল্লার, আর
মনের উচাটনে নক্ষত্রটির
নাম
বর্ণ এবং
আবছা গন্ধ, তখনই
ভাসমান অন্ধকার ছাড়িয়ে আসে
বংশীখণ্ড...
বৃষ্টিস্নাত পা-যুগল
তোমার মনের ভিতর একটি
পাখি উড়ে গেলে
রাত ক্রমশ ভোর হয়
তুমি পটদীপ দ্বারে
কোমরে সাপটা জড়াও
সীতাহার দোলে
কানপাশা ধরে নামে গোধূলি, আর
আমার মনের অবলীলা
তুমি বৃষ্টিস্নাত যদি হোতে
যদি ভিজিয়ে নিতে নিজের পা-যুগল
আমি আলিঙ্গন করতাম, তোমার
কোটিতে ভাঁজ হয়ে বসতাম
গান্ধর্ব ধ্যানে,আর
বিকেল পেরিয়ে পুনর্বসু আসতো
মল্লভুম পথে
দুটি কবিতা পাঠেই একটা ঘোরলাগা মুগ্ধতা তৈরি করে... প্রথম কবিতা বৃষ্টি এলে পড়তে গিয়ে মনে পরে সেই বৈষ্ণব পদ মেঘমল্লার দেখে মন উচাটন আর সেই নক্ষত্রের নাম ,রূপ স্মরণে এলেই বেজে ওঠে অমোঘ সুরধ্বনি ❤️❤️
ReplyDeleteদ্বিতীয় কবিতায় কি অপূর্ব ব্যবহার কাফি ঠাটের অন্তর্গত পটদীপ রাগটির যেন এক অপরূপ নারীর শৃঙ্গারে মুগ্ধ এক গান্ধর্ব পুরুষ !!
খুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল দুটি কবিতা ই
ReplyDelete