দীপ ঘোষ-এর গুচ্ছ কবিতা
রঙচঙে
লাল
ফ্যাকাশে
উত্তরসূরি, প্রশ্নকর্তা বাবা কিংবা জেঠু,
তাকে
প্রথম প্রশ্নটি করা হয়েছিল,"আপেলের রঙ কী?"
মিচকে
হাসি, উথলে ওঠা কৈশোর জবাব দিল 'লাল'।
"কতরকমের
লাল হয় জানো? "
বন্ধুর
মৃতদেহ নিয়ে ছুটে যাওয়া কিশোর, রক্তের লাল দেখেছে।
মিছিলের
শেষে, চা-বিস্কুট খেতে খেতে লাল চুড়িদার দেখেছে।
বয়স্ক
বাবার জন্য আপেল কেনা যুবক, যেভাবে মন দিয়ে লাল দেখে,
তা
পৃথিবীর যেকোনো দৃষ্টিকে হার মানাতে পারে।
পৃথিবীতে
একটি ব্যবসা গড়ে উঠতে পারত।
কিংবা
হয়তো চলছে।
উত্তরসূরি
তবু এখনও বোঝে না
আপেলের মতো গাঢ় লাল পৃথিবীতে হয় না বিশেষ।
নীল
নামিয়ে
ফেলা যায় অনায়াসে গলা দিয়ে,
তবু
বিষ কন্ঠে রয়েছে।
বেঁচে
থেকে প্রতিদিন সাজাচ্ছে মৃত্যুর বিলাসিতা।
মৃত্যুতে
পড়ে না য্যানো নীল আকাশের কোনো ছায়া।
অথচ
নিজেই সে আকাশের কাছাকাছি কিছু,
অথচ
নিজেই সে পাখিদের যাতায়াত পথ।
বাড়ি
থেকে দূরে যায় প্রতিদিন কেরানীর কাজে,
ফিরে এসে রোজ ভাবে, না ফেরাও যেত।
সবুজ
ভাগাড়ের
ধারে দেখি বেঁচে আছে কিছু লোক,
পাশেই
সাজানো আছে তাঁবু,
পেটমোটা
বাচ্চার হাড় গোনা যায় চাইলেই।
তবুও
মরে না। বেঁচে থাকে। কেড়ে খায় যা কিছু দ্যাখে...
ওর
মা ভাত রাঁধে, সবজিও
সবজি
সবুজ থাকে, ভাত য্যানো ময়লা মেশানো,
লরির
কারো ধোঁয়া মিশে গ্যাছে, মশলা জাতীয়।
যা
দেখে বমি পায়, তা খেয়ে বেঁচে থাকে রোজ।
কুড়িয়ে
আনা জামা ধীরে ধীরে খসে পড়ে যায়,
বুক
দ্যাখা যায় প্রায়ই, সবুজ এক ব্লাউজের ফাঁকে।
থুতু
আসে, বাঁ দিকে নর্দমা বয়।
সামনে
দাঁড়িয়ে থাকে ফল নিয়ে একখানা ভ্যান,
আপেল
কিনে প্রায়শই বাড়ি ফেরে প্রাচীন যুবক,
নতুন
কিছুই য্যানো হচ্ছে না তার সাথে আর।
No comments:
Post a Comment