বিজয় সিংহ-এর কবিতা
তর্জমা
সংকেত জ্বেলেছ চোখে লীলাপদ্ম অন্যত্র ফুটেছে
বিষের কৌটোয় রাখ আত্মা কাঁধে অশরীরী জিন
বাসনা কামনা মাগো ভুলে গেছি স্বকামবিহীন
এ জীবন কী করিব : অন্ধ নিয়ে নিভেছে লুটেরা
তোমার গলির পথ শীর্ণতর হয় রাতে আরও
রাত্রিতে তোমার বাড়ি ঠাহর হয় না কী প্রদেশ
মেমসাব ফিরিল কি? অলীক ঘটেছে? দৈবাদেশে
আঁধি আলো যৌথবাস নেয় ছন্ন গর্ভের ভিতরও
নুনের নৌকায় তুমি পাখি হয়ে দিব্য বসেছিলে
সখীসব রন্ধ্র খুঁজে পালিয়েছে দারুচিনিদ্বীপে
তোমার বিষণ্নে ফলে দিকভ্রান্ত হুরের প্রদীপ
দু'ঠোঁটের খাপে
রেখে মৃত্যুবীজ অতিরিক্ত নীলে
প্রারম্ভের দাঁড় ঠেলে যদি ফেরো বিভিন্ন ক্ষমায়
উচ্ছন্ন সাজাই আমি প্রপন্নের করেছি তর্জমা
বিভূতিচর্চিত
বিভূতিচর্চিত চোখে বিড়ালটি বলেছে বিদায়
সুতরাং এ সনেটে বেহাগ বাজুক, মাননীয়
পাঁচিল বলেছে, সখী,
ওগো সঙ্গে আমাকেও নিও
জনপদে গলিপথ অহেতুক ধূসরে মিলায়
কানুরোদে ধুলোবালি ভানুময়ে ভেসেছে বেপাড়া
পোড়া ঘা'য়ে জিভ রাখা
পরমায়ু কেঁপেছে আয়নায়
যার থাকে, ছাইভস্ম থাকে; যার যায়, সবই যায়
সকাল দুপুরে ডোবে, রাত্রিমেঘে ঢলেছে সিতারা
বিড়ালের চোখে কাচ, কাচে স্তদ্ধ আলো আর ছায়া
জানালায় পর্দা কাঁপে পর্দায় লোমের আঁকিবুকি
সবাই কবিতা মাপে; ছন্দ আর্তি, পঙক্তি মাত্র দুখি
লোহার প্রকৃত ধর্ম সুকঠিন, মারিফতি মায়া
মায়া সভ্যতার পাশে বিড়ালিনী ঘুমিয়ে গিয়েছে
বিভূতিচর্চিত চোখ চন্দনচর্চিত তার হিয়ে
No comments:
Post a Comment