সঞ্চালিকা আচার্য-এর দুটি কবিতা
১। মরাসিম
যেদিকে চায়, আমায় টেনে নিয়ে যায় স্খলিত গুমটি।
তুমুল ঝরার দিন অবাধ ছুটে আসে
লম্পট বেড়াল।
ডিজিটাল অমূর্ত ফুলদানির দেওয়াল ঝংকারহীন সরু করে
মন
শঙ্খসূতার মতো। নপুংসক আক্ষেপে।
মেঝের ময়লা তুলে তুলে হ্রদ ভরে নেয়, নিঝুম চৌকাঠ―
পেটে অবুঝ লেখনী নিয়ে দগ্ধ মাংস প্রগাঢ় জলসায়।
বাগানের মধ্যিখানে বিষবাষ্প ছিল, গ্যাসীয়
পরিণাম। আর্দ্র রাত্রি চাঁদকে পায়নি কখনও, শুধু নিউজপ্রিন্ট ছয়লাপ করেছিল
কেচ্ছা। ঠুনকো তাও। মানুষের হাত সরে যায় রিয়েল এস্টেট এবং আপনার
আজকের দিনে।
গোলাপ শুকিয়ে গেলেও কাঁটার নৈমিত্তিক
আঁচড় মনে করায় পুরনো কালভার্ট। পিয়ামুখচন্দা।
আর তুমি! বিবাহের আগুন থেকে নির্বিকল্প উঠে এলে।
কতটা মদির হিল্লোল পেলে
বিনষ্ট অনুরাগে
জলের দুহিতা
আঁকতে পারে নক্ষত্র-মহিমা অপাংক্তেয় কবিতার দেহে?
২। নকল আগুন, নকল শিখা
এবং অধিকতর নকল আমাদের সমস্ত ফেটে পড়ার পৌনঃপুনিক
ন্যারেটিভ। অথচ ভেবেছিলাম জানি আমরা কোথায় চলেছি। সামনে ছিল কৌলিক ডানার দাগ, অরকা তিমির
এটিকেট আয়ত্তে। বেয়ারা বৈঠা তবু আমাদের পশ্চিমে নিয়ে এলো। এই যে নিভে যাচ্ছে
জ্যোতি একে একে, বাতিঘর
নিশান হারিয়ে ফেলার পর সংস্থান শুধু দেহের নীলাভ উল্কি। যে গল্প মুদ্রিত হয়ে আছে
ওই রেখায়, আমাদের
কথামালা শোনায় মুখোমুখি বসে
শোঁ শোঁ রাত্রিবেলা। শেষের প্রতিটি লহরে নতুন
পঙক্তি লেখা হয়। অন্তরীপের গায়ে অচিরেই ঊর্মিভঙ্গের মতো নির্বাপিত হবো। তারপর সহজ
শরীরে ঘরের দিকে ফেরা।
তখন অনেক দূরে করতোয়ার স্রোতবিথারে পাগলি অতসীর
পায়ের কাছে বসে
তোমারও ঠিক মনে পড়ে যাবে অভাবী দিনগুলো, আর আমাদের
গানের গলা।
No comments:
Post a Comment