সংযুক্তা পালে’র কবিতা
অরাজনৈতিক
যতদিন পাথর ঠেলছে সিসিফাস
একলা পিঠ ঠেকায়নি রোদ ততদিন
জানলা খুলে দেখা হয়নি কুকুরের সঙ্গম,
বিড়ালের বাচ্চা দেওয়া
রক্তে ভেজা তুলো থুতু ছিটিয়ে ডাস্টবিনে ফেলার আগে
কলার খোসা, ডিসপ্রিনের পাতা,
কন্ডোমের প্যাকেট, 'মাদার' বইটার
উইয়ে কাটা মলাটের অংশ চোখে পড়ে যায়।
জীবাণুরা ইউনিট টেস্ট দিলে হয়তো...
এমনও প্রশ্ন এসে যেত
কতটা সফল মানুষ?
আমের আঁটি চুষে শেষ হলে
ধনতান্ত্রিক হাতে যে গাছ পোঁতা হয়
আমাশার দিনে উবু শরীরে গর্জে ওঠে
প্রলেতারিয়েত সংগঠন
ঘন ঘন ব্রা’র হুকে নৈঃশব্দ্য ভাঙে না আসলে, ভেঙে যায়
পাথর-ঈশ্বর-শরীর
একই সরলরেখায় এলে
সাংসারিক
বাচ্চার লালাপোষে ঢেকুর তোলা দুধ
আদো আদো গন্ধের মাখো মাখো ভাব
কুড়িয়ে জড়িয়ে যাওয়া
মোমের আলো আবেগ, অন্ধকারে পেঁচা
রাত্রি এলে মশার খিদে, সাংসারিকের
মশারি আর ল্যাংটো আদর খাওয়া।
ছড়িয়ে বসা,তফাৎ হাঁটা,
কোলবালিশে হেলান
মধ্যদুপুর...শাওয়ার কার্টেন...
রুচির পর্দা ফাঁস
এলোমেলো হাতড়ানো সব ভুল ফাইফরমাস
বি.বা.দী বাগ কাঁদছে ঝড়ে ক্যানিং ভালোবাসা
মিনিবাস আর চায়ের দোকান—ওপারে ঘরবাড়ি
অটোয় ব'সে যেসব গল্প ভাব কিংবা আড়ি
সবাই ফেরে পাঠ্য বইয়ের ছন্দ কবিতায়
ব্যাঙের জিভে ফড়িং লাফায় কাহিনী এমনটাই
চাঁদের বুকেও আগুন থাকে কলঙ্কে জ্যোৎস্নায়,
মদের গ্লাসে কালচে নেশা যখন মৃতপ্রায়
পানকৌড়ি স্বপ্ন তুলে দরজায় রেখে দেয়।
কলাপাতায় চৈতন্য হৃদয় বয়ে যায়...
সরস্বতী
মরাল চঞ্চুর গরিমা নিয়ে হেঁটে যাও তুমি
নিসর্গের অভাবী প্রেক্ষাপটে
তোমার সাদা–হাঁস শালীনতা–
রক্তস্বাদ ফিকে হয় তেঁতুলবনে
বর্ণাঢ্য মিছিলে কোথাও একফোঁটা সাদা নেই আজ;
সরস্বতী নামের যে নদী শেষ সূর্যাস্ত দেখেছিল
তার সব লাবন্য গাছেদের শেকড়ের নীচে,
কেউ কেউ পুতুল আঁকে, ভরে দেয় মিথোজীবী প্রাণ;
তোমার গাঢ় নীল ওড়নার নীচে প'ড়ে প'ড়ে ঘুমোয়
সফেদ সমুদ্র সন্তান
No comments:
Post a Comment