অভিজিৎ পালচৌধুরী’র কবিতা
চাঁদপাগল
মনের ভেতর মন বেদখল
দস্তুর চাঁই পাথরটাকে
ভাঙল কেমন চাঁদপাগল
শূন্যতার এই পৌনপুণিক
দুঃখ শুধু অতল জল
আনন্দ এক দমকা হাওয়া
মুঠোয় ভরা যোগের ফল
ভাঙতে ভাঙতে কোথায় গেলে
ছায়াপথের দীর্ঘশ্বাস
চাঁদপাগলের হাত বাড়ানো
আস্তিনে যার নিষেধ তাস ...
যেভাবে রাত গভীর হলে ভারী ট্রাকগুলি
মর্মন্তুদ চিৎকার আঁকতে আঁকতে
এগিয়ে যায় গন্তব্যে
আর তাকে ম্লান করে জেগে ওঠে
মধ্যরাতে ফ্ল্যাট বাড়ির
সমবেত যান্ত্রিক শীৎকার আর
অর্গাজমের মিথ্যে অজুহাতগুলি..
ঠিক সেভাবেই কোনো উন্মাদ
ফুটপাতে শুয়ে
মধ্যরাতে শপথ নেয়
এই জন্মের সভ্যতাকে
জন্মান্তরে পাঠাবে বলে
ভোরের আলো ফুটলে ...
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে..
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
শীতকাল কবে আসবে
বলতে পারে না সুপর্ণা
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
চশমার নিচে কাতর চোখ
পাখি হয়ে যায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
রোদ্দুর রায় বাঙালির মুখে
থুতু ছেটায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
শ্রেণি শত্রুরা
মিত্র হয়ে যায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
সংগ্রামী কমরেড
অলিপাবে বিয়র সাঁটায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
বুকের ওপর ঝান্ডা ওঠায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
এনকাউন্টার মুখোশ পড়ে
সামনে
দাঁড়ায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
আরসালান লুটে খায়
ভুখা
পেট
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
যোনি পথে গর্ত খোঁড়ে
পৌরুষ শাবল
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
সাদা ক্যানভাসে খাঁ খাঁ
শূন্যতা হাত পা ছড়ায়
প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হলে
ড্রপসিন নেমে আসে
খুবসুন্দর
ReplyDelete