নীপবীথি ভৌমিক-এর কবিতা
প্রিয় বিষাদ
প্রতিবার ভালবাসা খুঁড়ে জন্ম নেয়
আমাদের
স্থায়ী সম্পর্ক
এই যে, নেই হয়ে যাওয়া মুহূর্তটা,
যাকে
ছুঁয়ে নেমে এসেছিল আমার শব্দ-যাপন-কাল
ভালবাসায় বাঁধা পড়েছিলাম তার সাথে
প্রতিটি প্রাচীন সময় ছুঁয়ে নামে
অক্ষরের ঘর-সংসার,
আর সেই সংসারের সাংসারিক দরজার
চৌকাঠের ওপারে লুকিয়ে থাকে হারিয়ে যাওয়া
শ্রী-রাগ...
একটি খুনের আগে
খুব ঘুম পায়। শরীর ছুঁয়ে নেমে আসে অবসন্নতার
আসর
সেখানে
সকাল হয়। অপরাহ্ন বয়ে যায়
ছায়া
আর রোদের সেতারে বেজে চলা ভীমপলশ্রীর তানে...
প্রতিটি সন্ধ্যা এভাবেই যাপনে আসে,
হাড় মজ্জা জুড়ে নামে গোধূলি মাখা পূরবী
খুন হতে
থাকি এভাবে আমি
প্রতিটি
দৃশ্যের হাতে। অপলক চাউনি নিভে
যায়
আবার জীবন আর জন্মের মাঝখানে।
কবিজন্ম
লেখারা থেমে গেলেই জন্ম হয়
আবার
কবিজন্ম।
এই যে, এই মুহূর্তে প্রতিটি শব্দ প্রত্যেকটি অক্ষর
হেঁটে
যাচ্ছে ক্রমশ ঘুমের দেশে
আর
আমি হাত ধরে জোর করে তাদের নামিয়ে
আনতে
চাইছি আমার কাব্য ঘরের অন্ধ রঙের ভিতরে
বৃহঙ্গকেও ঠিক এভাবেই বাঁধতে চাই আমরা।
উড়ে
যেতে চায় সে, দূরে আরও দূরে।
হয়তো যেখানে সন্ধ্যা নামে না এমন এক ঠিকানায় !
আমরা
শিকল দিয়ে ওর পায়ে বেড়ি পরিয়ে পুরে
দিই
লোহার খাঁচায় নিঃশব্দে।
আমার
কবিতারাও ঠিক তেমনই। উড়ে যেতে চায়
স্তব্ধতাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে নিস্তব্ধ গ্যালাক্সিতে।
আর
আমি,
কবি জন্মের আশায় আশায়
গর্ভে
বিলীন হই কবিতার।
চমৎকার ❤💙
ReplyDeleteচমৎকার ❤💙
ReplyDelete