আমি ও পৃথিবী কখনও দেখা করিনি
১.১
অক্ষরের স্বপ্নে আমি কতটা কবি ?
অক্ষরের স্বপ্নে, আমি যদি সহজ জাহাজ
তবে অক্ষর আরশি- তার কাঁচ ছিনতাই
গৃহস্থ সামলে নিয়েছে ছবি
ছবি থেকে ছেঁচে নেওয়া বেগুনি গ্রামের ব্লাউজ
ছেঁচে বের করা মথ সেই ব্লাউজে বসলে
অক্ষর বোবা, অক্ষর কাঁপে
যারা বলে থাকেন, " শব্দ জেলেদের অপেক্ষায় "
তারা দৃশ্যের কোণে জাল বুনতেন- তারাও
পাঠের বাইরের নয়, ভেতরেই-ভেতরেই :
অক্ষরের যোনি থেকে এক জুয়াড়ি বের হয়ে
এ দৃশ্যের পেটে বসলেন
১.২
আমার ভেতরে দূরের কাছের পোশাক
হাত পা সেটিয়ে ঢুকে পড়ছে
আমি কবিতার ভেতরের তোমাকে আর
খুঁজে পাচ্ছি না
আমি শুধুই সরে যেতে চাইছি
কবিতাউৎসব থেকে কারণ আমি তোমাকে
তোমার মুখ চোখ নখ কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না
দূরের ও কাছের মুহূর্তেরা আমাকে আর
টান দিচ্ছে না- আমি
অন্ধকার বরফকুচি বোতলে
করে ঘুরছি- সকালে আলোয় মজা
ক্যাপ্টেনের শরীরে ঢেলে দিতে
তুমি হয়তো ভাববে আমার চেহারায়
পুরানো অক্ষরগুলো আজ আর চাবি
করে না- আর হু হু বাতাস এসে
পাল্টে দেয় না পাতা-
আমিও জানি তুমি ভুল নও
তবুও প্রতিটি বীর্যক্ষরণের পর আজও
আমাদের ধ্যান করতে ইচ্ছে করে
১.৩
অথচ সময় কাটতে কাটতে
একটা অক্ষরে করে আঙুল খসে যায়
অথচ তখনও বোঝা যায় না
কম বয়সের কোনো খটকা
মনেই জাকিয়ে বসেছে গ্রহের চিৎকার
দুটি সম্ভব গ্রহের ঠোক্করে ঠোক্করে
দুর্দান্ত ছিটকে যাওয়া কোনো দৃশ্য- অথবা
বার্নিশ করা টেবিল খোলা মাঠে
কয়েকটা পাখির ঠোঁট মস্ত থুতু ঠোকরায়
ঠুকুক... ঠুকুক... কাট টু -
ক্যামেরা অনাবিল তলিয়ে যাবে
মরা করের প্রশ্নে : অক্ষরটা কে-
ঘাতকের আঘাত কেন লাগে ?
এক শক্ত দুপুর কুবেরের ফন্দি ছাড়িয়ে
রাতকানা পেরেকের সব রস রাখে সইব্রহ্মে
ওম-এর নাভিতে গান্ডু পিঁপড়ের মতন থৈ কে পায়
দৃশ্য বিধুর হলে পর্দা পিতৃজপ করে, করেই
১.৫
রাত কালো বেড়ালের মতো
এ সময় পাশে গুটিয়ে
তার লোমের মাঝে মাঝে শ্বাস
এমন ছবিতে জোনাকি থেঁতলে যায় -
মাতালের দল, কাঙাল হয়েছে বুঝি
তীর্থ, কে দরজা খুলে ছিলো- এখন মানুষ,
আমিও--- স্বাভাবিক হয়ে গেছি!
১.৬
আমি আবার কাছে গেছি,
কালো জামের মতন আলো
ঝুলে আছে। ঘর অথবা সাপুড়িয়ার ঝুপড়িতে-
বাবা, মা ছাড়া আর কোনো গান জানে না,
সে বোবা হলো। আমি আবার ছায়া গুনে
বাড়ি ফিরলাম- এমন একটা দৃশ্যে একটা
অক্ষর ঢুকে পড়তেই পারে
আমাদের চোখের বাইরে থেকে
১.৭
আমার কবিতার ওপর
একজন দর্জি বসাবো আমি
তার আঙুলের পাশেই মিছিল সেলাই হবে
আমি ধোয়া কাপড়ে স্নান সেরে
ভেজা ও গন্ডগোলের সেই কাপড়টি তাকে
দিয়ে বলব, " কবিতা করে দিন "
এই কবিতার ওপর শোনো পাখিরা
পুরানো শীতেরা এসে বসবে
তোমরা মশারি বাহির হয়ে দেখবে
স্বাধীনতা দিবসের মতন একটা সবুজ দিন আর
আমি হাতে পেখম বেঁধে উড়ব কয়েকবার
এই কবিতার মতনই, অন্ধ লিফলেট সেজে
মানুষের
পায়ে-পায়ে
উড়ব
অলংকার-টলংকার সব ক্ষতিতে...
যাবে
তোমাদের...
১.৮
মাথার ভেতর থেকে কারা চুরি করে-
দিনান্তে সেতার-
আমাদের দেশে, আমি
করজোড়ে বসি, দেয়ালের কাছে।
আজ জলবায়ু কেমন সাতচল্লিশের?
মৃত্যুজন্ম এত ঝাঁঝালো হওয়ার কথা
ছিল কি আমার...
আমার ফোনের ওপার থেকে ফোন আসে আমার
ভূমিকার পরিচিতা- বলে:
আত্মারা ফোন করে তোমাকে?
১.৯
আমার গোড়ালি কার বকেয়া গন্ধ ধরে রাখে?
স্পর্শ শ্বাস আলগা হলে একটি দৃশ্যে
মনে পড়ে: আমি এক মেছোবকের বন্ধু ছিলাম।
মধু ও রঙ মেশানো হালকা দরজা-
সামনে ল্যাটিন পাত্রে কুচি মাছ বসিয়ে ছিল
মধ্যবয়সী ঢিলেঢালা মুখের মতন
এবার শীতে, আরো বেশী রোদ গলায় জড়াব-
ঠিক করেছি রেকর্ড গোলোকে ঘুরিয়ে দেব
লবণের শীৎকার, বালিচর চামড়ার বেঁচে থাকায়
১.১০
অন্ধকারের কোনো হাত পা নেই শুধু
চোখের শরীর একটি অন্ধকার প্রতিটি অন্ধকারের থেকে আলাদা আলাদা
হয়ে নিজস্ব ঝুনঝুনি বাজায় চব্বিশটি দৃশ্যে আমি সেই বিসর্গের পথিক হয়ে
আকাশি জলেদের বীজতত্ত্বে কান ঠেকিয়ে রাখি
আরেকটি জলবিন্দু ফাটার আগে তবে ভুল
আমার গোড়ালি ছাড়ে না…
বাদামি মাংসওয়ালী
কাঠশব্দ সহযোগে কাটে
সাদা চর্বি
ফল আর সূর্য
বেশ ভালো লাগলো কবিতাগুলি
ReplyDeleteভালো লিখেছ
ReplyDelete