দেবলীনা চক্রবর্তীর গুচ্ছ কবিতা
শুধু তোমারই জন্য
প্রপঞ্চ কাটিয়ে উঠে
দেখা দিলো একফালি ভোর
বহুদিন বাদে এই আলোতে তোমায় দ্যাখা,
চারদিকে ছড়িয়ে থাকা উপাদান
খুঁজে নিচ্ছে চোখের থৈ থৈ
আমি, বিসমিল্লার
সানাইয়ের মতো
রেখাবি বাদি স্বর আঁকড়ে ধরি, আর
মর্মমূল থেকে ঝরে পড়া সমস্ত
সম্বাদি স্বর ভেঙে ফেলি...
অলীক ভ্রম, ব্যর্থ প্রেম, মিথ্যে আশ্বাস
অন্ধ বিশ্বাসের মতো!
সবটুকু ছিঁড়ে ফেলতে চাই
যেটুকু আনত ঠুনকো ভাবাবেগ
কিন্তু কি সহজে ভেঙে পড়ে
বিরহী রোদবেলা
আমার কাঁচ দেওয়াল ছুঁয়ে জ্যামিতিক নকশা...
বেলা পড়ে আসে
তলানি আশ্বাসটুকু নিয়ে কেঁপে ওঠে
পোয়াতী পায়রা― অনিত্য সুখে!
তারপর...
আমার সিঁদুর-মধুমন্তিবেলা
দিগন্ত সূর্যকে শুনিয়ে যায় ব্যক্তিগত সানাইয়ের
ধুন
যা তোমাকেও ছুঁয়ে যাবেই একদিন
স্রোতস্বিনী
এই যে পড়ন্ত বেলার চামর দুলিয়ে অকস্মাৎ
ছুঁয়ে
যাও নদী
তিরতিরে
ঢেউ খেলে যায় স্বচ্ছতোয়ার আ-বুক জুড়ে
ক্রমশ
গাঢ় রং ধরে আবেগী বিস্তৃতি, আর
পাঞ্চজন্য বেজে ওঠে আন্তর স্রোতে
যে নিনাদ শুনতে পায় কেবলই নীল চোখের পাখিটি
এভাবে ছুঁয়ে যাওয়া বা বেবাক উদাসীনতা
সবটাই যেন একগুচ্ছ প্রণয়সম্ভার।
প্রিয় সুজনভাজনেসু
ব্যক্তিগত সমস্ত তর্যার আবেগপ্রবতা জলাঞ্জলি
দিয়ে
মুখোমুখি হই নিয়ন্ত্রিত ইচ্ছা বেসাতের
মানভঞ্জনের আদলে এসে দাঁড়ায় প্রিয় সুজনভাজনেসু
এলাচ গুঁড়োর অ্যারোমাটিক সৌহার্দ্যে খুলে যেতে
থাকে দিনমানের ঋনাত্মক ইচ্ছেগুলো,
যতিচিহ্ন ছাড়াই দৌড়ে বেড়ায় ইমোজির পুঁটুলিতে স্ক্রীন টু স্ক্রীন―
সদাহাস্য মুখ বা ভালোবাসার স্ফীত ঐশ্বর্য্য
নিয়ে।
তখন সব ভুলে অভিসারি সেফটিপিনের জিভ চিরে দি আর―
রাষ্ট্রের ইচ্ছাধীন কোনো এক জ্যোতিষ্কের উজালায়
আমি সর্বাঙ্গে স্নাত হই ~
তখনই―
পৃথিবীর যোনি বেয়ে গড়িয়ে আসতে দেখি ভেজা
অন্ধকার!
No comments:
Post a Comment