পৌলমী ভট্টাচার্য-এর দুটি কবিতা
অলিভ গ্রিন করিডোর
অলিভ গ্রিন করিডোর...
দুপুর নামলে উত্তাপ হয়
ভিঞ্চি সাহেবের হাতের তেলো
মশগুল হয় বাহারি রং―
ক্যানভাসের বুকে নামে রোমাঞ্চকর প্রবাস
গণিত সূত্র মেনে তুলি টানে
ভিজে কাজল...
মন্দাক্রান্তা ছন্দর বেবাক অবয়ব
বিদ্যাপতির পুরুষ পরীক্ষা
মাদল বাজায় কাজল কোণে
গ্রিন করিডোরে মাতে মাতাল স্যাক্সোফোন―
মোনালিসার ঠোঁটে বসেছে ইন্টালেকচুয়াল নন্দন
তত্ত্ব
আদ্রতা পৌঁছায় দুপুরের সেলসিয়াসের পাদদেশে
ইমপ্যাক্ট সচেতনতা জারি হয়
অলিভ করিডোরের উত্তর সীমান্তে।।
ব্রাত্য চাহিদাদের কেমিক্যাল চেঞ্জেস
ঘুমিয়ে পড়া জলে, জল ছিটলে
আমি ভিজি ব্যাকরণ না মেনে
ভিজে চুল বেয়ে অ্যালিটারেশনের চোরাগলি
আমার মগজ কোষে সজীবতার আদ্যপান্ত সমীকরণের ঢং
সিন্দুকে গচ্ছিত নিপুণতায়―
ব্রাত্য চাহিদাদের কেমিক্যাল চেঞ্জেস মঞ্চে
উপস্থাপন করলে
মলিকিউল গুলো মুখোশ ছাড়ে
মনের ভূগোলে আত্মস্থ হয় ছদ্মবেশীর ইতিকথা
শরীর জুড়ে তোমার কঠিনীভবনের লীনতাপ
প্রত্নখনন চলে আমার অনুর্বর পরিধি ঘিরে
আকর্ষণের ঘণীভবন তোমায় ছুঁলে
রহস্যের রসাল রসায়ন বারুদের কারখানায়
ইকোনমি ডায়েরিজ আঙুলের মগডালে,
কেবলি হাসো...
আমার নিরক্ষর করবীতে ভিড় করে
স্বেদন জলের বুঁদবুঁদ
মানদণ্ড হাতে নিয়ে স্টিমুলেটেড হরমোন যাত্রা করে
দূরবর্তী অঞ্চলে
শ্যাওলা ধরে আমার প্রতীক্ষায়।।
ভীষণ সুন্দর লেখা দুটোই ... কিছু উপমা ও শব্দবন্ধ ব্যবহার সত্যিই
ReplyDeleteপ্রশংসনীয় ❤️❤️