অভিজিৎ দাসকর্মকার-এর কবিতা
লাইন সংখ্যায় কবিতা আরাম
[১]। আড়মোড়া
আমার একটা বটগাছ আজও রয়েছে
পার্শ্ববর্তী ঝুরো গল্পের গায়ে লেগে রয়েছে নদীর কৌতূহলী এপাড়―
মুখের আড়ালে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। চিহ্ন নেই পরিষ্কার জঙ্ঘার গায়ে―
শুধু,
শুদ্ধ উচ্চারণ লেগে আছে বাঙ্কের উপর রাখা বিকেলের
অলস আড়মোড়ায়।
[২]। শুরুয়াত্
যে হাওয়ায় অন্য আ'রেক শুরুয়াত্ টগর হয়ে হেসে ওঠে, তার আর আমার সকালের ওঠার সময়সীমা মাত্র একটি শব্দ―
[৩]। সোঁদাবাষ্প
পড়শির প্রাচীরের অটুট ওপারে
পরিচর্যিত হওয়া দুটি করবি ফুল, আর
নৈর্ঋত কোণে বাঁশঝাড় জুড়ে হেটে চলা নদী, নদীর যৌবন, আর ক্ষয়ে আসা রজঃস্বলা;
আস্তে আস্তে মাটির সোঁদাবাষ্প হয়ে আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যা...
[৪]। ফেসবুক স্টোরি
গাছ থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে ১টি বড়ো ফাঁকা জায়গা―
গাছের পাতা অনুযায়ী পরবর্তী কয়েক দিন পর আবার
কবিতায় আসবে কলিঙ্গ জয়ের কথা, এবং
ফেসবুক স্টোরিতে সাঁটানো থাকবে আপনার আর ১টি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের ক্যাপশন।
তারপর,
প্রতিদিন ৩:৪০ এর পর ঘড়ি দেখে অনর্গল ওলট-পালট হবে বড়ো, সরু আর সেকেণ্ডের কাঁটা―
[৫]। রঁদেভু
জলের কাছে এসে আকাশের মেঘলা জীবনে সংগীতময়
স্নিগ্ধ বৃষ্টি এবং
নৌকাসহ বয়ে চলেছে আমার, নৌকা আর জলের ছায়া।
আমি উত্তম পুরুষকে অন্ধ আঘ্রাণে, প্রতিটিদিনকে মুখরিত হতে দেখেছি গোমেদরঙে―
এবার আষাঢ় আসুক সমাজে। সব লেখাই ধান শিস হয়ে অক্ষরিত হোক তোমার শরীরে। আমি শরীরদ্বারে পথ আগলে বসে রয়েছি...
১টিবার রঁদেভুতে এসো―
১টি আঙুল করা কবিতার ৫টি অংশ
১। কনিষ্ঠা
আমাকে নিস্তরঙ্গভাবে সন্ধিবিচ্ছেদ করেছে বিছানার
আর্দ্রতা
নদীপ্রবাহ মিশেছে প্রথম অনুচ্ছেদে...
হয়তো তাই
আমি প্রাতভ্রমণ শব্দটি বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি―
২। অনামিকা
তারপরও
বৃষ্টি দেখিয়েছে চোখের ছায়াবিশেষ্য
আমি দূষণের সম্ভাবনা না দেখেই―
স্টিমড-ইলিশ অর্ডার দেওয়ায়
উপরের লাইনগুলোয় কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন হলো
না...
৩। মধ্যমা
আমার মরণদশা লিটমাস পেপারে বিলিয়মান।
এইজন্যই
আকাশবাণীর মহিলামহল-ও আজ বিরহিণী,
তাই
আমাকে অনুসরণ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই...
৪। তর্জনী
একদম উলঙ্গ ছিলাম না―
জ্যোৎস্না আর ক্রিমশন ভায়োলেটের দ্রাব্যতায়
সাওয়ারের নীচে বসে আছি
আমি শরীর ধোয়া বাল্মীকি―
কেন-না তখনও
চিনিচিন করে বেরিয়ে আসছে অম্বঋষি গোত্রজাত
কান্না...
৫। বুড়ো-আঙুল
জীবনযাপনে পদবিযুক্ত অভিলাষ
হয়তো
আমার মন্দাক্রান্তা নাম আর মালকোষ প্রিয়
আলজিভে গোলাপি রঙের বসন্তবৌরী পাখিটি
দু-একবার বসন্ত বলে ডাকার পরও
ভাবলাম
তুমি যদি কোনোদিন হলুদ রঙে ঝাপসা দেখো তাই...
No comments:
Post a Comment