রিনি ভট্টাচার্য্যর গুচ্ছ কবিতা
ঐন্দ্রিয়িক
কাজ করো করো কাজ...
না যদি পারলে প্রেম করো।
এক নগরে এক গ্রামে এক...
রত্নচ্ছায়ায় হোগলারা তোমার।
দেহলির এক কোনের ফাঁকে...
কৌমুদির ছটা আজ ক্রন্দসী।
ভূধরের গর্তরা রুধীর ভরা...
চলো প্রেম করি-গলায় গলায়।
কাজ ভুলোনা ভুলোনা কাজ...
ভালবাসার ঘর গুলো ভাঙ্গছে।
এসো! ঘর গুলো বাঁধি বাঁশের...
বল্কল কুড়িয়ে। পরান্নে ঘর বাঁধি।।
জাহান্নাম
আমি চলছি জাহান্নামের পথে...
জানি তো এ পথে একাই যেতে
হয়। সুবিধেজনক দুরত্ব থেকে
দ্যাখো তোমরা আর বিষ বর্ষণ
করো আমার উপর। ঠাট্টাও করো।
এপথে আছে হারগিলা; আছে শকুন
আছে বিষাক্ত কাঁকড়া, অক্টোপাসও
আমি ওদের সাথে চলি ঢালু খাদের
দিকে। একমনে দেখে যাই জাহান্নামে
ঢোকার অর্গলে শ্যাঁওলা-পোশাকে
সজ্জিত
এক মস্ত পাথর। তাকে সরাই সবাই
মিলে। ভয়ের নাটক তো আমাদের নয়
ছিলো না তো কখনও। ভয় একফোঁটা
তো ছিল তোমাদের লৌকিক জগতকে
তোমাদের সুসভ্য সার্কাসের সাহচর্যকে।
আমরা প্রবেশ করলাম জাহান্নামে। কে
যেন ঘন্টা বাজায় ছান্দিক তানে
অজ্ঞেয়
এই নিশীথে ঘুটঘুটে আঁধারে গভীরতম
ভালবাসায়।
আমরা আর তো ফিরলাম না। ফিরবো
কেন বলো তো!
অধঃপতিত আত্মা জাহান্নাম...
শালিক, চড়াই ও পানকৌড়ি
তিন বন্ধু খেলা করে ঐ রাধাচুড়াটার ডালে
আমিও খেলি ওদের সাথে। আমি হলুদ
বসন্ত।
সেই ভোরের কচি আলো থেকে গোঁধুলি
লগনের
কমলা কিরণে। যাবার আগে গেয়ে যাই
কিচির
মিচির...টুই...টুই...শিষ বাজিয়ে
বিদায় জানাই
তোমাদের। আর আমাদের কাক, ডাহুক, ঘুঘু, বাবুই,
টুনটুনি, কবুতর সাথীরা মিলে সভা করে থাকি
গাছের পাতার আন্তর্জালে জুম করে।
আমরা বলি
কবিতা, গপ্পো, রাজনীতির বেয়াদপি, তোমাদের
সমাজ-তত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, অর্থ-তত্ত্ব, সাহিত্য-তত্ত্ব এই সব।
এবার তৈরী হই। আজের সভার মুল বিষয়
হবে
বাতাসের, আকাশের, জলের, মাটির
কষ্ট ও ব্যাথা
ও উঠে দাঁড়ানো। আমন্ত্রণ রইলো
আপনাদের সকলের।
কোভিড বিধি মানা আবশ্যক।
হলুদ বসন্ত রাধাচুড়ার শাখা