সুবর্ণকান্তি উত্থাসনী’র গুচ্ছ কবিতা
(১)
দ্বিতীয়
সূর্য
একটি
নারী ও একটি পুরুষ চলেছে গাঢ় নীল ব্রহ্মাণ্ডের রথে চড়ে
একটি
ঘুমন্ত দেউড়ির গা ঘেঁষে ঘাস খায় একটি আলিসান ঘোড়া
নারীর
বেগনি খোঁপার মতো ঘোড়ার ক্ষুর পুরুষের লাল দাঁড়ির মতো লোম
আকাশ
থেকে ঝরে পড়ছে শাদা বরফ কুচির মতো ইষৎ কবোষ্ণ নক্ষত্র
ঝরে
পড়ার মধ্যে আছে রৌপ্য তৃষ্ণা
পতনোন্মুখ
গোত্রের ঠিক আগে অবধি
আকর্ণ বিস্তৃত
মফস্বলের পথ মানুষ ভালোবসেছে
শোক'কে নাল পরিয়ে রেস্ জেতার গেঁজুড়ে স্বপ্ন দ্যাখছে কজন
দৃশ্যত
বদলের স্বপ্নে ভিটেমাটি কেড়ে গ্যাছে রক্তপূত সত্তরের দশক
নারী
ও পুরুষটি যে কোথায় হারিয়ে গ্যালো
তাড়ি
খেতে খেতে সর্বশ্রান্ত রেসুড়ে
কখন
যে মৃত্যুর কোলে ঢলে গ্যালো
আপেল
খেতে খেতে তুমি জানতে পারলে কি
আধো
প্রকৃতি আধো ধর্মে নক্ষত্রের যে রোদ
মোরামে
বন্দী হয়ে শূদ্রের উদ্ভাসিত কবচ
(২)
স্থবিরতা
মৃত্যু
এসে ঘিরেছে আগে
তারপর
নৈঃশব্দ এসেছে ধীরে
সলজ্জ অবগুণ্ঠনে
তাকে
বলেছি তিষ্ঠ
দীর্ঘ
হিসাবনিকাশ বাকি চরাচরের
জিহ্বার
খেদ পেষিত চাল
সংক্রান্তির
স্নান পিণ্ডের খুদকুঁড়ো
ভেসে
যাক সুবর্ণরেখার স্রোতে
দর
ঘৃণা
শাপে
অবশেষে
কিউপিডের স্পর্শে
শীলভদ্র
হয়ে মিশে যাবো
তার স্থাপত্যে
(৩)
আক্ষিণ
ঘুমের
ভেতরে স্বপ্ন নয় কাঁকুড়গাছি স্টেশনের
মালগাড়ির
গোঙানি করে চলে প্রদক্ষিণ
কিংবা
টিক্ টিক্ সতত সঞ্চারিত ঘড়ির কাঁটা
ক্রমশ
ধীর বিলম্বিত লয়ে গড়িয়ে চলে
সেদ্ধ
ধানের নিকোনো উনুন ধান্যলক্ষ্মীর অর্চনা
সুয়োদুয়ো ব্রত চুঙ্গাপিঠা হয়ে আসে ক্ষীণ
সিলকাটাইওয়ালা
বোঝে না এই দৃশ্যের ভেতর
কতসংখ্যক
স্মৃতি জন্ম নেয় কুঁয়োজলে
এরইমধ্যে
আমার মা তারই সুদূর মেয়েজন্ম
আসে ফেলে
No comments:
Post a Comment