অরিত্র
চ্যাটার্জি’র কবিতা
রিবন
দিয়ে বেঁধে ফেলেছো চুল
খোলা হাওয়ায় তার
গতিপ্রকৃতি
বেপথু হয়ে ভাসছে
এমন ক্যানভাসে শরীর
যেতে পারে যতটুক
তা থেকে
দূরত্ব রেখে এখন
মেয়েটির রাতপোশাক
তুমি কতখানি নাব্য
খুব নিচু স্বরে তা জানতে চাইছে
স্বপ্নের ভিতরে লেখা
১
আশ্চর্য এই এক দরজা
ক্রমে খুলে যাচ্ছে আমার সম্মুখে
অথচ তার প্রেক্ষিতে আমার ছায়াখানি নেই
ফোঁপরা পাথরের গায়ে ছিন্ন পাপড়ির দল
পুনরায় জুড়ে দিলে ভেঙ্গে যায়
ফোর্থ ওয়াল! আশ্চর্য এই দরজার
ওপার থেকে অনবরত হাতছানি দেয়
আমাকে জেরা করে, দণ্ডাদেশ জানায়
সৃষ্ট চরিত্রের দল আমাকে ঘিরে ফেলেছে
আর এই খেলাটা খেলতে খেলতে
ক্রীড়ক আমি কখন যে স্রেফ আরেকটা ঘুঁটি
হয়ে গেছি তা নিজেই জানি না!
২
আধিদৈবিক এক আঘাতে আচমকা মারা যাব আমি
আর আমার লাশ বইবে ঘোড়ামানবেরা
কোনো সুপ্রাচীন সামুদ্রিক মন্দিরে, শতাব্দী পেরিয়ে
যে বুলেট ছুটে আসে, এ নিয়তি তার দেহে লেখা আছে
আর আমি যে আগুনের ভেতরে চিঠিগুলি পেয়েছিলাম
এত বেশি তুফান, তাতে লাইট হাউসের কথা বলা ছিল
আর আমি যে রাস্তা হারিয়েছিলাম, এত বেশি অপরাধ
করেছিলাম যে আমাকেই যাজকের দণ্ড দেওয়া হল
আর আমি যে ভেবেছিলাম সময় অতিক্রম করে ফিরে যাব
শতাব্দী পেরিয়ে এই আশ্চর্য বুলেট আমার শরীরে বিঁধেছে
আর আমি যে শুধু চেয়েছিলাম নিজস্ব স্বপ্নের ভিতর থাকতে
আধিদৈবিক কোনো আঘাতে আচমকা একদিন মারা যাব জানি...