সায়ক দাস-এর কবিতা
নাস্তিক্যবাদ
আমার উচিত ছিল ওই মেয়েটার নদী ধরে চলে যাওয়া
দূরে। আমার বংশে মর্যাদার ছাপ যেখানে শেষ হয় তারপর থেকে শুরু হয় নদী খোড়া, নদীর পাড়ে হেঁটে যায় আমার পূর্বপুরুষ। সেই মেয়ের শুকিয়ে
যাওয়া নদীর ধার ধরে যে মন্দিরে যাওয়া যায়, সেখানে অধিষ্ঠিত যে দেবী নারীর যৌবন পান করে ধীরে ধীরে উঠেছেন কিশোরী, সেই দেবীর পাশে আমার উচিত একটা সাপ ছেড়ে আসা। আমার উচিত
মেয়েটার আলপথে পুঁতে রাখা আমার পায়ের ছাপ। মেয়েটার যৌবনে ছেড়ে যাওয়া একটা, দুটো, ভালবাসার দাগ; গলার একখন্ড মাংস।
দেবীদের কিশোরী হওয়ার পথ, আমাকে বানিয়ে দেয় স্বর্গভ্রষ্ট, আমাকে বানিয়ে দেয় রাতের খুনি, আততায়ী...
শীতঘুম
এই যে আমি পেলাম না দেখতে তোমার আলতা-পা, দেখতে পেলাম না মাড়ানো ঘাস, শরীরের লাল। তোমার মাড়ানো ঘাসের নীচে আগে ছিল আদিম কোনো গর্ত, যা মানুষ খুঁড়েছিল অনেক হাজার বছর আগে। তখন শীতঘুমের
প্রচলন ছিল, ছিল তোমার আমার অহেতুক সম্ভাষণ। সে
গর্তে ঘাস জন্মেছে, পড়েছে একবিংশ
শতকের কমলালেবুর খোলা। অথচ এই বিস্তার, এই নগন্য অস্তিত্ব মুছে যেতে যেতে হয়ে উঠেছিল কোনো সাপের শীতকালিন বাসস্থান।
সেই সাপের অতঃপর মৃত্যু হল। তুমি এলে নির্ভয়ে, নিকৃষ্টতম জড়তা কাটিয়ে, কাছিমের মতো।
তোমাকে দেখা উচিত ছিল আমার। উচিত ছিল তোমার পথে
যাওয়ার। উচিত ছিল সাপ-জীবন ত্যাগ করার। শীতঘুম কাটানোর।
No comments:
Post a Comment