নাসিম বুলবুলের কবিতা
আত্মদ্রোহ ও কৃষ্ণকলি সংবেদন
১.
কৃষ্ণকলির বুকের ভেতর শান্ত ডানা ঝাপটায়
আস্ত একটা সমুদ্র সে পেরোবে বলে,
কৃষ্ণকলি কি আদৌ সংবেদন জানে,
তার আসার অপেক্ষায় কত'গুলো নৌকা পুড়ে যায়?
কৃষ্ণকলি এক চিরপ্রত্যয়― হিরণ্যক প্রতিশ্রুতি
দিনমান পেরোনি ব্যস্ত বৈঠা না,
তার জন্য নীল নীহারিকার ছায়াপথ খুঁজি।
২.
আধখোলা দরজা দিয়ে কৃষ্ণকলি স্তূপ নিঃশব্দে
গতজন্মের মৃত শরীরটাকে ধুলোয় দ্যাখে,
নভকণিকার মতো চারিদিক কালান্তক মায়াঘুমে
আর কতদিন সে একলা কান পেতে প্রহর গুনবে?
বিচ্ছিন্নতার মৃদুমঞ্চ থেকে সে বিরহনীল পাতা নিয়ে
বিবেকচাড়ে অভিশাপ কত হল বলে যখন প্রশ্ন তোলে
কৃষ্ণকলির নিঃসাড় মুখে, হরদম সাহিত্য লাভা গুঁজি!
৩.
মরা বিকেলের ঝিমন্ত আলো ভেবে নিলে ভুল হবে
কৃষ্ণকলির চোখে এখন শহুরে টান, রঙিন সূর্য
মিশে গেছে সে বহুস্বর বহুকালের ভোরের ভিতরে...
বহুদিন যখন চেনাশোনা নেই, মনে হয় হটাৎ চমক
আত্মদ্রোহের নদী কিনারে এখন সে বেদি আরোহে!
No comments:
Post a Comment