সন্দীপন দাসের তিনটি কবিতা
১.
ক্যাথারসিস
চোদ্দ
প্রদীপের আলো ম্লান হয়ে যায়
যখন
জীবন দ্যাখে যে নদী চেয়েছে সে তুমি নও
যখন
না-পাওয়ার রং ফুটে ওঠে শিকড় ফুঁড়ে
যখন
ক্লান্ত হাতে দিনান্তে মা ফিরে যান রান্নাঘরের ঝুলকালি হয়ে
যখন
অনেক আকাশ, অনেক রঙিন মুখোশ পেরিয়ে
এক
যাযাবর দাঁড়িয়ে থাকে এক আকাশের নিচে
ডিভাইস
তখন খসিয়ে ফ্যালে সব একেশ্বরবাদ, সব দর্শনশাস্ত্র...
মুহূর্তে
বোকা চোখে ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকেন
ভিক্টোরিয়ান
এরা'র সব পোয়েটস্রা
এভাবেই
ভুল করে ফ্যালে দিগন্ত,সব বন্ধুরা, ঐ যাযাবর
চোদ্দ
প্রদীপের আলো ম্লান হয়ে আসে
যখন
তুমি দ্যাখো সোনার বিগ্ৰহ, পরমান্ন চেয়ে
পেয়েছ
প্ল্যানচেটের আত্মা...
২.
ইদিপাস
সবকিছু
জানতে নেই, সবকথা শুনতেও নেই
এই
যে রাতবিরেত জেগে থেকে তুমি
নিঃশপলক চোখে দেখছ
শতাব্দীর
পর শতাব্দী সন্ধ্যাতারার নিপুণ অভিনয়
লাজ-লজ্জার
মাথা খেয়ে ছুঁতে চাইছ আলোর শরীর, একাকিত্বের স্থাবর-অস্থাবর
তোমার
লুকিয়ে রাখা ব্রক্ষ্মাস্ত্র কি জানে?
আমিও
শরীরের গোপনে লুকিয়ে রাখি শেষ তুরুপের তাস
ভাবি,
একদিন ওদের দু'জনের ঠিক দ্যাখা হবে
সব
চুপকথা, বোবা অভিনয়ের ভিড় উপচে পড়বে বৃষ্টির
বন্দিশ
ঠিক
একদিন...
৩.
ওয়াচটাওয়ার
দেখি
সন্ধেমণি ফুল শুয়ে আছে তোমার পাশে
তারও
পাশে ঈশ্বর...
ফুরিয়ে
আসা বিকেল অলিতে গলিতে মুখ লুকিয়ে কাঁদে
সন্ধের
আড়ালে গোপনে জমিয়ে রেখে দ্যায় অনেক আগুনরঙা
ছুরি
তবু
জল ছুঁয়ে দ্যাখেনি আহত আলো
শহরের
অসুখ, দিগ্বিজয়ী ঘোড়ার লাশ, অনেক
দ্বাদশী রাত
ফুঁৎকারে
উড়িয়ে দিয়ে সেও রেখে যায় পাতার খিদে, ধুলোর
মৃত্যু...
হে
প্রভু, আলোর দুনিয়ায় এভাবে না দাঁড়িয়ে
দূর থেকে
সে
আলোকে শিরায় শিরায় জাগানো ঢের ভালো...
ঢের...
No comments:
Post a Comment