সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়-এর দুটি কবিতা
ডুবসাঁতার
এই শুভ্র খিদেপন্থা, নীবিবন্ধে
আয়ুধ সাজাই
মোমের শিখরপ্রান্ত বধির যৌবনে জ্বরাতুর
হয়েছে। পরমরন্ধ্রে কুটিল সাযুজ্য-ব্রতে সাঁই
আমার আঁখিভান্ডে স্নায়ুযুদ্ধ, কার্যকরী
ক্ষুর
ধরো যত্নে, সাহচর্যে নিরাসক্ত ভুলের মাজারে।
ফিনকি দিয়ে চক্রবাক উড়াল যেন মিথুনআকৃতি
শোষণে অঙ্গুলিমাল হঠকারী শান্তি সমাহারে
নিপুণ শৈলীদোষে ফেলুক আরোহণশব্দ, স্মৃতি
অমাত্যের মতো খাদ্যরূপ হত্যা মুখে তুলে নিয়ে
জড়বৎ মৃত্তিকার গুহাশ্রান্তি মন্ত্রণায় ছেনে
রচনা করুক বিধি, আহাজারি শপথে কাঁদিয়ে
অপেক্ষার প্রজ্ঞারসে হরকরা নিরালম্ব জেনে।
নারকীয় শৈত্যে এই প্রোৎসাহন যদি জনপ্রিয়
শিথিলকায় ব্রীড়াতীর্থে অপ্রতিম দাহজন্ম দিও...
চিৎ সাঁতার
অনুপূর্ব ভ্রান্তনীড়, নৈশপথে প্রদীপ-বান্ধব
অণুছন্দে অতিরেক, হোঁচট জর্জর মাঝি-বালা
সুষুম্নাজাত মীন তুমিগন্ধে না-হুঁশ জান্তব
অণুজব্দ পূর্ণিমায় এইমতো কুম্ভীলক পালা।
অনুকম্পা দামী তার শিশ্নকূটে শ্লোকায়ু ছমছম
দূরাত্মা'কে ছল নয় অনুশীলন দিয়ে মাপা হলে
ধান বলতে ভান গিলে নিমিত্তের হাপরহাঁই দম
ফিরে আসে। চতুষ্পদ অগ্রজ বায়ুশীর্ষে দোলে
দোদুল বেহেড উৎসমুখে জীর্ণ নীবারকুটুম
স্বৈরাচারে যুথবদ্ধ একাকীত্বে তপস্যাবিহীন
শ্বসনাঘাতে ব্যকরণগত বিচ্ছেদের মরশুম
চিঠির সন্ততি যেমন শান্তিরঙে জারজ, স্বাধীন।
এ মন শ্যামকল্প, প্রতিবিম্বে নষ্ট উপমান
কীর্তনে ছিন্নমাথা লেহনের অর্জিত বানান...
No comments:
Post a Comment