রঞ্জন মৈত্র’র কবিতা
আঙুল ১
যে ঝলক খানিক পুড়িয়ে যায়
খানিক আলো অন্ধজনে
ব্রেইল অক্ষরে সূর্য চাঁদের যাওয়া আসা
দু'একটা হিউমার আর একটা দুটো শব্দমিথুন
তাকে প্রেমিক বললে ধাঁধায় পড়ি
কাকে ভালবাসে আমার আঙুল
ছুঁয়ে বোঝা দশ টাকার কয়েন
সে সূর্য নাকি চাঁদ
আমি তোমার পাশটুকু খুব মন দিয়ে চিনি
তুমি উত্তর তুমি নিরুত্তর কাছে বসে থাকি
চার জোড়া লাইন ও তাদের প্ল্যাটফর্ম
যত যাওয়া সবুজ ঝলকে
আসার অপেক্ষাও যতটা সবুজ
তোমার চশমাকাল ঢুকে পড়ে ডাউন লাইনে
আমার পাওয়ার নেই
প্লাস মাইনাস নেই
বসে আছি হে, ছুঁলেই তরঙ্গ হয়ে যাব
ছাদ
থাকার কথা ভাবলে বাড়িটি সাহায্য হয়ে ওঠে
একটি ভোরের মধ্যে স্থির হয়ে বসা
মানেময় পঙ্ক্তির সামনে আধো আলোর দেয়াল
হাত নাড়ো ছাদ নাড়ো
অন্ধকার দোমোহানীতে টেকনিক নয়
জলধ্বনি গড়ে তোলে নদীনাম
পথ পালটে ধুলোয় এসেছি
দূর আবাসন থেকে চলকে পড়ে আলো
ঝলসে ওঠে প্যানডেমিশিয়া
ইয়ে হাত মুঝে দে দে
নিরক্ষর রেখাগুলি ভালবেসে পড়ি
তাদের রক্তমাংস সমবেত আঙুল
মেঘলা বাড়িটি ডাকে
তার পরমাণুগুলি সোঁদা চব্বিশ পরগণা হয়ে যায়
এডিটেড চোখ
শরীরে থকথক করছে নীল কাদা
তুমি কি নদী
পাতায় উপচে পড়ছে অ্যাক্রিলিক গ্রিন
তুমি কি বনানী
হাতে এত আগুন ও রামদা
তুমি কি পাড়ার লোক
বুক করে বসে আছি
অ্যামাজনের জুতো
জোম্যাটোর বিরিয়ানি
কখন জল বন্ধ আলো অফ
আগুন জ্বলে উঠবে আর
রক্ত যার টুপ এখনও শুনিনি
ভাললাগার ঠিকঠাক অ্যাংগেল আছে
ধ্বসন্ত মকান বা সুচিত্রার মাটি
কাগজ দেখে মেঘ কালো বলা বাচিক পাখিটি
খুঁজেছিলাম চোখ
ভাবতাম বলব ওগো চোখ
ক্যামেরার পিছনে এত প্যাস্টেলের খালি বাক্স
এত দাঙ্গা ও কল্যাণ মণ্ডপম
পাড়াটি হারিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment