লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com
Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Sunday, September 25, 2022

শাম্ব, শারদ সংখ্যা

শাম্ব'র কবিতা

প্রবাদ


 

কবিত্ব মিথ। একোন্‌ জন্ম বলো বৃন্দাবন!

অসংখ্য প্রবাদ মধ্যে নিষ্ঠুর সাঁওতালের গান।

প্রিয় ছিলে পত্রালাপেজাগ্রত, উদাস...। বেনুবনে

হরিনামে চুম্বন করলে। শ্রান্ত রাখালের অর্ন্তবাস

কোন্‌ক্ষণে মুছে যায়। মোছে রক্ত পরিচয় শ্রীচৈতন্য নামে! হিতাহিত শাক্ত বর্ম। হাড়-মাংস-নিদ্রা-সুখ-

গোত্র-পরিচয়একটি খাঁ খাঁ শুস্রসার মধ্যে বিগত

শরীর। ঝিঁঝিঁ পোকা। দূরের কীর্তন। তুমি কী প্রস্তুত

বিনোদ বিহারেএ কোন্‌ দেশকোন্‌ জন্মে জাগ্রত

আদিম অথচ সত্য এ'তুলসী প্রেমএই কন্ঠে শ্রীরাগ 

ভজন। মায়া! হরিনামে চুম্বন করলে প্রস্তাবিত হাতে

আয়ু কাল থমকে গেছে। তবুসুতীব্র সাইকেল...

অন্তর চক্রবর্তী, শারদ সংখ্যা

অন্তর চক্রবর্তী'র দুটি কবিতা


হত্যারাত্রি থেকে, দূর


১. 

দুধশাদা বাগানের মাঝামাঝি, রাত

চেয়েছিল আরও শাদা। অথচ হঠাৎ

নিশ্চুপে, কিছুদূর সোজাসুজি গিয়ে

ভেঙেচুরে লাল হয়ে পড়ে আছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে

 

কী রঙে ডেকেছ ওকে, নিরুপায়? শাপান্ত? ভোর?

আমাদের যোগাযোগ, ভিখিরি এ যখের পাঁজর

 

২.

হাড়ে হাড় ঘনিয়েছে, রক্ত উঠে ফের

ভেসেছে দুয়ার। ভাঙা প্রসবাগারের

যেটুকু তোমার ঘুমে উৎসবের মতো

উঁকি দেয় থেকে থেকে, কাছে গেলে উধাও সতত

 

তাকে কি সারাও স্বপ্নে, হন্তারক? খুলে রাখো, খুন?

আলোগুলি নিভে যেতে বাকি আছে সামান্য আগুন

বিশ্বজিৎ দাস, শারদ সংখ্যা

বিশ্বজিৎ দাসের দুটি কবিতা

যাপন

শুয়ে থাকতে থাকতে পৃথিবীর মেদ মাংস রক্ত

ফ্যাকাসে হয়েছে আরও।

মুছে গেছে আমাদের অঙ্গীকারের ভঙ্গিমা

খালি ঘরে আলপনা আঁকে সময়ের পলক

যাপনের কথা শেখো!

 

অসাড় নদীর কাছে এই তো দাঁড়িয়ে কতকাল

আবারও দাঁড়াবে তুমি, শোক ভুলে যাবে!

দেখা হোক ভালোবাসা, গুহার ভিতর

এইভাবে একদিন বলো; মৃত কাঠ...

 

খুব করে মিশে গেছি

সহজ পাতায়, আমাদের আলাপের মুখে চুমু

শুধু, প্রলয়ের জমকালো মাঠ!

 

উড়ানীর খেলা

এই নশ্বরতার মানে জানতে চেয়ে তুমি যে মেসেজ করেছ, তার উত্তর দিতে দিতে আমি ফুরিয়ে যাচ্ছি। এই যে কিছুটা শূন্যস্থান রেখে তোমায় বোঝাচ্ছি, আমাদের বিরহের মানে; রক্তমাংসের পার্থক্য...

 

রঙচটা শরীরের থেকে ক্রমশ উবে যাচ্ছে ফাগুন। আয়নায় এখনও একটা পাখি দেখে হাসি পায়! জানি না এসবের অর্থ কী? হাড়ের ভিতরে গুনগুন শুনশান শব্দের ধাক্কা বড় অদ্ভুত। তোমার আবার মেসেজ এল

 

অস্তিত্ব নিয়ে এমন অলীক ইয়ার্কি আর কেউ করেনি। জানো, সে বছর আমাদের জামাগুলো উড়ছিল। দারুণ শান্ত সে উড়ানীর খেলা। সেই জামাকাপড়ের অন্ধকারে ঢুকে খাচ্ছি, শুধু খেয়েই যাচ্ছি এই জীবনের মানে...

Monday, April 11, 2022

অরিত্র চ্যাটার্জি

                                                               অরিত্র চ্যাটার্জি’র কবিতা

রিবন

 

দিয়ে বেঁধে ফেলেছো চুল

খোলা হাওয়ায় তার

গতিপ্রকৃতি

বেপথু হয়ে ভাসছে

এমন ক্যানভাসে শরীর

যেতে পারে যতটুক

তা থেকে

দূরত্ব রেখে এখন

মেয়েটির রাতপোশাক

তুমি কতখানি নাব্য

খুব নিচু স্বরে তা জানতে চাইছে 

 

স্বপ্নের ভিতরে লেখা 

আশ্চর্য এই এক দরজা

ক্রমে খুলে যাচ্ছে আমার সম্মুখে

অথচ তার প্রেক্ষিতে আমার ছায়াখানি নেই

ফোঁপরা পাথরের গায়ে ছিন্ন পাপড়ির দল

পুনরায় জুড়ে দিলে ভেঙ্গে যায়

ফোর্থ ওয়াল! আশ্চর্য এই দরজার

ওপার থেকে অনবরত হাতছানি দেয়

  আমাকে জেরা করে, দণ্ডাদেশ জানায়  

সৃষ্ট চরিত্রের দল আমাকে ঘিরে ফেলেছে

আর এই খেলাটা খেলতে খেলতে

ক্রীড়ক আমি কখন যে স্রেফ আরেকটা ঘুঁটি

হয়ে গেছি তা নিজেই জানি না!

 

আধিদৈবিক এক আঘাতে আচমকা মারা যাব আমি

আর আমার লাশ বইবে ঘোড়ামানবেরা

কোনো সুপ্রাচীন সামুদ্রিক মন্দিরে, শতাব্দী পেরিয়ে

যে বুলেট ছুটে আসে, এ নিয়তি তার দেহে লেখা আছে

আর আমি যে আগুনের ভেতরে চিঠিগুলি পেয়েছিলাম

এত বেশি তুফান, তাতে লাইট হাউসের কথা বলা ছিল

আর আমি যে রাস্তা হারিয়েছিলাম, এত বেশি অপরাধ

করেছিলাম যে আমাকেই যাজকের দণ্ড দেওয়া হল

আর আমি যে ভেবেছিলাম সময় অতিক্রম করে ফিরে যাব

শতাব্দী পেরিয়ে এই আশ্চর্য বুলেট আমার শরীরে বিঁধেছে

আর আমি যে শুধু চেয়েছিলাম নিজস্ব স্বপ্নের ভিতর থাকতে

আধিদৈবিক কোনো আঘাতে আচমকা একদিন মারা যাব জানি...

Monday, February 21, 2022

অন্তর চক্রবর্তী

অন্তর চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

ভোর

--------

 

গলিঘুঁজি ভেঙেচুরে

অবাধ শহর

 

স্থাণু হল মধুমাসে...

 

বারবার ভুলি

 

সড়ক?

না ক্যানভাসে,

 

থমকেছে ভোর?

 

সুরেলা পরাগশ্বাসে

ফোটে

ওই জাদু-তুলি

 

তোর

 

কাজের মিছিল ভেঙে

ছুটে আসে

 

রাঙা-রাঙা রবিবারগুলি

 

 

 

সাধ

-------

 

 

পাখিহারা, জন্তুহীন

বনে বনে

নীরব কুঠার

 

কেঁদে ওঠে,

 

ঘুরে মরে

জোছনা-মাতাল...

 

শিসের আড়াল

ঠোঁটে

 

প্রায়ান্ধ এক হরবোলা

 

খুইয়েছে চাঁদ, তবু

সাধটুকু তার

 

অশ্রুজল সেঁচে

আজ

 

তোমায় এণাক্ষী করে তোলা

Sunday, February 20, 2022

পলাশ দাস

পলাশ দাস-এর কবিতা

 

প্রাক্‌কথন :

আমাদের জীবনের অভিমুখ নানান বাঁকে এসে বদলায়। এই বদলকে সঙ্গী করে ভাবজগত থেকে আমরা বস্তুজগতের দিকে ধাবমান। ভালোবাসা নানান রকমের। কিন্তু যে ভালোবাসাকে আমরা সচরাচর প্রত্যক্ষ করে থাকি সেই ভালোবাসায় একটা গোলাপ দেওয়ার পরম্পরায় বোধহয় আমরা তেমন খুশি হতে পারি না। আজকের ভালোবাসায় দেখনদারি বেশি, তাই প্রয়োজন পড়ে তাকে খুঁজে নেওয়ার। এই লেখাগুলো যদি ভালোবাসার বলেন তো ভালোবাসার, আর মন্দবাসার বললে তাও ঠিক। যেভাবে ভালোবাসা আমার কাছে ধরা দিয়েছে তাতে মনে হয়েছে তার প্রকাশ ও অনুভবের রীতি অনেকটাই বদল ঘটেছে। যখন এই বদল অনুভব করলাম, তখন মনে হল ভাষার বদল হলে ক্ষতি কী? তাই এই প্রয়াস। জানি না ঠিক কী হল! লেখাগুলির কোনো নাম দিলাম না। সত্যি আজ ভালোবাসা কোনো নামে চেনা যায়? 

 

 

১.

পড়ে আছে বাসন কাঙাল

সিঁড়ি ঘরদোর জানলা দরজা ছাদ

একচিলতে উঠোন

কোণ জুড়ে মরচে রঙের মাঠ 

দেওয়ালে মেখে শ্যাওলা মেঘের আঁচ

একরত্তি দড়ি গায়ে বড়ির মতো কুয়াশা

ফেরিওয়ালার থেকে থেকে হাঁক 

 

হাওয়ারা শন শন 

শুকিয়ে যাচ্ছে স্নান সেরে আসা লক্ষ্মী পায়ের ছাপ

 

 

২.

ফ্রিজ আলমারির শীতে বসে আছে জিওল মাছ

মাথা তোলে থেকে থেকে

ঘাড় নাড়ে

দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ডাকে সাড়া দিয়ে 

বাকিটা ইতস্তত

 

কখনও কখনও বোকা বাক্সের মতো

কিছু হাতড়াতে এসে দেখি

কাছেই পড়ে রয়েছে রিমোট

তরঙ্গের পর তরঙ্গ ঠেলে চলে যাই

পাশ্চাত্যের দেশ

তুলির নরম পথ ত্রিশঙ্কু পাহাড়চুড়া 

Thursday, February 17, 2022

দেবশ্রী দে

দেবশ্রী দে’র কবিতা

বিভাব কবিতা

তোমার কাছে

 

প্রেমের গল্প শোনা জরুরি

 

হাত ধরে পার হয়ে গেছি

যেসব রাত থেকে দিন

অথবা দিন থেকে রাতের প্রহর

 

তাদের ফিসফিসে শুনি

খামখেয়ালের স্বপ্ন

 

সেইসব ভুলভ্রান্তির কাছে

তোমার প্রেমের গল্প শোনা জরুরি

রুবি রায়

রুবি রায়ে’র কবিতা


ছায়ারোদের পথিক

 

চোখের কোণ থেকে যে মসৃণ অমাবস্যা চলেছে

তার ইশারায় ইন্টিমেট হতে পারি

তোমার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে

 

অষ্টাবিংশ ময়ূরী নেচে যাচ্ছে ঐ

বলিষ্ঠ খোলা পিঠ দিয়ে

কামোক্ত ঘাম পলকা ডটের

সভা বসিয়েছে আদুরে কপাল জুড়ে

তিরতির বেগে যাযাবর চুমু সত্যন্বেষী

হয়ে ঝুলে আছে রোমান্টিক নগ্ন নাভিতে

 

আহা! মাদল নৃত্যনাট্যে দুলছে আমার পৃথিবী, সমস্ত গ্রহণ।

আমিনুল ইসলাম

আমিনুল ইসলাম-এর দুটি কবিতা

 

প্রেম সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন

 

দুই পা পিছিয়ে গেলে

তিন পা এগিয়ে আসে

 

যাওয়া + আসা = পর্দার আড়ালে

বিক্ষিপ্ত দর্শন

 

জড় বস্তুর ভিতরে স্পন্দন

এখানে তুমি নতুন

অন্যদিকে পোড়া ইঁট

 

আলোর বিপরীত

স্ফটিক প্রেমের কাপে মন

সাদা বরফের কণা

 

আগুন ও প্রেম


কাচের মনে দাগ লেগেছে

চাঁদের গায়ে মায়া~

অন্ধকারে হারিয়ে নিজেই

খুজছি শুধু ছায়া ~

 

গভীর বনাঞ্চল ~ ছায়াঘন

আলো মেখে জোনাকিরা মাতোয়ারা

বিষণ্ণ কাচের ঘরে

পারদের প্রেমে সেজেছে আয়না

সময়ের অন্তরাল~  জানি এ অভিনয়

 

অসংখ্য চোখের আলপিনে ফুটছে গোলাপ

নদীর বুকে ভাসছে প্রেম,  ডুবছে দেবীর কায়া

অর্ঘ্য দীপ ঘোষ

অর্ঘ্য দীপ ঘোষ-এর কবিতা

 

আলো

 

যে  প্রেম হল না, তার চেয়ে বড় মায়া

আর কিছু নেই—

 

এমনই এক অন্তর্লীন বোধ

আমাকে ক্রমশ সহজ করে দ্যায়

 

শেষবারের মতো, আমি দেখতে শিখি আলো।

 

ক্রন্দসী পেরিয়ে যাচ্ছে দৃষ্টিপথ

অন্য অন্য মেয়েরা আজও

ভালোবাসছে

অন্য অন্য ছেলেদের

 

প্রার্থনা করি,

 

এই দৃশ্য যেন স্থায়ী হয়

 

                     আরও কিছুক্ষণ...

শুভ্রনীল চক্রবর্তী

শুভ্রনীল চক্রবর্তী’র কবিতা

মহব্বত জিন্দাবাদ

 

ছেয়ে গেছে ধ্বজা কুয়াশা

চারদিকে কালো ধর্মের কোলাহল

      অর্থের ওজনে পদপিষ্ট ক্ষুধার্ত শিশু

জাতপাত রাজনীতির দাবানল ছেড়ে

                 মহব্বত জিন্দাবাদ

 

মেঘের সাথে দুঃখের মিলন

        সাহিত্যের প্রেমে কারাগার বনবাস

অস্ত্রের ভিড়ে হোক শুধু ভাষার প্রতিবাদ

                মহব্বত জিন্দাবাদ

 

শ্লীল অশ্লীল স্মৃতিমেদুর

        যৌনসুধায় অন্তর্বাস

শ্রেণী সমাজের কবরে ফুটছে মানব বন্ধন

            মহব্বত জিন্দাবাদ

 

গোলাবারুদের মাঝে হাত থাক শক্ত

        মন্দির মসজিদ ভাই ভাই

নিকার আসনে ব্রাহ্মণ শুদ্র

         মহব্বত জিন্দাবাদ ।।

দেবাশিস

দেবাশিস-এর কবিতা


তোমার মনে মেঘ, আমার চোখে জল

 

কি হবে এই উল্লসিত উদযাপনে!

যদি তুমিই পাশে না থাকলে!

 

বুকের মাঝে মুখ গুজে হৃদয়ের শব্দ শুনো।

হাতে হাত চেপে ভালোবাসা মেপে নিয়ো।

দেখবে, তোমার মনে মেঘ, আমার চোখে জল।

দেখো, তোমার তুলসী তলায় বাতি, নিশ্চিত জ্বলছি আমি।

জানি, তখনই বৃষ্টি হয়ে পড়বে তুমি।

 

প্রতি পলে যদি তোমার নাম লেখা হয়ে যায়

তাহলে এই দিনের কি নেহাত প্রয়োজন হয়?

তোমার নামে আজও ভিড় ভেঙে ট্রাম চলে আনমনে।

তোমার নামে আজও সমুদ্রে মন কেমনের ঢেউ ওঠে।

তোমার নামে আজও মনে মনে সাতপাকে বাঁধা আছি।

তোমার নামে আজও প্রতিদিন  নতুন সূর্য ওঠে।

 

চোখ মেলে দেখো সেখানেই লুকিয়ে আছে আমাদের প্রতিদিনের 'গোলাপ' যেন।

অয়ন ঘোষ

অয়ন ঘোষে’র কবিতা

বিষণ্ণতার ভাষ্য

 

 

ঘুমের ভিতর আঙ্গুল ছোঁয়াতেই বেজে ওঠে

ভোরের বিসমিল্লা...

নোঙরে চোখ রেখে বানভাসি ঢেউ বড্ড অভিমানী।

 

ভিতর ঘরের পাখি ডানা সাজায়

নিজস্ব আকাশের মাপে,

সেই ডানার নীচে মধুকল্প জীবন

কেবলই পাক খায় নিজেরই চারদিকে

গোপন অন্বেষণ, সাদা কালো প্রেম।

 

শীর্ষ-বিন্দু ছোঁয়ার আগেই ভাঙল

বাতাসের দেওয়াল, বিপন্ন কাঁচের স্বর্গ।

সে ছিল প্রিয় অসুখের শৃঙ্গার, তারই করতলে

এক মুখর শুন্যতা কাছে জমা রইল

এই পৃথিবীর বিষণ্ণতম ভাষ্য,

 

                                        প্রেম।

Tuesday, January 25, 2022

অমিত পাটোয়ারী

অমিত পাটোয়ারী’র কবিতা

রুদ্রশেখর

 

বাংলার শিশিরে ধুয়ে যাওয়া গদ্যের কুকুর

নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায়

তোমার পায়ে এসে ঘষে দিচ্ছে মুখ...

জলরঙে আঁকা তোমার আলতার আবছায়ায়

লেগে থাকা ব্যর্থ দধিমঙ্গল ফোঁটা

ও কি খাবে?

 

তুমি জানো, প্রতিবার তাড়িয়ে দেওয়ার পর

কুবকুবের পাশে জেগে থাকে ও

সারারাত্তির...

অন্ধগলির রাস্তার গরম পিচের ঘ্রাণ,

এই শব্দবন্ধ জুড়ে ও কেবল

তোমার আলতাবালা জন্মের কথা ভাবে।

শুভ্রনীল চক্রবর্তী

শুভ্রনীল চক্রবর্তীর কবিতা

রূপক

নষ্ট সময় বেয়ে ধার করে আনা কিছু জটিলতা

      পাশাপাশি সজ্জিত দেহ বরাবর

          কয়েক ক্রোশ-এর ফারাক

 

মৃতদেহ ছুঁয়ে থাকে আত্মার নারী

   দাহ হওয়ার আগ অব্দি

 

এক সবুজ রোদবেলায় আত্ম বিচ্ছিন্ন জোনাকী

      হারিয়ে যায় শবেদের তেজে

 

গাছের শিকড় মাটি ফুঁড়ে উঠে আসে

       খেলনা যোনির তো কোনো ব্যাথা লাগে না

 

পাশাপাশি রূপকের শোরগোলে হারিয়ে যায় সত্য

                       বিগত পূর্ণিমার মন খারাপে