সমিধ গঙ্গোপাধ্যায়-এর সিরিজ কবিতা
কুঞ্জবন
১.
বিষণ্ণ জামায় লিখি অনিরূদ্ধ মাখাসন্দেশ
আহাগন্ধে এ বিহান নধর শান্তিজলে ছাই
রঙিন শেকলে বাঁধা দুষ্টুমি, হরিণী অশেষ
নেহাতই অচেনা হলে, হাল? না, ছাড়ি না
বরং আরো কিছুটা মাত্রা ছাড়াই
আসলে ছদ্মবেশে সবার কাছ থেকে
তোর নিছকের পালা কেড়ে নিতে চাই...
২.
তোমার নবনী মুখ
স্বচ্ছতর ব্যথার প্রমাণ
ফেরার রাস্তায় আরো গভীর
নিরঞ্জন থাকে
এত ঘেঁষাঘেঁষি বাঁচা খানিকটা
অস্বস্তিকর
তবু টের পাবো ব'লে গুছিয়ে নিই
এঁটোকাঁটা, বাসনকোসন
শব্দে বিকেল ধুয়ে যায়...
৩.
লালনে ফাল্গুন এসেছেন
হাড়ে কী বিষম ঝাঁপতাল―
তোমাকে বোঝাতে গেলে
মনে মেঘ আসে
পাখসাটের গহনে প্রিয়তর
পাঁক জমে ওঠে...
৪.
আলজিভে তুমিই পরম
এ ভাষ্যে বিকেল শেষমেশ,
ঝাপসা চশমা বসিয়েছে
পুরোনো স্নেহের মতো খয়েরি
স্মৃতির ঘাসজমি
আর তোরঙ্গে কিছু অনাবিল
কামিনীকাঞ্চন―
নাতিদীর্ঘ শিমূলে অকারণ,
সন্ন্যাস শিখে নিয়ে
শুন্যতা ঢেলে দেয়
ছুঁতে না পারার মতো দূরে, বহুদূরে...
করবীর মৃত ইতিহাসে
এভাবে ফুরোয় রঞ্জন।
তন্তুঝড়ের স্মৃতি থেকে
বসেছো সুইচবোর্ডে
ও মেঘের হাসন মল্লার
ধাতু ধারণার পরে
ধুধু বাক্য নিভলে সেই,
পড়ে থাকে অমল সংহার
আমার বাসনাপর্বে রোদের আন্দাজ অনসূয়া
তাকে প্রতিঘাত শেখালেই
ছান্দসিক সূর্যাস্তে মাথামুণ্ডু সমেত দৃঢ় স্নান
আমার প্রথম শয্যা শরে পরিপাটি হলে
মেধাকান্ত কলাম দ্বিরালাপী
তারপর...
বালিশচাদরজিভদাঁতমাংসচামড়াউফআঃলাগছেলাগুক
শুনে শুনে
সেসব বিকেলও আজ নিশ্চিন্তে বিয়োতে পারে
আদর আর ঘৃণার সন্তান।
No comments:
Post a Comment