জয়ীতা ব্যানার্জী’র কবিতা
ঘুড়ি ও রাত্রির কবিতা
১
সন্ধের আজানে আরও কিছুটা সময় বাকি
পানাপুকুরের হাঁস মনিবের ডাক শুনে
মেঠো পথ ধরেছে এখন
তোমার আসার কথা আজও সত্যি জেনে
মেঘের অনতিদূরে দ্রুতবেগ ঘুড়িগুলি দেখি
দেখি জোড় গাছটির পায়ে সকালের বাতাসা ছড়ানো
আর অপরাজিতার কুঁড়ি। মনে হয়
পৃথিবীর সব মায়া, ব্যর্থতা যেন এই এক গাঢ় নীলে
সফলতা ভ্রমে কেউ নৈবেদ্য সাজিয়ে দিয়ে গেছে
সারিবদ্ধ কীট আসে, তাকে ঘিরে অবেলায়
মাছি ওড়ে বিষাদের মতো
২
যেমন সকাল আর সরোদের মধ্যবর্তী এই
একফালি মোহ,
সুখ বৃষ্টিকে অনিবার্য করেছে
তেমনই হাওয়ার রোখ, পাঁপড়ির কেঁপে ওঠা, আলো
আমাকে সে অদৃষ্টের কাছাকাছি আনে
যাকে দেখবার সাধ দূরতর পাখিটির স্বর
অথবা সফল সেই ঘুড়িটির মতো, যার
অনন্ত উড়ান দেখে নিচেই কোথাও তার মনিবের
গরিমা-ও আঁচ করা যায়
৩
রাত্রি-কে 'নির্মোহ' নাম দিয়ে কারা চলে যায়
ওদের প্রেমিকা আছে। দিনের অন্তিম-এ আছে থালা ভরা ভাত
পথের কুকুরগুলি পরস্পরের থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে
এই মোহহীন রাতে চাঁদ দেখে
নক্ষত্রের মতো দানা শুকনো ভাতের। অতঃপর
তারা-ও ঘোলাটে চোখে মানুষের দলটির পিছু নেয়
এ যাত্রা এবং স্বর্গারোহণ যে এক-ই
ধর্ম সে কথাটুকু প্রকাশ্যে বলে না, শুধু
লেজ নেড়ে সম্মতি জানায়
খুব ভালো লাগল জয়ীতা
ReplyDeleteধন্যবাদ জয়শ্রী'দি
Deleteভীষণই ভাল লেখা । আপনাকে যখনই পড়ি, মনে হয় কোনও এক অতলের ক্লান্তিহীন বৈদগ্ধ্য থেকে আপনি আপনার লেখাকে গড়ে তোলেন । সিরিজের উত্থান যে কবির হাতে স্বয়ংক্রিয়, নিঃসন্দেহে বলা ভাল সে কবিতার গহন, কবিতার শরীরকে চেনে, তাঁর কাব্যভাবনা ভীষণ জটিল । আমি বলব আপনার কবিতার পাঠক হতে হলে বেশ পড়তে হয় । অন্তত আপনি পাঠকের নিষ্ঠা ও মানসিক পরিশ্রম দাবি করেন আপনার লেখায় । এই নিরন্তর কাব্যচর্চাই কবিকে চিরস্মরণীয় করে তোলে । আপমাকে মানুষ খুঁজে নিয়ে পড়বে । বেশ ভাল লেখা । আপনার এই কবিতাগুলো নিয়ে বই হওয়া উচিত ।
ReplyDeleteশুভেচ্ছা নেবেন ।
।। শুভদীপ নায়ক ।।
সৎ পাঠক পাওয়াও একপ্রকার প্রাপ্তি। সংখ্যায় খুব কম হলেও, আমার ঝোঁক সর্বদাই সেদিকে থাকে। ধন্যবাদ শুভদীপ, নিরন্তর এরূপ উৎসাহ দেবার জন্য।
Deleteপ্রতিটি লেখা ভালো।
ReplyDeleteধন্যবাদ তনিমা'দি
Delete