অনিরুদ্ধ সাঁপুই-এর কবিতা
নির্জীব
আখ্যান
১
পাখি ডাকে, দরজি-দেহে তাই ছুঁচ। স্বোপার্জিত পাখির ডাক—দিদিমণির ছাত্র পড়ানো এবং রক্ত জড়ানো ত্বকে আকাশ নামে
সন্ধ্যের দিকে। রমণীর বাহু প্রসারণ ও পাত্র এবং জল সচকিত, থমকে। অযথা চিত্রপট অথবা আলোক-চিত্রের মায়া। তুমি কাকে দোষ
দেবে কে কবে তোমার হাত এসে ধরল, তাদের ছেড়ে যাওয়া
বল! কাঁথাফোঁড়ে দু'চোখ খোলা—বুকের কাপড় সরে যায়। এ-ওকে ডাকে তবু কাঁটা থামে দেওয়াল ঘড়ির, ব্যাটারি শেষ। লিখবে ব'লে হাত
তোমার পাখির লেজ যেন বা অথচ তুমি
ছায়া-বন্ধনে, বিন্দু বিন্দু, এ-পাড়ায় সকাল-সন্ধ্যে আলো ঝরে পড়ে অযথা কানাকানি, চাকা ঘষটানির ধুম। গোধূলি পা সব একত্রিত অযাচিত কাছাকাছি, আবেগ সঙ্কুল পথে চৌম্বক বারিধারা, ছড়ানো কুন্দফুল, সে আজ শহরে যাবে নয়তো ফিরবে। হাত দুটো কী জাদু দেখাবে, পোড়া তেল-হলুদের দাগ, তার মাছ কাটা দেখতে ভালো লাগে তাই মিথ্যে রক্ত মেখেছ সখি! আঁশ-বঁটিতে কি গলা
নেবে?
কী অলক্ষুণে সমাচার হেতু নয়নে কাজলরেখা, খোঁপায় দোলনচাঁপার থোক। মিষ্টি হাওয়ায় খুনে চোখ নিয়ে সে
আগুয়ান তাই পায়ে মুড়োচ্ছ লজ্জাবতী’র বন।
২
হাভাতে
আকাশ-রেখা ছিল, নিষিদ্ধ ডিম থেকে গোপন উৎরাই ও তোমার
মৎস-পাখনা— নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লে সেচে, পুকুরে, বিস্মিত চৌবাচ্চায়।
আমাদের উপশিরা বেয়ে স্রোত ছিল তাই তুমি দ্বিধাহীন উঠে এসেছ সাঁতারে ও শিশ্নে, যেহেতু খালাস বক্রচোখে তীর ও উপাখ্যান এবং পোকামাকড়ের
ইতিহাস ধুন্দুল ফুল,— ধোঁয়া নিয়ে কাঠের
পাটাতনে শোয়া তোমার মৎস-গন্ধা দেহে কাঁটা ও কাঁটাতার—সীমাহীন গমন। কর্পূর নিয়ে আগুনে-আগুনে গান বেঁধেছিল গীতাদি, চুলের ফিতে মাছ নিয়ে গেছে, ব্যাঙের মতো লাফ গুনগুন দু'কলি আখতারি বাঈ।
তালু চেটে চলে গেছে নভোনীল হত্যা, নিতম্বে উচ্ছাস ও
ঢেউ। এখন ফুল-নকশার জাজিমে কলকাকলি, সমাবেশ, ভাঙামুখ—আমাদের পুন্যিপুকুর ও যমপুকুর আর অনাবিল চোখ ও তোমার গতি
মৎস-রমণী,
শোকাহত খাবি শুধু, আয়না-মহল খাবি, পলায়নপর খাবি
খাওয়া। শুনসান বুদবুদ বাঁশি বাজে বনে এবং
আঁধারে ও অনুর্বর ঘাসে—বাদামি রৌদ্রে।
খুবই ভালো লাগল। জীবন আমাদের কাঁটাতার অর্ধেক অর্ধেক ❤❤❤
ReplyDelete