লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Tuesday, September 29, 2020

সেলিম মণ্ডল অষ্টম সংখ্যা

সেলিম মণ্ডল-এর কবিতা

 

কবিতাকল্পদ্রুম

 

আমার বই আমার প্রেমিকারা কেনে না

প্রেমিকার মতো কেউ কেউ কেনে

এতে সুবিধা ও অসুবিধা দুই-ই আছে

সুবিধা হল

     প্রেমিকারা কবিতাগুলো পড়ে কষ্ট পায় না

অসুবিধা হল

      প্রেমিকার মতো যারা তারা আনন্দ পায়

                   ভাবে তাদের নিয়ে লেখা হয়েছে এই সমস্ত কবিতা

 

বাবা, আমার সমস্ত বই পড়ে

পড়ে বলেএত ছোটো লিখিস কেন?

                আর এত অশ্লীল শব্দ!

 

আমি এড়িয়ে যায়। বলিএসব আধুনিক কবিতা!

 

মা, আমার কোনো বই পড়ে না

তবে প্রতিবেশীরা যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে

                                  ছেলে কী করে?

বলেবই লেখে, বই

 

আমার দিদিদের আমার বই নিয়ে

                               কোনো আগ্রহ বা উৎসাহ নেই

ওরা শুধু বলেবই লিখে কী হয়?

 

আমার ভাগনে বলেমামা, তুমি সেলিব্রিটি

আমি বলিকেন?

বলেতুমি তো কবিতা লেখো

 

মুনাই, প্রথম বই পড়ার পর দ্বিতীয়বার

                                আমার প্রেমে পড়েছিল

 

এরপর, লিখে ফেলি আরও দুটো বই।

এখন ও বলেআমার কবিতা ভালো লাগে না

 

আমার হাফ প্রেমিকা বই পাওয়ার জন্য

                                      হা-হুতাশ করে

পায় না।

তারপর তার ট্যাবে জমিয়ে রাখা আমার কবিতাগুলো

                                            স্বামীকে পড়িয়ে শোনায়।

ওর স্বামী ভালোমন্দ কিছুই জানায় না।

শুধু জিজ্ঞাসা করেকার কবিতা?

 

আমার সব বন্ধুরা আমার বই কেনে।

মনে মনে পড়ে।

তারপর চুপিচুপি লুকিয়ে রাখে

                             মোটা বইয়ের পিছনের তাকে।

 

আমাদের পাড়ায় কেউ জানে না আমি কবিতা লিখি

আমার ডাক নাম খোকন।

বাড়িতে আমার বইগুলো সবার আড়ালে

                                  যত্নেই থাকে।

 

১০

সিনিয়র কবিদের কাছে বই না পাঠালে

জানতেই পারেন না তরুণ কবির কোনো বই বেরিয়েছে

অথচ, তরুণ কবির প্রোফাইল পিকচারে সবার প্রথমে লাভ বাটনটি ছুঁয়ে দেন

                                                                          একজন প্রবীণ কবি!

অশোক অধিকারী অষ্টম সংখ্যা

অশোক অধিকারী’র কবিতা

 

টিপ

 

সোজা এগোলেই বস্তুপিণ্ডের মতো বালক কাল

একা অমেরুদণ্ডী হয়ে আনুগত্য লিখছে

তাকে নিশানা করে আরো কিছু মানুষ বিক্রম

উপহার দেবে বলে মদ্যপান করেছে

প্রতিটি নিঃশ্বাসের ভেতর সন্দেহ জন্মকাল থেকে

অবসাদ তবু তার লক্ষ্য স্থির হলো না আজও

 

 

পার্টি চিঠি

    

বহিষ্কারের আগে শেষ একবার হাই উঠেছিল

না ঠিক লেনিন-ফেনিনকে নিয়ে নয়

রেশনের চালে পোকা আর দু'টাকা কেজি

চাল নিতে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল তাদেরকে

বাঞ্চোত বলে কাঁচা লঙ্কায় একটা কামড় বসিয়েছিলাম

এখন সব ধরনের লঙ্কাতেই ঝাল কমে গেছে    

আবার কবে বন্যায় পাড় ভেঙে আল আটন

ছাপাবে সেদিন কতদূরে-ঠিক কত

 

বড়ো গাছ ছোটো গাছ

 

হাত বাড়ালেই তাকে ছোঁয়া যেত এককালে

হাতের আঙুলগুলো যখন কচি ছিল যখন

আয় আয় বলে চাঁদকে ডাকত নদীর তাতা

বালিতে রাজা সেজে নকল যুদ্ধ করত তখন

কে জানত সে একদিন কেশবনাগ হবে

সহজ উদাহরণ দিয়ে শিখিয়ে দেবে দুধ আর

জলের মিশ্র অঙ্ক গাছ বড়ো হয়ে গেলে তার আর

ছোট গাছের জন্যে কোনো মায়া থাকে না

হাত বড়ো হয়ে গেলে সে আর হাত থাকে না

 

আত্মজীবনী

 

জলে ঠেলে দিলে উঠতেও লাগে এক দশক

ঠিক ঠেলা পেলে সমুদ্রও তাকে নেয় না

পাশাপাশি দুটো ঢেউ নাচের ছন্দে পৌরাণিক

নেশা ছুটে গেলে এ জীবন বড়ো প্লেটোনিক

 

 

রবীন্দ্রনাথের জুতো

 

জুতো স্পর্শ করে পায়ের ধুলো নিয়েছে যারা

তাদের কেউ কেউ এখন আবীর মাখতে

ভয় পায় যদি আশ্রয় ভাঙার চাঁদা দিতে হয়

অন্ধকারে রঙ ফেরিঅলা পুরিয়া বানায়

মাখার পর সবাই সংস্কৃতে বক্তৃতা করে

রবীন্দ্রনাথের জুতো অনেকগুলো লাগবে

টেণ্ডার দিয়ে দ্রুত বানানো চাই

অনিন্দ্য রায় অষ্টম সংখ্যা

অনিন্দ্য রায়-এর কবিতা

 পুরাণভূম

 

জল আর বসন্তের গ্রহ

শৃগাল সম্রাট আর ধোপাদের নীলের গামলাকে রাষ্ট্র বলা হয়

 

পতাকার জন্য যিনি নিজের চামড়া উৎসর্গ করেছেন

তিনি সন্ত নেউল


প্যাঁচার চোখ না-জ্বেলে বিবাহের মন্ত্র পড়তে কাছিম পারে না


জল আর বসন্তের গ্রহ

এখানে বেড়াতে এসে আমরা হাড়াম-বুড়ি  

                        দু-লক্ষ বছর রয়ে গেছি 

 

কুয়াশার এগারোটি নদী, ওপাশে আগুন, মধ্যে শূন্যের গর্ত

আদিপ্রাণ আর একটি গাই ক্রমাগত বরফ চাটছে

 

জমাট শৈত্য থেকে ক্রমে চুল, মাথা; ক্রমে সম্পূর্ণ শরীর 

বিবাহ, সন্তান

 

শুধু হত্যা নিয়ে পরিকল্পনা সফল করা যায়   

এবং হত্যাও হয়

 

ঠাকুর্দার মাংস ছাড়া ব্রহ্মাণ্ডের মাটি তবে বানানো যেত না  

দাঁত আর হাড়ের পাহাড়, ঘাম-রক্তের সিন্ধু

 

আমরা যে আকাশ দেখি— করোটির ভেতরের দিক    

আর ছেঁড়া-ছেঁড়া মেঘ— ঘিলুর টুকরো

                         চিন্তায় ঘুরপাক খায়   

 

প্রথম হাসির থেকে তৈরি হল আলো

দ্বিতীয় হাসির থেকে জল

পৃথিবী পরের হাসিতে

তারপর ভাগ্য

বিচার

সময়

 

শেষবার হাসলেন তিনি

কেমন করে যে কান্না হয়ে গেল

আর তা থেকে জন্ম নিল

আত্মা

 

মাটি অশক্ত আর ভঙ্গুর

বৃষ্টিতে গলে যায়

 

কাঠের বুদ্ধি নেই

মুখে সুখ-দুঃখের কোনও ভাঁজও পড়ে না   

 

নতুন কিছু খুঁজতে চারদিকের দরজা খুলে গেল 

 

বনবেড়াল, নেকড়ে, টিয়া আর কাক 

      এসে সন্ধান দিল আশ্চর্য ফসলের 

 যব

তার গুঁড়ো দিয়ে শরীর

তার গুঁড়ো দিয়ে খাবার

 

তার গুঁড়ো দিয়ে

শুরু হল দানাশস্যের সভ্যতা

 

আদিস্তম্ভ। ঘিরে উলটোমুখে ঘুরতে ঘুরতে     

দেখা হল

 

: “কী সুন্দর তুমি, হে পুরুষ

 তোমাকে দেখে বুঝি অসম্পূর্ণ আমার শরীর!”   

 

: “নারী, তুমি কী সুন্দর

 আমার শরীরে আছে অতিরিক্ত কিছু!” 

 

:: “এসো, ঘাটতি ও বেশি মিলিয়ে আমরা সমান হই”

 

অথচ সন্তান হাড়গোড়হীন, সমুদ্রে ভেসে যায়

কোথাও জাগে না দ্বীপ

 

ভুল কোথায় তাহলে? 

 

কথা-বলার অধিকারও প্রথমে পুরুষের!

অভিজিৎ দাসকর্মকার অষ্টম সংখ্যা

অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা


লাইন সংখ্যায় কবিতা আরাম 


[১]। আড়মোড়া

 

আমার একটা বটগাছ আজও রয়েছে 

পার্শ্ববর্তী ঝুরো গল্পের গায়ে লেগে রয়েছে নদীর কৌতূহলী  এপাড়

মুখের আড়ালে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। চিহ্ন নেই পরিষ্কার জঙ্ঘার গায়ে

শুধু,

শুদ্ধ উচ্চারণ লেগে আছে বাঙ্কের উপর রাখা বিকেলের অলস আড়মোড়ায়।

 

[২]। শুরুয়াত্

 

যে হাওয়ায় অন্য আ'রেক শুরুয়াত্ টগর হয়ে হেসে ওঠে, তার আর আমার সকালের ওঠার সময়সীমা মাত্র একটি শব্দ

 

[৩]। সোঁদাবাষ্প

 

পড়শির প্রাচীরের অটুট ওপারে পরিচর্যিত হওয়া দুটি করবি ফুল, আর

নৈর্ঋত কোণে বাঁশঝাড় জুড়ে হেটে চলা নদী, নদীর যৌবন, আর ক্ষয়ে আসা রজঃস্বলা;

আস্তে আস্তে মাটির সোঁদাবাষ্প হয়ে আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা... 

 

[৪]। ফেসবুক স্টোরি

 

গাছ থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে ১টি বড়ো ফাঁকা জায়গা

 

গাছের পাতা অনুযায়ী পরবর্তী কয়েক দিন পর আবার কবিতায় আসবে কলিঙ্গ জয়ের কথা, এবং

ফেসবুক স্টোরিতে সাঁটানো থাকবে আপনার আর ১টি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের ক্যাপশন। 

তারপর,

প্রতিদিন ৩:৪০ এর পর ঘড়ি দেখে অনর্গল ওলট-পালট হবে বড়ো, সরু আর সেকেণ্ডের কাঁটা

 

 

[৫]। রঁদেভু

 

জলের কাছে এসে আকাশের মেঘলা জীবনে সংগীতময় স্নিগ্ধ বৃষ্টি এবং 

নৌকাসহ বয়ে চলেছে আমার, নৌকা আর জলের ছায়া।

আমি উত্তম পুরুষকে অন্ধ আঘ্রাণে, প্রতিটিদিনকে মুখরিত হতে দেখেছি গোমেদরঙে

এবার আষাঢ় আসুক সমাজে। সব লেখাই ধান শিস হয়ে অক্ষরিত হোক তোমার শরীরে। আমি শরীরদ্বারে পথ আগলে বসে রয়েছি...

১টিবার রঁদেভুতে এসো

 

 

১টি আঙুল করা কবিতার ৫টি অংশ

 

১। কনিষ্ঠা

 

আমাকে নিস্তরঙ্গভাবে সন্ধিবিচ্ছেদ করেছে বিছানার আর্দ্রতা

নদীপ্রবাহ মিশেছে প্রথম অনুচ্ছেদে...

হয়তো তাই

আমি প্রাতভ্রমণ শব্দটি বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি

 

২। অনামিকা

 

তারপরও

বৃষ্টি দেখিয়েছে চোখের ছায়াবিশেষ্য

আমি দূষণের সম্ভাবনা না দেখেই

স্টিমড-ইলিশ অর্ডার দেওয়ায়

উপরের লাইনগুলোয় কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন হলো না...

 

৩। মধ্যমা

 

আমার মরণদশা লিটমাস পেপারে বিলিয়মান।

এইজন্যই

আকাশবাণীর মহিলামহল-ও আজ বিরহিণী,

তাই

আমাকে অনুসরণ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই...

 

৪। তর্জনী

 

একদম উলঙ্গ ছিলাম না

জ্যোৎস্না আর ক্রিমশন ভায়োলেটের দ্রাব্যতায়

সাওয়ারের নীচে বসে আছি

আমি শরীর ধোয়া বাল্মীকি

কেন-না তখনও

চিনিচিন করে বেরিয়ে আসছে অম্বঋষি গোত্রজাত কান্না...

 

৫। বুড়ো-আঙুল

 

জীবনযাপনে পদবিযুক্ত অভিলাষ

হয়তো

আমার মন্দাক্রান্তা নাম আর মালকোষ প্রিয়

আলজিভে গোলাপি রঙের বসন্তবৌরী পাখিটি

দু-একবার বসন্ত বলে ডাকার পরও

ভাবলাম

তুমি যদি কোনোদিন হলুদ রঙে ঝাপসা দেখো তাই...

Monday, September 28, 2020

গৌরাঙ্গ মণ্ডল অষ্টম সংখ্যা

গৌরাঙ্গ মণ্ডল-এর কবিতা


যেদিন রাতে বৃষ্টি হয়

ছিঁচকে পুকুর

ঘাট থেকে চুরি করে আস্ত সিঁড়ি

লুকোয় বগলে

 

দাঁড়াতে পারি না। ফিরে আসি

চেয়ারের কাছে। বলি, কুঁজো হই, বোসো

তোমারও বিশ্রাম লাগে

 

উঠোনের জলে চুড়িবিক্রেতার মেঘ

বেরঙিন ঝুড়ি উল্টে হাঁকে, চুড়ি লিবে কি গ!

কাউকে বলিনি, কাল

নিজের দিদিকে আমি ঈশ্বরের হাত ধরে পালাতে দেখেছি

 

খোঁপা

 

ফিতে বাঁধলেই জবাগাছ

রামপ্রসাদের গানে খসে পড়ছে

                         আহ্নিকের ফুল

 

কামাতুর পড়ে আছি

রুদ্রমূর্তিটির পায়ে আমি কোনো পাতাল দেখি না

 

 

 

 

ইউনিফর্ম

 

নিরাকার নও। আকার নিয়েও

আমি এতটা ভাবি না

 

বাতিল পৃথিবী, তার সামান্যই দূর

 

কোন পূজারীর হাতে প্রাণ পেয়ে, ইশারায়

হেঁটে যাচ্ছে খড়িমাটি একা একা ইস্কুলের পথে

সায়ক দাস অষ্টম সংখ্যা

সায়ক দাস-এর কবিতা

 

নাস্তিক্যবাদ

 

আমার উচিত ছিল ওই মেয়েটার নদী ধরে চলে যাওয়া দূরে। আমার বংশে মর্যাদার ছাপ যেখানে শেষ হয় তারপর থেকে শুরু হয় নদী খোড়া, নদীর পাড়ে হেঁটে যায় আমার পূর্বপুরুষ। সেই মেয়ের শুকিয়ে যাওয়া নদীর ধার ধরে যে মন্দিরে যাওয়া যায়, সেখানে অধিষ্ঠিত যে দেবী নারীর যৌবন পান করে ধীরে ধীরে উঠেছেন কিশোরী, সেই দেবীর পাশে আমার উচিত একটা সাপ ছেড়ে আসা। আমার উচিত মেয়েটার আলপথে পুঁতে রাখা আমার পায়ের ছাপ। মেয়েটার যৌবনে ছেড়ে যাওয়া একটা, দুটো, ভালবাসার দাগ; গলার একখন্ড মাংস।

 

দেবীদের কিশোরী হওয়ার পথ, আমাকে বানিয়ে দেয় স্বর্গভ্রষ্ট, আমাকে বানিয়ে দেয় রাতের খুনি, আততায়ী...

 

শীতঘুম

 

এই যে আমি পেলাম না দেখতে তোমার আলতা-পা, দেখতে পেলাম না মাড়ানো ঘাস, শরীরের লাল। তোমার মাড়ানো ঘাসের নীচে আগে ছিল আদিম কোনো গর্ত, যা মানুষ খুঁড়েছিল অনেক হাজার বছর আগে। তখন শীতঘুমের প্রচলন ছিল, ছিল তোমার আমার অহেতুক সম্ভাষণ। সে গর্তে ঘাস জন্মেছে, পড়েছে একবিংশ শতকের কমলালেবুর খোলা। অথচ এই বিস্তার, এই নগন্য অস্তিত্ব মুছে যেতে যেতে হয়ে উঠেছিল কোনো সাপের শীতকালিন বাসস্থান। সেই সাপের অতঃপর মৃত্যু হল। তুমি এলে নির্ভয়ে, নিকৃষ্টতম জড়তা কাটিয়ে, কাছিমের মতো।

 

তোমাকে দেখা উচিত ছিল আমার। উচিত ছিল তোমার পথে যাওয়ার। উচিত ছিল সাপ-জীবন ত্যাগ করার। শীতঘুম কাটানোর‌।

অঙ্কুশ ভৌমিক অষ্টম সংখ্যা

অঙ্কুশ ভৌমিক-এর কবিতা

 

(ক)


ঋতুচক্র


(১)

দক্ষিণ দিক থেকে

হাওয়া দিলে,

দেবদারু গাছেরও প্রেম পায়।

 

(২)

একটা ফলসা মতো মেয়ে

হাতছানি দেয়

ঋতুচক্র পাল্টে ফেলার

 

(৩)

তফাৎ যাও তফাৎ যাও...

কাছে আসার সময়টা

মনে থাকে না আর

 

(৪)

কাছে আসতে গিয়ে

সুইসাইড, এগরোল সব এক হয়ে যায়

 

 

 

(খ)


রংমিলান্তি

 

(১)

বিকেলের রোদে

সোনার পরিমাণ

কমে গেছে বলে মনে হয়

 

(২)

কদিন ধরেই

মেঘকে আর সাদা লাগছে না

আগের মতন

 

(৩)

শুনেছিলাম,

অন্ত্যমিলের রং নাকি

ভীষণ সবুজ!

 

(৪)

সিগারেটের আগুন,

ঠোঁটের কাছে চলে এলে

লাল হয়ে যায় বড্ড

 

(৫)

ট্রাইটেশনটা

আজকেও মিলল না...