সিদ্ধার্থ দাস-এর কবিতা
মহামারী দুঃখ আর বিন্যাস
১
দুঃখ আর বিন্যাস সমান বিনয়ী কেউ ছেড়ে কথা বলেনি।
ক্ষমা চাইব না
কিছুতে ভেঙে পড়ি না অরন্যসপ্তাহ। বড়োলাটকে বলে
দিয়েছি নীল চাষ করব না।
দাদন চাই না শুধু খেয়ে পরে বাঁচি।
২
মেঘ বালকসুলভ বিচিত্র দোঁয়াশ। প্রয়োগ ভেদে
জলকাটা।
আয়নার সামনে ভ্রম কাটেনি। ডান হাতে লিখি। পদহস্তাসনে
তলপেটে চাপ পড়ে। মেঘ ভূমিষ্ট আদরের দেশে।
৩
কথার ধোঁয়াশারা ভবিষ্যৎ। ধর্ম নিয়ে যত সিনেমা
সবটা মহাভারতে আছে।
হাত ঘসে করতল উষ্ণায়নের শিকার। হাত ধুয়ে
মধ্যবিত্ত
প্রায় সর্বশান্ত। চোখের কাজলে গান্ধারী রুমাল
ভিজিয়ে ফেলে।
ছায়া সঙ্গী
অদ্ভুত উদ্দেশ্য সব ছায়া আর মায়া হাতের রেখা
কাটাকুটি খেলে।
ক্ষয় খতির হিসেব হয় না। খুব কম সময়ে বাসস্হান
মেরামতি,
সাজানো সংসার
পানীয় জল বিদ্যুৎ নূন্যতম পরিষেবা-মানুষের পরিচয়।
পায়রা বর্ণ পরিচয় জানে। মোঘল প্রাসাদে জনান্তিক
উপনগরী। দলবদ্ধ
রেশনে মুসুর ডালের লম্বা লাইন, ধান গম জীবন ধারণ।
ফাটা বাঁশে টিন গুল পেরেক, আন্দোলনের সাথী কাছেই থাকত
একসময় চাতক বাড়ির অমতে বিয়ে তারপর ছাড়াছাড়ি ইন্দ্রিয়
আদ্যন্ত সজাগ।
ঘাসের মধ্যে সহজ অনুমেয় কিছু শাকপাতাড়ও আছে
অগম বিস্তারে প্রাচীন শান্তিপ্রিয় পুরোহিত।
মনস্কামনা জানালে
হাতেনাতে ফল পাওয়া যায়। ঘাসে নিহিত খনিজ
পাকস্থলীর
পাচকরস নিঃসরণে নগরকীর্তি। কেউ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে
ছোঁয়াচ বাতিগ্রস্ত
ফুল বাগানে লালিত্যশোভা ঘাসের উপর হেঁটে, আরক্ত পাপড়ি প্রেম
নিবেদনে নির্ভরশীল। আতাগাছে বিনিদ্র তোতার, মার্গ দর্শন।
মধ্যবিত্ত মনের কোণে
পাহাড় মানে ক্রমশ নীচ থেকে উপরে উঠি আর উপর থেকে
নীচে নামি।
দুটো ঘটনা ঘটে প্রায়শ একসঙ্গে।
কারো উপর বেশি নির্ভরশীল হলে সময়ের ব্যবধান বাড়ে মাত্র।
হাঁড়ির ভাত কতক্ষণে ফুটবে ঠিক হয় চাপের তারতম্য।
চাপটা স্বাভাবিক। কাঁচা হলুদ রোদ শুকনো চপল।
গৃহহীন উন্মত্ত অসুখ পাহাড়ের চ্যুতি―
ক'জন হাত তুলে
দাড়িয়ে সানু তলে, ক'জন গাছের দড়িতে গাছ বাঁধতে চায়,
দূর দূর সীমানা বেড়া ঘেরা জঙ্গলে ক'জন গৃহহীন।
কোলাহল বিহীন সম্পর্ক নীচ তলায় বাড়ি ভাড়া থাকে।
গাছগুলো এগিয়ে আসে প্রানবন্ত শহরের দিকে ঝড়ে
নানান বাহানা।
গাছ ও পাহাড়ে পর্যটন সমন্বয়।
No comments:
Post a Comment