লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Saturday, October 17, 2020

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল, দশম সংখ্যা

দেবীপ্রসাদ বটব্যাল-এর কবিতা


য়রামাছ

 

১.

একটি পেন ড্রাইভ

একঘন্টা

তারপর রোদ বৃষ্টি

এবং

 

এ সব চলতে চলতেই

ধুলো উড়ে যায়

 

২.

একটি গাছ, আর একটি ফল

ব্ল্যাকবোর্ডে এঁকে

স্যার ডাস্টার হাতে

আর

 

কোনাকুনি বেঞ্চে

আমার হেলে পড়া মাথায়

বাবার মতো একফালি

রোদ

 

৩.

শুধু মা জানত

শেষ গরাস খেয়ে নিলে

গা'য়ে লাগে

 

যদিও মা কখনো মিথ্যে ইলিশের গল্প

বলেনি

 

মা'র শেষ

ইনহেলার কত দামি

আমার জানা হয়ে ওঠেনি

 

৪.

সবজি বিক্রেতা আর

রবীন্দ্রনাথ

পুষ্টিকর, যোগান

খাওয়া আর গেলার মধ্যে

 

আমি

ফালতু তফাত খুঁজে মরি

 

৫.

আমি নিজেও প্লাটফর্মের

সিঁড়ির মতোন

 

দৌড়ে ফুটব্রিজে উঠে

দৌড়ে নামা

 

পড়ে থাকা পাগলটাই কেবল

আজ পর্যন্ত

ভাগলপুরের ট্রেনের খবর শোনেনি

 

৬.

মা'কে দেখলেই আমার একটা

দেশের কথা মনে পড়ত

 

ধানজমি, কলমিশাক,

আলপথ দিয়ে

 

ঐ যে আকাশটা হেঁটে যাচ্ছে,

ঠিকানাটা

ভরা থোড় খুলে শিশিরভেজা

 

আমি জানি ওখানেই কোথাও

একদিন খুঁজে পাব খয়রামাছ

 

৭.

বাবার সঙ্গে মিল খুঁজতে খুঁজতেই

সাইকেলের ঘন্টি

 

এ পর্যন্ত চাকাদুটো যতদূর গড়িয়েছে

সংসার এবং ধুলো

 

বাবার সঙ্গে মিল খুঁজতে খুঁজতেই

আমার এখনো একটা

রুমাল কেনা হয়নি

 

৮.

যেভাবে মুখগুলো এঁটে বসে

বাতাস সেভাবে ছড়ানো

 

অথচ ঘরের কার্নিসে টিকটিকির

উপদ্রব সত্বেও

 

আমি কেমন তেলাপোকার মতো

নির্ভিক

 

৯.

সিলিংফ্যান আর দড়ির মাঝে

শূন্যের সীমা

শূন্য নিজেও জানে না

সীমাবদ্ধতায়

 

সে আসলে

জীবনের ব্রেকিং নিউজ

 

১০.

ভেবো না। আর কিছুদিনের মধ্যেই

10G আবিষ্কার হয়ে যাবে

 

আমিও পুরনো সব খিস্তি

ফিরে পাব

 

ইচ্ছে হলে তুমিও

স্টেশনে চলমান দুই এস্কিলেটর থামিয়ে

 

শুনতে পারো

পুরনো গজল

No comments:

Post a Comment