সব্যসাচী মজুমদার-এর দুটি কবিতা
লোলুপের লেখা
(১)
এ লেখার মাতৃকামে চাঁদ হয়ে গেছে
সুদূর বৃক্ষেরা। কুয়াশার সামনে এসে
থমকে আছে জলরেখা। মোকামে মোকামে
শুরু হলো পুঞ্জধ্বনি কর্বূরের নামে।
এই দেখো জয় রক্ত পাহাড়ি প্রশ্বাস
অনুলোমলিঙ্গরেত প্রকৃত সন্ত্রাস
হাত ছেঁড়ে চোখ ছেঁড়ে নাভি টেনে খায়
বিষণ্ন ব্রততী যেন শামুকে জড়ায়
ছিন্ন মাথা খুলে নেয় ভরা রাস্তা ঘাটে
আর যোনি ভেপসে ওঠে আমনের মাঠে
এ লেখার মাতৃকাম খুঁড়ছে মীরা বাই
আমি এই ছায়ানটে আমাকে বাঁচাই
তবে যে কুয়াশা আছে ওদিকের ঢালে
তার মতো স্রোত হয় নদী অন্তরালে
(২)
অতীব সরল ধাঁধা রজঃক্ষরা থাক
দূর বাঁওড়ের জলে শটির পরাগ
ভাসে মূদ্রা খুলে আহা শ্যাওলা বিহ্বল
সম্পৃক্ত সারস দেখে ছড়া কাটে জল
জলের ঘরানা জানে জলে ভেসে যায়
চারণের জননাঙ্গ। মিথোজীবিতায়
এই যে রয়েছি আমি― এও এক শোক
প্রতি গল্পে ডাইনি হয় মায়ের আনখ
আমিও তো হৃতলাশে খেজুর খোঁপাটি
যোনি বন্ধ করে তুলি ঝুমুর গোঙানি
দুটো হাঁস আল ঠুকরে শামুক ধরেছে
ক্রেংকারে মাঝে মাঝে বৃন্দাবনী বেজে
উঠে ফের লুপ্ত হয় শীতের নদীতে
তুমি তৃণ। অঙ্গরাগে
সমস্তই দিতে!
No comments:
Post a Comment