সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা
হিং
টিং ছট
সৈনিকের সরবতায় আচার
সুরধুনি
চুলকে
মাথা সূর্য ফেলে দাও,
দাবনাবিস্তারের
যা যা শ্লোগানতম, ফাউ
লৌহফাঁদে
আছড়ে ভৌতিক
টকেছে
দাঁত প্রিয়ংবদা বিষ?
***
তিলোত্তমা
সংক্রমণে পাগল ঠাওরালে
বঁটির
আঁশ ইন্দ্রজালে গিলছে মা'গো ওরা কি
ঝালবাটা?
রসিক
বিনা উস্কানির শাঁসালো ভুল চুক?
এ নির্মমে কবিশেখর বিবাগী, তেলতেলে
***
অপার
তুমি ক্ষয়েছ ঘোড়াশালে
কুয়াশাটিও
বিন্দুবৎ
নালের
ঠোকা সয়েছে পশ্চিমে
ফর্মা তিন বায়না এল বারান্দার ঝাঁকে
কুমিরে কম্পাসের মালিকানা
***
শিকারদোষে
রাগপ্রধান তুমি
স্নায়ুবিরত
জোনাক হয়ে যাও আলোর
নির্বিকার
মূলে
***
ধনুক ভাঙে আগুনে
পরিযায়ী
গর্ভ
তার ব্যক্তিগত হাঁড়ির ঢাকনাটি
সমূহ
নাসা হারিয়ে আগলায়
***
আরণ্যক
বল্লমের দিশারী ঘটকালী
অফুরন্ত লগ্নে ফসকাচ্ছে আনবাড়ির মাথাব্যথা
বদ্ধজমি পাকানো মৃগনাভি—
যে
টংকারে শুশুক উল্টোয়
***
বন্দুকের
ডগায় দেখি নৃত্যপরচুলো
আরশোলার
পুতুল হাঁচে পলকা জানলায়
প্রথমবার
বাতাস লেগে স্মারকলিপি হল
আর ক'জন দিস্তে লাগে তুকতাকের জলে?
গুটি
চলেছে পেনসিলের মদে ছলাৎ
তালিকাপ্রাণ
আঁতকে উঠবে না?
***
সানাই
হোক দ্বিতীয় মুদ্রণ
নহবতের ঘামাচি মারা পেশা
যে-হাত মাখে শিরদাঁড়ার অনেক খড়িমাটি
ছাপার ভুলে দাঁও মেরেছে—
গন্ধতেলে
খাস্তা সংসার
***
ভিড়ের
মতো তুমি কে আর আছে?
আঁটো পোশাক বারংবার শৈশবের শিবিরে পস্তায়
***
যত্ন
তুমি নির্মমতা গড়ো
ভীমপলাশী তাম্বুলের পাখনা খুলে রুদ্ধ হয়ে
ওঠে
বাক্যে মাপো সহায়িকার পেছনপাকা চিঠি
অসম্ভব রকমের ভালোলাগা রইল লেখাগুলির জন্য
ReplyDelete