লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Monday, October 26, 2020

সুপ্তোত্থিতা_সাথী, একাদশ সংখ্যা

সুপ্তোত্থিতা সাথী-র কবিতা

 

টাচ উড

 

বুকের উপর ঝিম ধরানো তিলধুকধুকিতে নজরকাঠি-চোখ

ভীড়ের মাঝে অসাবধানী দিলআসতে-যেতে একটু দেখা হোক!

চোখের উপর ঝাউপাতাদের ভীড়ঠোঁটের কোণে বিপজ্জনক হাসি

ভ্রুকুটিতে ধরাও বুকে চিড়কারণ ছাড়াই তোমায় ভালোবাসি।

নাস্তানাবুদ স্লিপিং পিলের রাতহা-হুতাশেই জীবন চাতক হয়

পিঞ্জরাতে মনপাখী চিৎপাতসোনার-কাঠি-হাত ছোঁয়ালেই জয়।

ঝালর ওড়া মেঘের মতন চুলজাফরানি ঠোঁট ভাঙছে যুক্তি-বোধ

দূরত্বতে হার্ট-রিডিং-এও ভুলমনপুরীতে কার্ফুঅবরোধ।

 

 

সন্ধে বাড়ায় ডিপ্রেশনের রোগভীড়ের ভেতর একলা একা পথ

বুক পকেটে নোনতাজলের ভোগপায়ের পাতায় টলমলানো শ্লথ।

ঝিল পাড়াতে ঝিঁঝিঁদের ফিসফাসহাঁটুর ভাঁজে নিশ্চুপ ক্রন্দন

এমন সময় কাঁধ জুড়ে নিশ্বাসবুকের মধ্যে ঢিপঢিপ স্পন্দন।

পেছন ফিরেই ফের হতাশার ছোপদেখতে যেন চাইছিল মন কাকে!

জীবন এখন দাবার নিথর খোপভালোবাসাও নিখোঁজ কোনো বাঁকে।

 

 

কিই বা করারযা গেছে তা গেছেহোঁচট খাওয়া এক্কা-দোক্কা চাল

ভাঙা মাস্তুল আটকে ছিল প্যাঁচেবাঁধতে হবে যত্নে ছেঁড়া পাল।

আগের মতোই সেই চেনা বাসস্টপঅধির চোখে খুঁজছে ফেরার বাস

পাশের সিটে গা ঘেষা লালটপবুকের মধ্যে ড্রাম পেটানো ত্রাস।

নামার স্টপেজ আর কয়েকটা পর... জানলা'পারে তারাদের ঝিকমিক

কাঁধের'পরে ঝুঁকলো মাথা, ক্লান্তিতে জর্জরপ্যাসেঞ্জারি ঠোঁট করে ফিকফিক।

বাসের ভাড়া মিটিয়ে দিলো দু'টোরনামার আগে ম্যাডাম! সাইড প্লিজ!

পরের দিনই বাসস্টপ শুনশানছাতার উপর জমছে তখন বর্ষার মজলিস।

 

 

বাসস্টপেজে নামল তেড়ে বৃষ্টি তখনছাঁট ভিজে যায়বাসের আশায়

মন-কাড়ানী সেই মেয়েটা আসলো কখন! "অমন করে চুপ থাকে কেউ ভালোবাসায়!"

বৃষ্টি ছাঁটে একটা ছাতায় ভিজছে দু'জনঝিম ধরানো নজর এখন চার চোখেতে

জলের ফোঁটায় জুড়ছে তখন মাইলযোজনঠোঁটের উপর অল্প কাঁপন উঠল মেতে।

ভরল শহর দোলনচাঁপার সুগন্ধেতেআবেগ মেখে বুকও কাঁপে থরোথরো

অস্থিরতাও স্থির হয়ে যায় এ'সন্ধেতেদু'জন এখন একটা ছাতায় জড়োসড়ো।

 

No comments:

Post a Comment