অরিত্র চ্যাটার্জির কবিতা
কয়েকটি
অহেতুক কবিতা
১
আমি যখন কাঁদি, আমি শুধু চাই
আমার প্রত্যেক প্রেমিকারা আমায় দেখুক
আর অজান্তেই আবিষ্কার করুক সেইসব লুকনো স্খলন
চাই তারা হাতড়ে দেখুক আমার প্রতিটি গোপন সুড়ঙ্গপথ
যেইখানে আর কোনো গুপ্তধন অবশিষ্ট নেই
যেইখানে আমার অবচেতনের দুর্বল প্রতিরক্ষা ছাড়া
আর কোনো শেষ গোলাবারুদ মজুদ নেই
তবুও স্মৃতি, ইতস্তত গুঁড়ো গুঁড়ো চিত্রকল্প
তোমাদের না বলা প্রিয় শব্দসমূহের তোরণনির্মাণ
এইটুকু সম্বল করে ইলেকট্রনের মতো নিস্তব্ধ বলয়িত
পথে
কাঁহাতক ক্রমান্বয়ে তোমাদের সম্মুখীন হতে পারি ?
ওহে নব্য অষ্টাদশী, ওহে দূরতর প্রিয়তমা প্রাক্তনী
আমি শুধু চাই আর একটি বার হলেও
আমি যখন কাঁদি, তোমরা সকলে আমায় দেখ।
২
ঢের পথ হেঁটে এসে পৃথিবীর এই মধ্যবর্তী শুন্যতা
আমায় গ্রাস করে নিয়েছে
এখন আমার নিজস্ব কোনো নাম ছিল না
এখন আমাদের নিজস্ব ভাবে কোনো নাম রইল না
পৃথিবীর পেটের ভেতর মানুষ-মানুষীর কৃত্রিম
খেলাঘরে, ক্যাম্পে ও গবেষণাগারে
সর্বনামের মতো পঙ্ক্তির শেষাংশে উপস্থিত হয়ে
তাদের ক্রিয়াকলাপ নিরীক্ষণ করেছি আমি,
প্রতিটি মিছিলের পর পড়ে থাকা জীর্ণ ফেস্টুন
ট্রাম থেকে ফিরে যাওয়া মানুষের ভিড়ের মাঝে
সামগ্রিক অস্তিত্ব সঙ্কট বারবার চেপে ধরেছে আমায়,
যে শুন্যতার কথা বহু বৎসর পূর্বে একটা ফাঁপা
পেয়ালার
উদাহরণ সহযোগে দিওজেনিস আমাদের বলেছিলেন
৩
আমি ভাবি নিছক কবিতা লিখব
আর সম্পাদক ক্রমাগত চিৎকার করে বলেন,
‘বারো লাইন, বারো লাইন’
বস্তুত বারো’খানি লাইন
অনেক
পৃথিবীর জন্ম থেকে এমত বৃদ্ধাবস্থা অবধি লিখতে
হয়তো বারো লাইনের কিছু কম প্রয়োজন
এইসবের মাঝখানে নিজের ক্ষুদ্র অবস্থান খুঁজতে
সচকিত হয়ে দেখি আট লাইন ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত
আর বাকি যেটুকু তা অনায়াসে কেটে যাবে অবরে সবরে
পুরাতন প্রেম, দুঃখবিলাস এই সব চর্বিতচর্বণ নয়
শেষ কটা লাইন বরং থাক সেইসব অসমাপ্ত চিঠির জন্য
যা আমি তোমাদের লিখব বলেছিলাম আরেকটা মনখারাপের
দিনে
"...এই সব চর্বিতচর্বণ নয়
ReplyDeleteশেষ কটা লাইন বরং থাক সেইসব অসমাপ্ত চিঠির জন্য
যা আমি তোমাদের লিখব বলেছিলাম আরেকটা মনখারাপের দিনে"
হ্যাঁ, ভালো লাগল, অরিত্র
অনেক ধন্যবাদ দাদা, এগুলো আমার বেশ আগেকার লেখা , আপনার ভালো লেগেছে এটা অনেক বড় প্রাপ্তি
ReplyDelete