অদিতি চক্রবর্তী-র কবিতা
নারী নেই এই শহরে
আমরা মৃত্যু লিখতে পারি! অজস্র ঘাসের অভ্যন্তরে সাজানো গোজানো কয়েকটা পুরুষ বসে আছে, তাদের কোনো নারী নেই! না আছে কোনো অভ্যাস, ওরা চেয়ে দেখে, আর ওরা বসে থাকে ঘাসের মাঝখানে, সেজে ওঠে বিষণ্ণতার প্রথম পাতায়, ওদের পায়ের গোড়ালির লাগোয়ায় গোটা একটা বছর কেটে গেছে টের পায়নি! আকাশে উনত্রিশে গোধূলি নামতে নামতে, বাস্তবের মাটিতে আমি চারা গাছ লাগাতে শুরু করেছি, কারচুপি মেঘ তখন গিলে নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়
প্রতিটা পায়ের নখে যেন পরিযায়ী পাখি গম ভাঙাচ্ছে, শহরের শরীরটা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন, নারী নেই এই শহরে, আছে শুধু পুরুষের পোষ্য গিলে খাওয়া আগুন পাখি।
অন্য গ্রহ
উলকার মতোন ভেসে আসা যে কোনও ডাক ভয় দেখাতে পারে
অথবা এক নিমেষে নরককে স্বর্গ করেও তুলতে পারে একটা পাখি গাছে এসে বসে দেখতে পারে দুর্যোগ, চার আনা'র মতোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে সব থমকে যেতে
পারে আবার, এক নিমেষে শেষ করে দিতে পারে ভূমি।
সব সম্ভব সব...
পুরুষত্বের শিকার ফেমিনিসম
অনেক সাবকনসাস, নার্ভ ধরে এগিয়ে চলেছি
পুরুষত্ব নামক পবিত্র অগ্রাধিকারকে লিখিয়ে
চলেছি, মেল ডমিনেটেড এর পেপারে...
রাস্তার নোংরা, ড্রেনে এ পড়া কুকুরদেরও
শ্লীলতাহানির শিকার হতে দেখেছি...
পুরুষত্বকে ভিজে বেড়ালের মতোন
ফেমিনিস্টদের সামনে উদ্ভ্রান্তের মতোন
ভিক্ষা করতে দেখেছি, এখনো ঠিক সমানে
সমানে, রেজাল্ট বেরোয়নি, পুরুষত্ব এখন
নিজেকে সর্বের সর্বাভাবে, ফেমিনিসম আজ
ও পরিচারিকার কাজ করে দুমুঠো খায়
আর শিকার হয় পুরুষত্বের!
গরল
একটা বিষাক্ত বর্ণহীন উপক্ষার ভেতরে আজকাল সুখীই
থাকা যায়, বদমেজাজি আকাশে নিদারুণ হাত পা
ছড়িয়ে নেশা করার ভেতরে কোনো পিছুটান নেই, ঘন ঘন প্রবাহে ঘরময় নিকোটিনের সাথে অবাধ্য অপেক্ষা নেই আর শুধুই উপেক্ষা আছে
শুধুই উপেক্ষা।
অলৌকিক
রহস্য তখনও গাড়ো, সন্ধ্যার পর রাত অবশিষ্ট পড়ে আছে, শিমুল গাছের তলায় বিভিন্ন সূক্ষ্মদেহ ভেদাভেদ করছে, আলোচনা করছে হাজারটা প্রশ্ন, আগের জন্মের ইতিকথা, পঁচিশ লক্ষটা স্থান কাল সময় তখনও বয়ে যাচ্ছে আগন্তুকের মতোন, হাজারটা অর্ব শেপ নিচ্ছে গাছের পাতায়, তখন মাঝরাত, নার্ভ সেলগুলো জড়ো হয়ে আছে গাছের
শিকড়ের কাছে, আমার সামনে কামনা বাসনার অভিব্যক্তি
ঘটাচ্ছে,
অশরীরী তখনও পবিত্র চুল্লি গরম হচ্ছে শশ্মানের রাস্তা দেখাবে বলে!
No comments:
Post a Comment