সমন্বয়ে'র
কবিতা
গাছ-কে
১.
গাছ, আমার একটা মাটির জীবন ছিল
সেখানে
ইচ্ছা ছিল আমার-
মুহূর্ত
যৌনবেলার মতো তরল হতো শুধু
মানুষ ও আরো
কত ঘেঁষাঘেষি
যা বুঝেছি
আমি শুধু কৌতুকের মতোই ফাটি-
ভাষা নেই, দেখা নেই বলে
ঘুম ছিল।
স্বপ্নের মতো ঘুম-
আমি জেগে
জেগে দেখেছিলাম
২.
আমার
বন্ধুরা লাঙলের মতোই ভয় করেছিল
মাটিতে পড়ার
আগে মাথা ওমন করে ফাটে
দিগন্ত ছটফট
করে আর
যেন তাকে
কখনই বলতে দেওয়া হয়নি
সে কি বলত আমাদের কথা ছাড়া
রাগে হয়তো সে চিৎকার করত
কান বেয়ে গরল গড়িয়ে পড়ত কি
আমার…
৩.
মাথার ভেতরে
স্বরলিপি ছিল-
ছিল কি ?
রদ্দি ঘরে
জড়িয়ে জড়িয়ে
যেমন শুয়ে
থাকে মানুষ
অবিকল
হোলোকস্টের ছবির মতোই
গাদাগাদি।
জেনো, সে শুধু
রেচন জানত-মানত
বাতাস রঙের কীর্তি...
৪.
শান্ত হও
বৃক্ষ,
মাথা ঝাঁকিও না-
গমগমে
দুপুরের মতন-গান শোনো
পাখিরা
সঙ্গীত শুনে আসে
কী বলছ?
মানুষ পাখি হতে পারে না?
তবে, তোমাকে অনুবাদ করছে কে?
৫.
আমি ফাঁকায়
গেছিলাম
যেখানে
তেলেনাপোতা হয়নি
উগ্র ডাকখোঁজের মতো শুধু
জল আর
জল
চকচকে বালির মতন দিনরাত্রি
বিড়বিড় করে
সেখানে
ফিরে,
কাপড়ে শীত পুষেছিলাম...
৬.
গাছ, আমিও ফিরেছিলাম-
তবে আসিনি,
ব্যগ্র পাখির মতো
ডাক, ছিল ভোরের আগেই
আলোর ভেতর
থেকে মুখ বেরিয়েছে,
আর বমি আর
বমি আর বমি
আলোতে ভেসে গেছি আমি...
৭.
শেষবারের
মতন কিছুই হয়নি
কোনো
প্রেমিকাকে শেষবারের মতো না, দেখিনি!
তারা সরকার
মাফিক চক্রবৃত্ত ল মেনে চলে
জীবনটা উইনডো সিটে কেটে গেল
আর আমি অন্য
দশমিকে দোল খেতে খেতে
বিদ্যুৎ চেবালাম...
হ্যাঁ নাগাসন্ন্যাসী ছোটোবেলায়
বক্রপাঁজরপ্রহেলিকা দেখিয়ে ছিলেন...
৮.
মাঠে কার থলথলে দুঃখস্তন-
কার কোটেব্যল ছবি শুকাচ্ছিল?
রোদে পোড়া
মেঘ হাতে করে ঘুরছিলাম
পাড়াকে পাড়া জানলা খোলা ছিল আরো
বোবার মতন
আরো শাঁখ
জানি না
আমি প্রবাসী স্তব্ধতা জানি না যা
সংগ্রাম পরদেশি
আকাশের দিকে ফ্যালফ্যাল তাকানো ছাড়া-
আর কোনো
ট্যাবলেট ছিল কি ঈশ্বর?
No comments:
Post a Comment