আলিউজ্জামান-এর কবিতা
রাজহংসী, তোমাকে
(১)
এসব
তোমাকে বোঝানো সহজ না,
কাছাকাছি
এলে সকল বৃত্তই বিন্দু হয়ে যায়।
এতদূর
থেকে বোঝায় যায় না জন্মের টানেই বৃষ্টি পড়ে...
পাহাড়ি
ফাটল চুইয়ে খুব সাবধানে টপকায় পাঁচিল।
সিলিং ফ্যানের নীচে শুয়ে আছে অশ্লীলতা।
দেখি,
এখানে
তোমার মতো কেউ না!
(২)
তোমার
কথা মনে পড়লে
শান্ত
নদীর বুকে জাগে সাপের ভাষা।
মাছ-মাছালি, পাখ-পাখালি ,
যেন বিস্ফোরণের পর বহুগামী বারুদ।
(৩)
খাবার
ও খিদের মধ্যিখানে সাঁকো ডুবে আছে।
ভাঙাচোরা, রংচটা অস্তিত্ব তোমার ওগো...
মাঠে
হারানো পিংপং বল!
আমি
ব্যাডমিন্টন খেলি মাঝে-সাঁঝে।
(৪)
একতারা বিহীন লোকধর্মের মতো
রাতের
জমানো কফ সকালে বুক বাজিয়ে যায়।
তোমাকে
ফেলে পাঁচিলতোলা এনট্রপি,
সকালের
কেটলি বাতাসে ভাসিয়ে দেয়
আবহাওয়ার
পূর্বাভাস।
জলীয়বাষ্প
সঠিক জমাট বাধলে।
আজ
আকাশ সর্বত্র মেঘলা থাকবে।
(৫)
ভিখারির অন্ধচোখে তোমার কাছে ফেরা।
থালায়
পয়সা বাজিয়ে বাজিয়ে,
এই গান গেয়ে চলে যাওয়া।
যেন পিঁপড়েদের সমাজতন্ত্র চলে গেছে পঞ্চায়েতে।
এবার
দেখা যাক!
স্বাদহীনতায় শিশুরা ফেরে কিনা স্তনের দিকে।
(৬)
কাটলেই বড়ো হয় পুকুর।
এরকমই জটিল প্রশ্নের সহজ উত্তর তুমি।
(৭)
তোমাকে
জমিয়েছি মাটির ভাঁড়ের ভেতর।
ফুরিয়ে যাবে বলে কখনও বের করিনি।
তবু,
ছেলেবেলার অন্যমনস্ক হাত থেকে খসে
গিয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ মাটি বেজে উঠে মেঝের উপর।
তুমি কি টের পাও?
রাস্তা ভাসিয়ে এখন বর্ষার জল চলে যাচ্ছে
ওই
নদীটির দিকে...
ভালো লাগলো
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো ভাই
ReplyDeleteধন্যবাদ দাদা
Deleteখুব সুন্দর। মন ছুঁয়ে গেল।
ReplyDelete