সৌমিতা চট্টরাজ-এর দীর্ঘ কবিতা
এবং নন্দিনী
নন্দিনী, তুই কি ভীষণ ব্যস্ত এখন!
পারবি দিতে সময় আমায় মিনিট দশেক?
পাইনা তোকে আগের মতন যখনতখন,
জানাই আছে প্রায়োরিটি তোর বাড়ছে
অনেক!
চুপ কেনো রে! সেই সেদিনের মান
অভিমান!
ভাবলি বোধহয় জীইনে চুমুক দিচ্ছি
আমি
ফক্কা পকেট; ছক্কা পুটের করছি না ভাণ
অনন্ত দিগন্তে প্রেমিক
অস্তগামী।
শুনছি তোর হবু হাবি'র খাসা পসার...
সেটেলড পরে করবি তোরা সুদূর
জাভায়
শীত পেরোলেও বসন্তটা তাই কি
অসাড়?
কাঁটার ডাঁটে বিঁধছে পলাশ পায়ের
পাতায়!
স্বভাবটা তুই রাখিস বজায় তাও
পুরনো,
একলা কেবিন জটলা বিহীন পশলা
ধোঁয়া...
নীরব শ্রোতার ঠোঁটের তিলে তেজ
গোছানো,
রক্তে ছোটায় টগবগিয়ে শুঁয়োর
রোঁয়া।
গোত্তা খাওয়া মিডিল ক্লাসের
স্ট্যাটাস ঘুড়ি,
গড়েরমাঠে গড়গড়ি খায়, আকাশ খোঁজে;
টেস্টোস্টেরন ইস্ট্রোজেনের
চাঁদের বুড়ি
পিটুইটারির কারসাজি কি মগজ বোঝে?
শিরায় শিরায় কেমিক্যালের
ফিসফিসানি,
জারক জারণ অন্বেষণের অপার আলো
বৃত্ত ব্যসে বিত্ত ভেদের
কচকচানি,
শর্তে বাঁধা স্বত্তা গেলে কাজল
কালো।
নন্দিনী, তুই ভাঙবি কবে নীরবতা?
ট্রেনেরচাকা অপেক্ষাতে তোর
স্টেশনে
রূপকথাদের স্টপেজে তোর চুপকথারা
স্পর্শকাতর আতর ছোঁয়ায় সঙ্গপনে!
জোটের হাওয়া জোড় খুলেছে
জ্যোৎস্না জুড়ে,
পানের পিকে পাঁচিল আঁকে প্রেমের
ছবি
মনেরমানুষ নাই বা হলি কলজে
খুঁড়ে
দে, কথা দে মন খারাপের বন্ধু হবি।
আসতে পারিস ফের ফিরে তুই দরজা
খোলা,
তাপ্পি মারা রেশমি কাঁথায় বাজবে
ভোকাল...
নিকোটিনের নোনতা খাঁকে নিথর গলা,
অ্যাশট্রেতে তোর গোঁয়ারতুমির
বনগাঁ লোকাল।
ভালো নাকি মন্দ বাসি প্রশ্ন
জটিল,
ধ্রুব নাকি মীরাজ ভ্রমে নিচ্ছি
পিছু?
সিলিং ঘিরে ঝুলের হাসি, স্বপ্ন শিথিল,
নিমেষের ভান্ডারে তুই বিশেষ
কিছু।
ফুটপাতিয়া সস্তা রোলেক্স মেয়াদ
শেখায়,
দৃষ্টিটা আজ থমকে দিলো গালের
ব্রণ
নিটোল পেশী ঢাকবে যেদিন
আয়ুরেখায়
স্পাইশজেটে পাশাপাশি তুমহাম
দোনো।
স্বীকৃতিতেই নিষ্কৃতি খোঁজ
পাগলীরে তুই,
মুহুর্মুহু ট্রাফিক জ্যামে ডবোল
ডেকার;
মোটা চালে কাঁকর ডালে, মেঝেতে শুই
বেকারভাতার আদর্শ এক
কেয়ারটেকার।
নন্দিনী, তোর লিপ ফিনিশের অভিসারে
নেলপলিশের জ্যান্ত ফসিল, আঁশটে কেলাস
আগুন মেশা ফাগুন নেশা মাটির
ভাঁড়ে
ফি-বছরের সঙ্গী পাতি বাংলা
গেলাস।