সোহম চক্রবর্তীর কবিতা
দ্বিধা
ছোট্ট
ছোট্ট কথা―
তা-ই
যদি ব’লে ফেলি, তারা
বড়ো
হ’য়ে দানবের মতো
ঢুকে
পড়বে মাঝখানে।
আর যদি না-ব’লি― ভাবি, থাক্―
তবে
সে-কথার শূন্য পাতায়
শিরশির
ব’য়ে যাবে হাওয়া,
কুলকুল
ব’য়ে যাবে নদী...
এহেন
নিশ্চিত― তবু
কেন
হে বিষাদ তুমি আমাকে ভাবাও?
চিঠি
হয়তো
কোনো দূর বয়সের থেকে
যাচ্ছে
উড়ে হাওয়ায় কোনো খাম...
কার
চিঠি যে কার কাছেতে গেল;
কার
যে তাতে রইল লেখা নাম,
সেসব
হিসেব হারানো কোন্ খাতার
পিছন
পাতায় বিরহী সৈনিক
আজন্মকাল
তেমনি জেগে থাকে―
তোমার
চোখে ঘুম এসে যায় ঠিক।
তেমনি
কোনো ঘুমের ভিতর আমি
লিখছি
চিঠি, ছিঁড়ে ফেলছি ফের―
এরচে’ বেশি সাধ্য ছিল না তো
কোনোকালেই
ব্যর্থ প্রেমিকের!
সেই
যে বয়স সাঁতরে উঠে আসি,
সেই
যে বয়স শিউরে ওঠে গা-য়―
আমার
চিঠি পৌঁছবে না জানি
কোনোকালেই
তোমার ঠিকানায়...
স্মৃতি
স্বর্ণযুগের বাংলা গান
নব্বই
দশকের গলায় চেপে
ভেসে
বেড়াচ্ছে সারাটা প্যান্ডেল...
এই
দৃশ্যে মফস্বলের পুজো ও কৈশোর
স্থির
হ’য়ে আছে।
যেন
স্থির দূরের বয়সে
মনে
পড়ে চোখদু’টি― সলজ্জ, করুণ―
‘যার
চোখ তাকে আর মনে পড়ে না’।
তিনটি কবিতাই পরিপূর্ণ।
ReplyDeleteতিনটি কবিতাই পরিপূর্ণ।
ReplyDeleteতিনটি কবিতাই পরিপূর্ণ।
ReplyDeleteভালো লাগে সোহমের লেখা
ReplyDelete