অনিকেশ দাশগুপ্ত-এর দুটি কবিতা
আলেয়া নবীন
নতশির হয়ে প্রমুখ বিষণ্ণ রেস্তোরাঁর মুখোমুখি হই
কাচের দরজায় নিজের ছায়া ঠেলে
অন্তর্মুখ কোনো কিয়স্কে দেখি
মানভঞ্জনের হলুদ ডায়েরি
মৃগশিরার পুঁজ আর বারোয়ারী সর্পিণী মহল
গোল পরিধির চারপাশে মদ্যপ নখরগুলি আঁচড়ে চলে
রাত্রির পাঞ্জা, বিকাশোদ্যত বহুতল ও গাছেদের বাবরি
ট্রাকের ক্ষুরধার আলোয় ঠিকরে দেয় যা বহুলাংশে
মিথ্যা
দর্পণের মেহন মনে রেখে রুপার মাকড়সা গেলে আনি
সর্বৈব তুহিন, নীল ফুলের খসে পড়া পালঙ্ক
গাঢ় হেডলাইট যখন মন্ত্রপূত বাসা হাতড়ে বস্তুত
পেছন দরজার কোনও কৃষিমুখ খুঁজে মরে
মৌসুমী
শেষ রাত্রির ঢের চাঁদ ও পরম্পরা আমাদের স্বপ্নে
গাঁথা
সমান্তরাল শালুকগুলি প্রায়ান্ধকার মাথা উঁচিয়ে
সীমান্ত-ফড়িঙের কথা পাড়ে
তুমি সেই স্বাধীন ও বল্কলের রাঙা আতিশয্যে
ভাঙা কুয়োতলার মজুত জোনাকি-পৃষ্ঠা
একে-একে উল্টে যাও
নিবিষ্ট স্তনে একেকবার তেরছা রৌদ্র পড়ে
সমুদ্রতট, আমাদের প্রভাতী বিষণ্ণতা,
চুমুকের উষ্ণ জ্যোতিষ্কসারি ভ্রান্ত
ক্যাফেটেরিয়ায়
ক্রমাগত চলকে ওঠে
No comments:
Post a Comment