সমীরণ কুণ্ডু'র কবিতা
নৈঃশব্দ্য খোঁড়া জল
তোমাকে প্রতিটি মুহূর্তে ভাবা আমার অভ্যেস। ইচ্ছে হয় সারাদিন কাছে নিয়ে বসে থাকি। গল্প করি। কতদিন― বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। একটির পর একটি আয়োজন। সমুদ্রের ঢেউ।
মাঝেখানে জীবনের অর্ধ্বেক সময় বিস্তর ফাঁকা।
একাকী অবয়বহীন অবয়বের সাথে অসীম। আমার ছিন্ন ভাবনাগুলো জুড়ে দিতাম শুধু। শুনতে বুঝি?
নিয়তির দুধারে লাবণ্য প্রসারিত গোধূলির আড়াল দেখেছ কখনও? লুকিয়ে কাঁদতাম। ভেবেছ আমাকে?
ভুলেই গিয়েছিলে। কতখানি সময় শূন্যে ছিলাম।
ওই প্রগতি, ওই তাড়না, ওই ওই আলোছায়া ঘেরা অস্তিত্বের মাঝে কতকাল আস্তাকুঁড়ের পূতিগন্ধে পরাজয়কালীন আকর্ষণ― জানতে সে'কথার খেয়ালিপনা?
ডেকেছ সেই একবার― মাতৃবিয়োগে আচ্ছন্ন সেবেলা তোমায় দেখলাম জড়তা নিয়ে। এছাড়া আমি বহিরাগত। অলক্ষ্য-স্তূপে সন্ধ্যামালতী ফুল― প্রতিটি আঁধারে দিনান্তের বাঁশি। তারা গোনা বাতিক ছিল গো।
হ্যাঁ, সেই আমি। কোনো ক্রোধ নেই, আক্রমণ নেই, অভিযোগ নেই, হিংসা নেই, দাবি নেই― বৃষ্টিতে ধুইয়ে দিয়েছি বন্য প্রেম। সে ফেরে মেঘ হয়ে― অগ্নিশুদ্ধ। আমার নিঃশ্বাস। চৈতন্যে। এরপরেও কখনও বলবে আমাকে ছেড়ে যাবে?
বায়ুজড়ানো তোমার সমস্ত শরীরে এখন শরতের স্থলপদ্ম,
শিউলি, শালুক, নয়নতারা, টগর ও জবা। গন্ধরাজকেও দিলাম নিভৃতে।
ভালো লাগলো
ReplyDelete