লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Sunday, July 26, 2020

সম্পাদকীয় ৩

সম্পাদকীয়

চারপাশে ঘটছে অনেককিছুই। ঘটনাবলীর পক্ষ থাকারা চুপ, বিপক্ষে যাঁরা সরব হবার কিছু এদিকসেদিক চেষ্টা। অথচ জীবনের গতি থেমে নেই। আসলে, এই 'গতিবেগ' বিষয়টি বড়োই অদ্ভুত। ১দিকে সে যেমন অস্তিত্বের জানান্ দিতে পারে, আরেকদিকে তার পরিবর্তনের অস্বাভাবিক হার, অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক্।যদিও এসব কথা বলার প্রয়োজনীয় দায় সম্পাদক / সাংবাদিক, এঁদেরই সবচেয়ে বেশি। অতিমারী তার সর্বশক্তি দিয়ে, নামিয়ে এনেছে বিশ্বব্যাপী জীবন-সংকট। আবার, সংকটের কার্যকারণ বিশ্লেষণ করে বিরোধী কথাবার্তা বললেই, রাষ্ট্রের কাছে ১ঘরে। কোনো ১ গ্রীক দার্শনিক বলেছিলেন, জনগণের তৈরি রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারিত হয় জনগণের সার্বিক চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।সত্যি কি রাষ্ট্রের সাথে জনগণের কোনো নির্মাণ বিষয়ক আন্তঃসম্পর্ক আছে? সমস্ত বিষয়গুলিই তো কোনো না কোনোভাবে সংক্রমিত। সেটা হয়তো কোভিড-১৯ নয় কিন্তু ক্ষতিকারক আরো বেশিই। খাবার / ওষুধ / শিক্ষা / দৈনন্দিন পরিষেবা / ইত্যাদি সাংবিধানিক শর্তগুলি, লাভজনক লেনদেনকারীদের হাতে উলঙ্ঘিত। নিশ্চুপ না কি নিশ্চিন্ত না কি নিরাপদ : পরিসংখ্যান অনুযায়ী কোন পক্ষ বেশি? তথাকথিত ক্ষমতাসীনের বিরোধিতা করা সকলেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংখ্যালঘু। তবু লড়াই চলছেই। দেশদ্রোহী তকমা পাওয়া ৮১বছরের কবির সমর্থনে এগিয়ে এসেছে, প্রজন্মের কিছু তরুণ / উত্তরপূর্ব বরাবরের মতো তোলপাড় / পিছিয়ে নেই সোশ্যাল মিডিয়াও। এর ভিতরেও রয়েছে ১টি ৩য় পক্ষ, যাঁরা নিরন্তর খোঁজ করে চলেন সংকটের সমাধান।কবিতার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, ৩টি ধারা। নিশ্চুপের দল, চিরকালই সমপ্রবাহ ধারাটির সমর্থনে ১ রৈখিক পক্ষীয়। অর্থাৎ, শাদা বাংলায় চলতির প্রত্যাশী। যা চলছে যাতীয় কপিপেস্ট। বিপক্ষের ধারাটি সমসাময়িকতার সমর্থক। অর্থাৎ, ঘটনা ঘটছে বলেই সাহিত্য (তথাকথিত জনবিচ্ছিন্ন বিষয়ক সাহিত্য নয়)। সময় পাল্টায়, কেবল ঘটনা পাল্টায় কিন্তু ঘটনার চরিত্র পাল্টায় না। সুতরাং কবিতাও পাল্টে যায়, কবিতার চরিত্র নয়। আর ৩য় পক্ষটি হল, সেই নিরন্তর সমাধানকামী গবেষকের মতো নতুন পথের সন্ধানী। যাঁরা এই 'ক্ষমতা' শব্দটির প্রতি স্বতন্ত্রভাবে আস্থাহীন। আর, এই কারণেই তারা তথাকথিত 'জন-বিচ্ছিন্ন'। আদপে, 'সাধনা' বিষয়টিই অবশ্য স্বতন্ত্রভাবে জন-বিচ্ছিন্ন, যার কারণ নির্ধারণের শর্তগুলি এখনোও প্রয়োগগতো পর্যায়ে অনাবিষ্কৃত। সুতরাং, এরপরেও যদি লড়াইয়ের ময়দান অবশিষ্ট থাকে, তা শুধু নির্দিষ্ট ২টি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল : চর্চা এবং 'কি / ক্যানো' বিষয়গুলির আভ্যন্তরীণ-সম্পর্ক এবং এই কথাটির প্রধান শিক্ষক হলো জীবন ও ব্রহ্মাণ্ডের ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ। অতএব, চর্চা বাড়ানো জরুরী। ভয়ডরহীন চর্চা / অবাধ চর্চা / মুক্ত চর্চা / গভীর চর্চা, এদেরই প্রয়োজনীয়তা বেশী। যদি জীবনকল্যাণ ও প্রকৃত সাম্যতা গুরুত্বপূর্ণ হয়, যে কোনো অবস্থানেই পাওয়া যেতে পারে সমাধান।


                          শিল্পী : প্রতাপ মণ্ডল


সমন্বয়

সমন্বয়ে'র কবিতা

গাছ-কে

 

.

গাছ, আমার একটা মাটির জীবন ছিল

সেখানে ইচ্ছা ছিল আমার-

মুহূর্ত যৌনবেলার মতো তরল হতো শুধু

মানুষ ও আরো কত ঘেঁষাঘেষি

যা বুঝেছি আমি শুধু কৌতুকের মতোই ফাটি-

ভাষা নেই, দেখা নেই বলে

ঘুম ছিল। স্বপ্নের মতো ঘুম-

আমি জেগে জেগে দেখেছিলাম

 

.

আমার

বন্ধুরা লাঙলের মতোই ভয় করেছিল

মাটিতে পড়ার আগে মাথা ওমন করে ফাটে

দিগন্ত ছটফট করে আর

যেন তাকে কখনই বলতে দেওয়া হয়নি

সে কি বলত আমাদের কথা ছাড়া

রাগে হয়তো সে চিৎকার করত

কান বেয়ে গরল গড়িয়ে পড়ত কি

                                                 আমার

 

.

মাথার ভেতরে স্বরলিপি ছিল-

                                       ছিল কি ?

রদ্দি ঘরে জড়িয়ে জড়িয়ে

যেমন শুয়ে থাকে মানুষ

অবিকল হোলোকস্টের ছবির মতোই

গাদাগাদি। জেনোসে শুধু

রেচন জানত-মানত

বাতাস রঙের কীর্তি...

 

.

শান্ত হও বৃক্ষ, মাথা ঝাঁকিও না-

গমগমে দুপুরের মতন-গান শোনো

পাখিরা সঙ্গীত শুনে আসে

কী বলছ?

মানুষ পাখি হতে পারে না?

তবে, তোমাকে অনুবাদ করছে কে?

 

.

আমি ফাঁকায় গেছিলাম

যেখানে তেলেনাপোতা হয়নি

উগ্র ডাকখোঁজের মতো শুধু

                                        জল আর জল

চকচকে বালির মতন দিনরাত্রি

                                   বিড়বিড় করে সেখানে

ফিরে,

         কাপড়ে শীত পুষেছিলাম...

 

.

গাছ, আমিও ফিরেছিলাম-

তবে আসিনি,

                    ব্যগ্র পাখির মতো

ডাক, ছিল ভোরের আগেই

আলোর ভেতর থেকে মুখ বেরিয়েছে,

আর বমি আর বমি আর বমি

আলোতে ভেসে গেছি আমি...

 

.

শেষবারের মতন কিছুই হয়নি

কোনো প্রেমিকাকে শেষবারের মতো না, দেখিনি!

তারা সরকার মাফিক চক্রবৃত্ত ল মেনে চলে

জীবনটা উইনডো সিটে কেটে গেল

আর আমি অন্য দশমিকে দোল খেতে খেতে

                                         বিদ্যুৎ চেবালাম...

 

হ্যাঁ নাগাসন্ন্যাসী ছোটোবেলায়

বক্রপাঁজরপ্রহেলিকা দেখিয়ে ছিলেন...

 

.

মাঠে কার থলথলে দুঃখস্তন-

কার কোটেব্যল ছবি শুকাচ্ছিল?

রোদে পোড়া মেঘ হাতে করে ঘুরছিলাম

পাড়াকে পাড়া জানলা খোলা ছিল আরো

                                               বোবার মতন

আরো শাঁখ জানি না

আমি প্রবাসী স্তব্ধতা জানি না যা

                                         সংগ্রাম পরদেশি

 

আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল তাকানো ছাড়া-

আর কোনো ট্যাবলেট ছিল কি ঈশ্বর?


কিশলয় ঠাকুর

কিশলয় ঠাকুরে'র কবিতা

হাতে গোনা হাত

 

আমাদের দূরত্ব বেড়ে গেছে বহুদিন হল,

তোমার পাড়ার সেই সকল লোক আর

রাস্তায় বেরোয় না, যারা আমাদের দেখে হাসত।

আমিও আমার নিজস্ব বাড়ি ছেড়ে

অন্য এক গ্রামের ভেতর এসে থাকি

সবকিছু নতুন এখানে, শুধু মানুষ নতুন নয়।

এ গ্রামে তোমার আমার মতো কেউ

হাত ধরে হাঁটলে তারা হাসে,

যেন তারা কখনো কারো হাত ধরে হাঁটেনি পৃথিবীতে।

 

 

শৈশবের হাত ধরার মধ্যে ঠিক কি ছিল জানা নেই,

যৌবনে হাত ধরতেই এ হৃদয় চমকে উঠেছিল

তারপর বন্ধুর হাত, কাঁধে, পিঠে এসে

লেগে থাকা ভরসার মতো ঝুলে আছে।

তারপর তুমি এলে,

মধ্যবয়স্ক ঘামে ভেজা হাত ধরতেই

দায়িত্ববোধের মতো ভারী হয়ে ঝুলে পড়ে মাটির অভিমুখে

ছোট্ট শিশুর মতো কেউ এসে তর্জনী

ধরে নিলে, এ জীবন ধন্য হয়ে যায়?

 

 

 

যার হাত ধরে হেঁটে এলে আজ,

হেঁটে এলে কঠিন সময়।

মাঠ-ঘাট ক্লান্ত শহর ছেড়ে

পড়ন্ত বিকেলে যার হাত ধরে এসে দাঁড়ালে

বিস্তৃর্ণ ফাঁকা মাঠে।

যার হাত থাকে খাতায়-কলমে, কুকুরের মাথায়।

আদরের মতো বোলাতে বোলাতে মসৃণ হয়,

ধান কাটা কাঁচির হাতলে লেগে থাকে যার ছাপ

সেসব খুঁজতে গিয়ে দেখি,

তুমি নও, নিজেই নিজের হাত ধরে আছি!


বিজয় সিংহ

বিজয় সিংহ-এর কবিতা

তর্জমা

 

সংকেত জ্বেলেছ চোখে লীলাপদ্ম অন্যত্র ফুটেছে

বিষের কৌটোয় রাখ আত্মা কাঁধে অশরীরী জিন

বাসনা কামনা মাগো ভুলে গেছি স্বকামবিহীন

এ জীবন কী করিব : অন্ধ নিয়ে নিভেছে লুটেরা

 

তোমার গলির পথ শীর্ণতর হয় রাতে আরও

রাত্রিতে তোমার বাড়ি ঠাহর হয় না কী প্রদেশ

মেমসাব ফিরিল কি? অলীক ঘটেছে? দৈবাদেশে

আঁধি আলো যৌথবাস নেয় ছন্ন গর্ভের ভিতরও

 

নুনের নৌকায় তুমি পাখি হয়ে দিব্য বসেছিলে

সখীসব রন্ধ্র খুঁজে পালিয়েছে দারুচিনিদ্বীপে

তোমার বিষণ্নে ফলে দিকভ্রান্ত হুরের প্রদীপ

দু'ঠোঁটের খাপে রেখে মৃত্যুবীজ অতিরিক্ত নীলে

প্রারম্ভের দাঁড় ঠেলে যদি ফেরো বিভিন্ন ক্ষমা

উচ্ছন্ন সাজাই আমি প্রপন্নের করেছি তর্জমা

 

 

 

বিভূতিচর্চিত

 

বিভূতিচর্চিত চোখে বিড়ালটি বলেছে বিদায়

সুতরাং এ সনেটে বেহাগ বাজুক, মাননীয়

পাঁচিল বলেছে, সখী, ওগো সঙ্গে আমাকেও নিও

জনপদে গলিপথ অহেতুক ধূসরে মিলায়

 

কানুরোদে ধুলোবালি ভানুময়ে ভেসেছে বেপাড়া

পোড়া ঘা'য়ে জিভ রাখা পরমায়ু কেঁপেছে আয়নায়

যার থাকে, ছাইভস্ম থাকে; যার যায়, সবই যায়

সকাল দুপুরে ডোবে, রাত্রিমেঘে ঢলেছে সিতারা

 

বিড়ালের চোখে কাচ, কাচে স্তদ্ধ আলো আর ছায়া

জানালায় পর্দা কাঁপে পর্দায় লোমের আঁকিবুকি

সবাই কবিতা মাপে; ছন্দ আর্তি, পঙক্তি মাত্র দুখি

লোহার প্রকৃত ধর্ম সুকঠিন, মারিফতি মায়া

মায়া সভ্যতার পাশে বিড়ালিনী ঘুমিয়ে গিয়েছে

বিভূতিচর্চিত চোখ চন্দনচর্চিত তার হিয়ে


ভজন দত্ত

ভজন দত্তের কবিতা
জ্বর

কেউ মাপে! তাপ কিংবা জ্বর!
কেউ কি জলের গ্লাস হাতে জিভে দ্যায় প্যারাসিটামল!
কেউ কি দ্যায় রোজ সকালে পাতিলেবু ও গরমজল!

কোয়ারান্টাইনে পথ।
তার বুকে মুখ রেখে উত্তাপের উত্তর খুঁজতে গেলে
পথ সরে সরে যায় স্পর্শজ সুখকথা থেকে দূরে।
সরিয়ে রেখেছো যারে সে কি আপন ছিলো না পথে...

তা নেই

উল্কিআঁকা দিনগুলি
একবগ্গা মুছে ফেলার অদম্য ইচ্ছায়
নুননুন রাতে বুকের ভেতর স্যালো চলে।

সরফিরা হাওয়ার ভেতর যে ইশারা ছিলো
তা কি একরোখা নৌকার পাল বুঝেছিলো!

হালাত খারাপ।
তবুও 'বাইচা' থাকে যুগলমূর্তি।

তা দিতে বসে ওরা। তা হয় না।
পাবলিক উঠে পড়ে তা নেই তা নেই বলে...



কল আনলিমিটেড

সুইচ অফ। বেশ বেশ!
তাকে তোলা থাক সেলফোন।
এখন আর 'মিসকল মিসকল' খেলে কী লাভ বল?
প্যাকেজআনলিমিটেড কল।

ফ্রিতে পাওয়া পেন্টার অ্যাপে কালোরঙ দিয়ে মনখারাপের মেঘ আঁকা প্র্যাকটিস দুবেলা।
বৃষ্টি নামাতে পারলে ভিজবি কি তুই?

বল? বল না...

বর্ণজিৎ বর্মণ

বর্ণজিৎ বর্মণে'র কবিতা

পলিটিক্যাল>ডিফেকশন

আকাশের বুকে থাকা ধ্রুবতারা ক্রমশ
সরে সরে যাচ্ছে ডান-দিকে

                          কিংবা বাঁ দিকে,

পূর্বে অথবা 
           পশ্চিমে নতুবা উভয় দিকে 
 তবে এটা ধ্রুব সত্য 
নিদিষ্ট অবস্থান পরিবর্তন 
করছে
ধ্রুবতারা 
ভাগ্যিস সেই সময় 
 ভারতবর্ষ! 
নচেৎ 
     অধরা থেকে যেত,
ঠিক তেমন 
রাজনীতি তার খোলস ত্যাগে
উন্মত্ত 
দ্যাট ইজ দ্য  পলিটিক্যাল   ডিফেকশন

চিরঞ্জিত বৈরাগী

চিরঞ্জিত বৈরাগী'র কবিতা

ছিদ্রবিহীন কাচ

 

মিটারের চাকা ঘুরছে না

প্রেমও থেমে!

কমাগুলো দাঁড়ি হয়ে উঠছে

 

এইমাত্র ফোনের সঙ্গে বোধপরীক্ষণ

চমকে উঠতেই শিরায় টান

ব্যাথার ওষুধও পুরোনো

 

ব্যাকটেরিয়াগুলো জীবাণু

কোনো কাচেই ছিদ্র নেই

মৃত সমাজ!

 

ঠোঁটে রক্ত

স্তনের দাম ঠিক কত?

 

কোটিতে দেহ-সম্পত্তি

ধুমধাম উকিল ব্যবসা

ময়লা তদন্তে কি আসে যায়?


পৃথা চট্টোপাধ্যায়

পৃথা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

 

মনের গভীরে ডুব দিই মাঝে মাঝে। ভালোবাসার অতীতচারিতা- সেখানে আর একা লাগে না। ভেঙে যাওয়া স্বপ্নেরা ভিড় করে আসে জীবনকে দেখতে। অজস্র প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবনের একান্ত ভালোলাগাগুলো হারিয়ে যায় না।

 

ক্রমশ কুয়াশার ভিতরে

 

চাঁদের আলোয় আমরা ক্রমশ

    কুয়াশার ভিতরে  বেমালুম ঢুকে যাচ্ছিলাম

তুমি বলেছিলে এই তো সমুদ্র

 এক অবাক সাঁকোর উপর দাঁড়িয়ে

               তুমি গাইছিলে গান

আমি কীভাবে যেন পৌঁছে গেলাম

           ফণীমনসার ঝোপে

কাচে ঢাকা অপূর্ব একটা গ্রিন হাউসের কথা

            তুমি কতবার বলতে

অবাক চোখে দেখতাম

          সেখানে  রং বেরঙের প্রজাপতি উড়ছে...

এখানে গভীর রাতে আমি রক্ত ধোয়ার শব্দ শুনি

একটা অগোছালো বিন্যাস অস্থির করে তোলে

                  আমার সুচারু মন

এইসব দোলাচলে এখনও

ভোর রাতে শিশিরের  টুপটাপ শব্দ শুনি


বিশ্বজিৎ

বিশ্বজিৎ-এর কবিতা
বর্তমান সময় রাজনীতির মায়াজালে আবদ্ধ। সুখ, দু:খ, জীবন, যন্ত্রণা সবকিছুর ভরকেন্দ্র এখন রাজনীতি। কখনও সব বুঝেও আমাদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে নীরবতাই কাম্য হয়ে ওঠে। কখনও উলটো পথে আমরা প্রতিবাদ গড়ে তুলি, জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে। হয়তো এটাই বাস্তব। ভুল, ঠিক এরও ঊর্দ্ধে। হয়তো শেষমেষ আমাদের দ্বারা কিছুই হয়ে ওঠে না, কারণ আমি, আমরাও হয়তো এখনও কিছুই বুঝতে পারিনি সময়ের সাথে।

রাজনীতি, রাজনীতি

সবাই রাজনীতি করে
সবাই রাজনীতি করে না। 
যুদ্ধ হয়...
আদৌ কিছুই হয় না

ভেতরে ভেতরে
একটা তোলপাড় চলে। 
একটা গোপন খেলা
যা ধুঁয়ে তুমি প্রতিদিন জল খাও,
হাত-পা নাড়, প্রতিবাদ কর

তবুও
কিছুই বুঝে উঠতে পারলে না...