লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Tuesday, October 5, 2021

রিনি ভট্টাচার্য্য, শারদীয়া সংখ্যা

রিনি ভট্টাচার্য্যর গুচ্ছ কবিতা

 

ঐন্দ্রিয়িক

 

কাজ করো করো কাজ...

না যদি পারলে প্রেম করো।

এক নগরে এক গ্রামে এক...

রত্নচ্ছায়ায় হোগলারা তোমার।

দেহলির এক কোনের ফাঁকে...

কৌমুদির ছটা আজ ক্রন্দসী।

ভূধরের গর্তরা রুধীর ভরা...

চলো প্রেম করি-গলায় গলায়।

কাজ ভুলোনা ভুলোনা কাজ...

ভালবাসার ঘর গুলো ভাঙ্গছে।

এসো! ঘর গুলো বাঁধি বাঁশের...

বল্কল কুড়িয়ে। পরান্নে ঘর বাঁধি।।

 

জাহান্নাম

 

আমি চলছি জাহান্নামের পথে...

জানি তো এ পথে একাই যেতে

হয়। সুবিধেজনক দুরত্ব থেকে

 দ্যাখো তোমরা আর বিষ বর্ষণ

করো আমার উপর। ঠাট্টাও করো।

এপথে আছে হারগিলাআছে শকুন

 আছে বিষাক্ত কাঁকড়া, অক্টোপাসও

আমি ওদের সাথে চলি ঢালু খাদের

দিকে। একমনে দেখে যাই জাহান্নামে

ঢোকার অর্গলে শ্যাঁওলা-পোশাকে সজ্জিত

এক মস্ত পাথর। তাকে সরাই সবাই

মিলে। ভয়ের নাটক তো আমাদের নয়

ছিলো না তো কখনও। ভয় একফোঁটা

তো ছিল তোমাদের লৌকিক জগতকে

 তোমাদের সুসভ্য সার্কাসের সাহচর্যকে।

আমরা প্রবেশ করলাম জাহান্নামে। কে

যেন ঘন্টা বাজায় ছান্দিক তানে অজ্ঞেয় 

এই নিশীথে ঘুটঘুটে আঁধারে গভীরতম

ভালবাসায়।

 

আমরা আর তো ফিরলাম না। ফিরবো

কেন বলো তো!

অধঃপতিত আত্মা জাহান্নাম...

 

শালিক, চড়াই ও পানকৌড়ি

 

তিন বন্ধু খেলা করে ঐ রাধাচুড়াটার ডালে

আমিও খেলি ওদের সাথে। আমি হলুদ বসন্ত।

সেই ভোরের কচি আলো থেকে গোঁধুলি লগনের

কমলা কিরণে। যাবার আগে গেয়ে যাই কিচির

মিচির...টুই...টুই...শিষ বাজিয়ে বিদায় জানাই

তোমাদের। আর আমাদের কাক, ডাহুক, ঘুঘু, বাবুই,

টুনটুনিকবুতর সাথীরা মিলে সভা করে থাকি

গাছের পাতার আন্তর্জালে জুম করে। আমরা বলি

কবিতা, গপ্পো, রাজনীতির বেয়াদপি, তোমাদের

সমাজ-তত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, অর্থ-তত্ত্ব, সাহিত্য-তত্ত্ব এই সব।

এবার তৈরী হই। আজের সভার মুল বিষয় হবে

বাতাসের, আকাশের, জলের, মাটির কষ্ট ও ব্যাথা

ও উঠে দাঁড়ানো। আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের সকলের। 

কোভিড বিধি মানা আবশ্যক।

হলুদ বসন্ত রাধাচুড়ার শাখা

মধুমিতা রায়, শারদীয়া সংখ্যা

মধুমিতা রায়-এর দুটি কবিতা

 

শেষ লেখা

 

আমাদের কষ্টগুলি যেন বলিরেখা

নড়াচড়া বন্ধ রেখে খাটে চুপচাপ

আড়াআড়ি খেতে থাকে, বমি করে দেয়

 

এইবুঝি শেষ লেখা, মানুষ হিসাব

জ্বলজ্বলে ঘায়ে বাঁচি, ঈশ্বর দোহাই

কাচের বোতলে জল সুযোগ বানায়

ভেঙে যাবে, পড়ে গেলে মুখোমুখি টান

 

ভাবতে ভাবতে চলে যাব, এড়াব সময়

ফাটলের রেখা জানে ভরাট কেমন

 

আলকুশি

 

নিজেকে বিশ্বাসহীন করে তুলি

অক্ষর বোঝার আগে, আঁকিবুকি

চরাই-উতরাইয়ের পরে জমা খাদ

আমাকে হঠাৎ ফেলে, অপমানে, অবহেলা যত

 

ভক্তিহীন আলকুশি ভেবে নীতিমালা

ধাক্কা খেতে খেতে খুঁজি আঁধারযাপন

সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়, শারদীয়া সংখ্যা

সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়-এর দুটি কবিতা

 

ডুবসাঁতার

 

এই শুভ্র খিদেপন্থা, নীবিবন্ধে আয়ুধ সাজাই

মোমের শিখরপ্রান্ত বধির যৌবনে জ্বরাতুর

হয়েছে। পরমরন্ধ্রে কুটিল সাযুজ্য-ব্রতে সাঁই

আমার আঁখিভান্ডে স্নায়ুযুদ্ধ, কার্যকরী ক্ষুর

 

ধরো যত্নে, সাহচর্যে নিরাসক্ত ভুলের মাজারে।

ফিনকি দিয়ে চক্রবাক উড়াল যেন মিথুনআকৃতি

শোষণে অঙ্গুলিমাল হঠকারী শান্তি সমাহারে

নিপুণ শৈলীদোষে ফেলুক আরোহণশব্দ, স্মৃতি

 

অমাত্যের মতো খাদ্যরূপ হত্যা মুখে তুলে নিয়ে

জড়বৎ মৃত্তিকার গুহাশ্রান্তি মন্ত্রণায় ছেনে

রচনা করুক বিধি, আহাজারি শপথে কাঁদিয়ে

অপেক্ষার প্রজ্ঞারসে হরকরা নিরালম্ব জেনে।

 

নারকীয় শৈত্যে এই প্রোৎসাহন যদি জনপ্রিয়

শিথিলকায় ব্রীড়াতীর্থে অপ্রতিম দাহজন্ম দিও...

 

চিৎ সাঁতার

অনুপূর্ব ভ্রান্তনীড়, নৈশপথে প্রদীপ-বান্ধব

অণুছন্দে অতিরেক, হোঁচট জর্জর মাঝি-বালা

সুষুম্নাজাত মীন তুমিগন্ধে না-হুঁশ জান্তব

অণুজব্দ পূর্ণিমায় এইমতো কুম্ভীলক পালা।

 

অনুকম্পা দামী তার শিশ্নকূটে শ্লোকায়ু ছমছম

দূরাত্মা'কে ছল নয় অনুশীলন দিয়ে মাপা হলে

ধান বলতে ভান গিলে নিমিত্তের হাপরহাঁই দম

ফিরে আসে। চতুষ্পদ অগ্রজ বায়ুশীর্ষে দোলে

 

দোদুল বেহেড উৎসমুখে জীর্ণ নীবারকুটুম

স্বৈরাচারে যুথবদ্ধ একাকীত্বে তপস্যাবিহীন

শ্বসনাঘাতে ব্যকরণগত বিচ্ছেদের মরশুম

চিঠির সন্ততি যেমন শান্তিরঙে জারজ, স্বাধীন।

 

এ মন শ্যামকল্প, প্রতিবিম্বে নষ্ট উপমান

কীর্তনে ছিন্নমাথা লেহনের অর্জিত বানান...

অর্কপ্রভ ভট্টাচার্য, শারদীয়া সংখ্যা

অর্কপ্রভ ভট্টাচার্য-এর গুচ্ছ কবিতা

 

যে কথাটি

 

কথাটি সত্যি নয়, কথাটি মিথ্যেও নয়

সোজা নয়, বাঁকা নয়,

ঠিক-বেঠিক কোনোটাই না।

কথাটা এমনই

কথাটা তোমার সুখ-দুঃখের কথা, রাষ্ট্রের কথা, একবিংশ শতাব্দীর কথা।

তোমার পাশে বসে, আমার পাশেও

যে লোকটা ভাবলেশ মুখে শুনতে শুনতে গেল

                                                       তারও পাশে

  অথচ কথাটার মজা এটাই

   তোমারও নয়, আমারও নয়

  

এমনকি তৃতীয় ব্যক্তি কিংবা রাষ্ট্রেরও না...

 

বড় বড় শহরে

 

বড় বড় শহর

নির্লজ্জভাবে চলে

থুথু ছিটিয়েও কার্যকরী হয় না

থুথু রাজপথে পড়ে থাকে।

গাড়ির চাকা মাড়িয়ে যায়

 নির্গত কালো ধোঁয়া, থুথুগুলোকে মিশিয়ে দেয়

                                                    পিচ রঙের সঙ্গে

  কিছু পরে অ্যাসিড বৃষ্টি নেমে   

  রাস্তা যা-কা-তাই করে চলে যায়

   অতএব শুধু থুথু ছিটিয়ে

  এমত শহরে বিপ্লব আনা যাবে না     

                                                বুঝলেন

 

প্রতিধ্বনি

 

আমি যেখানে শব্দ করছি

অনেক বছর আগে

কেউ ঠিক আমার মতই শব্দ করেছিল

আমি তার প্রতিধ্বনি শুনি

 

অনেক পরে বুঝেছি,

আমার শব্দ আসলে তারই প্রতিধ্বনি।

তন্ময় ভট্টাচার্য, শারদীয়া সংখ্যা

তন্ময় ভট্টাচার্য-এর গুচ্ছ কবিতা

 

বিধান অগ্রাহ্য করি

 

(১)

আমাকে অভ্যাস থেকে তুলে এনে আরেক অভ্যেসে

বসিয়ে কোথায় চলে গেলে ধান্দাবাজ হে বিধাতা

এখন ঘরের মধ্যে যার চিন্তা আসে যায় আসে

অপরাধ ভেবে তাকে দু-আঙুলে পরখ করেছি

আগের মতোই, শুধু আমার সতর্ক হওয়া শ্রেয়

 

(২)

এ-মাথা জটিল অঙ্ক ভালোবেসে ফাঁদে পা দিয়েছে

এ-মাথা ইটের পিঠে ইট রেখে বানানো সীমানা

প্রবেশ অবৈধ হলে গুলি ছুঁড়ো তুমিও বিধাতা

কী আর এমন যদি নিজেই নিজেকে মাটিছাড়া

করতে দেখেছি আর ধরিয়েছি শান্ত সিগারেট

 

(৩)

কী ভালো সম্ভাবনা কাল থেকে আকাশে উঠেছে

ঘরের ভিতরে ঢুকে বলে যায় ভালো কিছু হবে

এসব ঘুমপাড়ানি বহুদিন শুনেছি, বিধাতা

এবার অনিদ্রা রোগে ভুগে দেখব রাতের মহিমা

পাহারাদারের কোলে আশাবাদ, দেয়ালে পোস্টার

 

(৪)

বুঝিয়ে বলার পরও গেড়ে বসছে মাটিতে। বিধাতা,

এবার চলে না গেলে আমি কিন্তু পুলিশ পাঠাব

লকআপে দু-এক রাত কাটিয়ে বুঝবে কত ধানে

কত হত্যা হয়ে গেল আত্ম এমনই নিশিডাকা

ট্রিগার চালাতে গিয়ে সারেন্ডার করে ফেলছি শেষে

 

(৫)

বিধান অগ্রাহ্য করি; ষড়যন্ত্রে আর পা দেব না

নিজেকে চাবুক মেরে ফিরিয়ে আনব করিডোরে

যে লাশে তদন্ত বলে কোনোকিছু হয়নি কখনও

তার চোখে চোখ রেখে উবু হয়ে বসব, বিধাতা,

এছাড়া কারোর সঙ্গে এ-জীবনে খাতির হবে না

নম্রতা সাঁতরা, শারদীয়া সংখ্যা

নম্রতা সাঁতরার কবিতা


মেনার্ক

১. এই একদিন;

এতো ছোটাছুটির মধ্যে যখন কোনো ব্যস্ততা নেই,

আমি জানি একটি বিকৃত মুখ,

                   আর রক্তের স্রোত

 তোমার প্রতারণাকে ভালোবাসতে বাধ্য করে।

 

 

২. তোমায় কাছে পেলে থামবে

          একটি কান্না, যা চোখের জল নয়।

 

৩. তোমাকে দূরে রাখার এই যন্ত্রণা।

              পবিত্রতা-বড় শাস্তি দেয়।

 

৪. এত কঠোর হয়ে কি লাভ হল?

               তুলোর আস্তরণ, কেড়ে নেয়, তোমার ভবিষ্যৎ

অর্ঘ্যকমল পাত্র, শারদীয়া সংখ্যা

অর্ঘ্যকমল পাত্রর গুচ্ছ কবিতা


গৃহস্থের অ্যালবাম

১.

সংকোচ রাখো না

এমন-ই নিটোল রাগ তোমার

 

নোলান-কে চেনো না ঠিকই

কিন্তু অপুর সংসারদেখেছো

 

দেওয়াল লিখন পড়ো না ঠিক-ই

কিন্তু প্রতিদিন খবরকাগজ নিয়ম করে

 

আমিও শান্তিপ্রিয়। প্রতিদিন তাই

অতিরিক্ত চারটে সিগারেট

        অফিস-ফেরত টেনে আসি...

 

২.

হাসপাতালে শঙ্খধ্বনি বেজে উঠছে

এরকম অভাবনীয় মুহূর্ত থেকে

         তোমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছি...

 

তোমার মনে রাগ নেই কোনো

আমার মনে জেদ নেই কোনো

 

প্রফুল্লতায় নয়। মধ্যবিত্ত মানুষ,

বেদনায় তোমাকে কাছে পেতে চেয়েছি

 

৩.

শান্তি খুঁজতে বিবাহে এসে

অতঃপর

আমাদের-ও সংসার শুরু হয়ে গেল

 

আজ রাতে তুমি ঝগড়া করেছ খুব

আজ রাতে আমি ঝগড়া করেছি খুব

 

এবং তুমি কিছু না খেয়েউ

ঘুমিয়ে পড়েছ রাতে...

 

সেই ক্রোধে, সেই বেদনায়, ঘুমোতে যাওয়ার আগে

আরও চারটে সিগারেট

             শেষ করে ফেলতে হবে আমাকে...

 

৪.

ট্রেনের কামরায়

কোনো বসার জায়গা নেই

 

এমন-ই ঝুলতে ঝুলতে

পৌঁছে যাব দীঘা।

 

ঘেমে নেয়ে, ঘুম ভেঙে

ফের ফিরে আসব

 

লোডশেডিং হলে

মোমবাতি জ্বালাব ঘরে

 

 

তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়, শারদীয়া সংখ্যা

তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়-এর দুটি কবিতা

 

কাপলেট

 

প্রত্যেকটি হৃদয়ে যে কাপলেট

 মাথা নিচু করে বসে থাকে

তার খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি,

অদৃশ্য যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হাত থেকে

ভূপতিত রক্ত!

 

সে রক্তের বিবিধ নিষেধাজ্ঞায়,

স্বমেহনের মতো লুকিয়ে পড়েছে ক্রোধ।

 

প্রত্যেকটি হৃদয়ে বহু কাপলেট

মাথা উঁচু করে বসে আছে।

 

দূত

 

মেঘ পিঠে নিয়ে পাখি উড়ে যায়!

মেঘের বদলে যেন সে-ই দূত।

সে-ই যেন ঋতুকে এগিয়ে দেয়

আরেক ঋতুর দিকে!

তারপর ঘুমায়।

 জেগে উঠে,

 বিষাদ-প্রতিমার কাছে

বন্ধক রাখতে যায় জগতসমূহের যাবতীয় জিজ্ঞাসা চিহ্ন।

প্রকাশ ঘোষাল, শারদীয়া সংখ্যা

 প্রকাশ ঘোষাল-এর দুটি কবিতা

 

কর্তৃকারকের আকাশ

 

ভোরবেলা। দীর্ঘ ঈ-কার ছুটছে স্বপ্নের রাস্তায়।

প্রথম বন্ধনীর মধ্যে হরিণের ভূগোল। ঘুরছে।

আর

তৃতীয় বন্ধনীর ভেতর জড়ো হচ্ছে গেঁড়ি-গুগলির নতুন শতক।

 

চোখের বঁড়শিতে কেমন টপাটপ কিডনি  উঠছে। দ্যাখো।

ঝাঁপ মারছে টাগরায়।

সারাদিন ইনহেলার নিয়ে ম্যাজিক শো করছে এক বুড়ো যাদুকর।

সি-শার্পে গ্রাম ভর্তি শহর দেখছে মেঘের দরজা খুলে দেওয়া বিদ্যুৎ কুমারীর স্বাগতম।

 

ঝকঝকে সেলফি তুলছে কর্তৃকারকের আকাশ।

 

 

বিষুবরেখায় দাঁড়িয়ে

 

বিষুবরেখায় দাঁড়িয়ে ঢোল বাজাচ্ছে দাঁড়কাকের দল।

মাটির ম্যাট্রিক্স আজও জানে শর্করা নির্মাণ।

 

তর্জনীর মাথায় শুধু ঘুম আর ঘুম আর

মাথার পিছনে জেগে উঠছে মরুভূমির গাছ।

 

মৃত্যু দিয়ে শাসন হয় না ব'লে এখনো

সাঁকোর ওপারে ট্রেন ছুটে যায়।

অন্তমিলের ভেতর ভেসে ওঠে সারি সারি চোখ।

 

আগামী ২১-শে মার্চ পৃথিবীর উত্তরে

মানুষের অক্ষর এবং দ্রাব্যতা নিয়ে কথা শুরু হোক।

কার্তিক ঢক্, শারদীয়া সংখ্যা

কার্তিক ঢক্-এর দুটি কবিতা

 

চব্বিশ ক্যারেটের সেলাম

 

ন্যাকাজল বয়ে যাচ্ছে হাইড্রেনে

বাসমতীচাল ধুয়ে নিচ্ছে কিছু লোক

রকবাজির টোকায়...

বাদশাভোগ-গন্ধে ম্-ম্ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী!

ভাত ছড়ালে কাকের শুদ্ধস্নান

ভাদ্র মাসের আগেই কিছু নেড়িকুত্তা

পেটেতে দেশলাই জ্বেলে লেজ নাড়ে।

প্রতি ঘন্টায় চব্বিশ ক্যারেটের সেলাম ঠুকছে

আস্তিনকা সাপ

ভবঘুরে ঢ্যামনাগুলো নির্বিষ হলেও

বংশবৃদ্ধিতে ওস্তাদ...

 

রোদের ডেসিবল

 

মেঘ চলেযাচ্ছে বৃষ্টিকে না রেখেই

মাটি তাই রুখুস্বরে ধূলোরাগের অন্তরা গায়...

রোগা পদ্মপাতায়

ব্যাঙেদের কষ্টকথার ডিটিপি পাঠাচ্ছে

পুকুরের অস্তাচল রং।

চাতকডানার যন্ত্রণার পালক ঝরে যায়

অসম্ভব রোদের ডেসিবেলে।

গোলাপটির শিকড়ে জলের হাহাকার

 

ওগো শ্রাবণ, যতোই কাজল আঁকো

 তোমাকে আজ প্রিয় বলি কী করে...