স্বস্তিকা ভট্টাচার্য-এর কবিতা
যাওয়া-আসা
ঘর ভেঙে যাচ্ছে,
খেয়াল করেননি মহিলা।
মাথার ওপর একটা তিন ব্লেডের সিলিং ফ্যান
তার প্রতিটা পাকে যত আওয়াজ,
লোকের যাওয়া আসা'তেও হয়নি।
দেওয়ালে টিকটিকি আনাগোনা করে
আরো অনেক কিছু আসে বসে, চলে যায়।
চাকচিক্যহীন ঘরে ঘোরাফেরা করে মানুষ'ও
থাকার জন্য ফার্নিশড ঘর দরকার।
বদল
চিৎকার করা, নিজের কথা বলতে চাওয়া মুখ
পুরস্কার পায়, হাততালি কুড়ায়,
দিন শেষে ছায়ার সাথে ছায়াবাজি করে।
গল্পে চরিত্রের নাম বাঁচিয়ে দেয়,
শিরোনামের আকাল পড়লে।
আঙুল নামের ওপর নামতে নামতে
পেরিয়ে চলে যায় মূল্যবান লেখা।
স্রেফ একটা জবরদস্ত নামের অভাবে!
অথচ একবার প্রচার করে দাও,
লোকটার বলার ক্ষমতা নেই
তার কথাগুলো লোকে গোগ্রাসে গিলে নেবে।
সে
একজন মানুষ,
তাকে কিসের সাথে তুলনা করব?
পৃথিবী?
ধরা যাক,
পৃথিবী মানে ধর্ম, রাজনীতি, তর্ক
মিছিল, প্রেম যেমন পাশাপাশি হাঁটে
তেমন তার গোপনীয়তা-উন্মুক্ততা।
পৃথিবীর সংজ্ঞা যাই বানাই
তার চোখে ঢুকে আছে,
আস্ত একটা নীল গ্রহ।
একটা শরীরে দুটো মন বসে আছে।
যদি তাকে পৃথিবী ভাবি,
তার এক চোখ ভোরের আজান পড়লে,
আরেক চোখ গীতায় ডুবতে ভালোবাসে।
পৃথিবীর সংজ্ঞা যাই বানাই
ReplyDeleteতার চোখে ঢুকে আছে
আস্ত একটা নীল গ্রহ।
....অনবদ্য লাইন
ধন্যবাদ
Deleteভালো লাগলো
ReplyDeleteভালো লাগল
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDelete