অনিকেশ দাশগুপ্ত-র কবিতা
দিক নির্দেশ থাকতে নেই
ফুরিয়ে যাচ্ছে রোদ্দুর
আর এই কাছে এসে বসা;
মাথায় জলপটির দুপুরে কাঠঠোকরা
নিবিড় মনোযোগে
একটি ছিদ্রের ভেতর উঁকি মেরে দেখেছিল
কাঠপোকাদের জমাট দুঃখ কীভাবে
খুবলে নেয় তার রঙ ওঠা ঠোঁট...
অসুখের পর
একা হেঁটে উঠি সমস্ত দোতলা ঘর,
তার ওপরে ছাদে রৌদ্রের জ্বলন্ত চলাফেরায়
কোনো পুরানো বালিশের তুলো আরও নতুন ও ফাঁপা
পেঁজা মেঘের ভেতর
এরোপ্লেনের রহস্যের মতন
অনেক কাঁচা ঘুমের
আনকোরা গন্ধ ছড়িয়ে যায়
সফ্ট টয়
স্পঞ্জ থাবার পুতুল তুমি
এমব্রয়ডারির স্বাগত ঘর্ষণ তোমার সন্ধিস্থলে
সাবান জলের কাঁচ ফিরে যাচ্ছে
তোমার আইনানুগ চোখে,
কাঁচের গায়ে দায়সারা মণি ঝুলে আছে
বাইরে অথবা ভেতরে―
জলে ভেজানো কার্পাস
তোমায় ভারী করে
অযুত নিযুত উদ্দীপনাহীন সুতোর জাল
তোমায় ভারী করে
দূত
হাতের অচেতনা বোঝাতে
একটা বইয়ের পাতা উল্টে যাচ্ছ ক্রমশ
যান্ত্রিক সিঁড়ির উচ্চতা এভাবে বেড়ে চলে
আর কাউকে কখনই দেখা যায় না নামতে
ফুলের টব থেকে আকর্ষ
উঠে যাচ্ছে উর্দ্ধমুখে
ওপরে গম্বুজে; বিরল সূর্যের ছকে
একঘর পায়রার জন্য বিকল্প কিছু কার্নিশ
যেখানে সমব্যথী প্রাচীন অশ্বত্থ বহুবার
তার বেড়ে ওঠার দাগ কাটে
এই মধ্যরাত থেকে শিশুপালনের ঘরগুলো
খুলে দেওয়া হবে
ওখানেই সমস্ত প্রতিবাদী ঘুম জড়ো করো
খুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteধন্যবাদ জানবেন ��
ReplyDelete