অশোক অধিকারী’র কবিতা
টিপ
সোজা এগোলেই বস্তুপিণ্ডের মতো বালক কাল
একা অমেরুদণ্ডী হয়ে আনুগত্য লিখছে
তাকে নিশানা করে আরো কিছু মানুষ বিক্রম
উপহার দেবে বলে মদ্যপান করেছে
প্রতিটি নিঃশ্বাসের ভেতর সন্দেহ জন্মকাল থেকে
অবসাদ তবু তার লক্ষ্য স্থির হলো না আজও
পার্টি চিঠি
বহিষ্কারের আগে শেষ একবার হাই উঠেছিল
না ঠিক লেনিন-ফেনিনকে নিয়ে নয়
রেশনের চালে পোকা আর দু'টাকা কেজি
চাল নিতে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল তাদেরকে
বাঞ্চোত বলে কাঁচা লঙ্কায় একটা কামড় বসিয়েছিলাম
এখন সব ধরনের লঙ্কাতেই ঝাল কমে গেছে
আবার কবে বন্যায় পাড় ভেঙে আল আটন
ছাপাবে সেদিন কতদূরে-ঠিক কত
বড়ো গাছ ছোটো গাছ
হাত বাড়ালেই তাকে ছোঁয়া যেত এককালে
হাতের আঙুলগুলো যখন কচি ছিল যখন
আয় আয় বলে চাঁদকে ডাকত নদীর তাতা
বালিতে রাজা সেজে নকল যুদ্ধ করত তখন
কে জানত সে একদিন কেশবনাগ হবে
সহজ উদাহরণ দিয়ে শিখিয়ে দেবে দুধ আর
জলের মিশ্র অঙ্ক গাছ বড়ো হয়ে গেলে তার আর
ছোট গাছের জন্যে কোনো মায়া থাকে না
হাত বড়ো হয়ে গেলে সে আর হাত থাকে না
আত্মজীবনী
জলে ঠেলে দিলে উঠতেও লাগে এক দশক
ঠিক ঠেলা পেলে সমুদ্রও তাকে নেয় না
পাশাপাশি দুটো ঢেউ নাচের ছন্দে পৌরাণিক
নেশা ছুটে গেলে এ জীবন বড়ো প্লেটোনিক
রবীন্দ্রনাথের জুতো
জুতো স্পর্শ করে পায়ের ধুলো নিয়েছে যারা
তাদের কেউ কেউ এখন আবীর মাখতে
ভয় পায় যদি আশ্রয় ভাঙার চাঁদা দিতে হয়
অন্ধকারে রঙ ফেরিঅলা পুরিয়া বানায়
মাখার পর সবাই সংস্কৃতে বক্তৃতা করে
রবীন্দ্রনাথের জুতো অনেকগুলো লাগবে
টেণ্ডার দিয়ে দ্রুত বানানো চাই
No comments:
Post a Comment