দেবার্ঘ সেনের কবিতা
ক্যামেরা
(১)
জল জমে আছে, নিষ্কাশন হোক তস্য উদাসীন।
সাপেদের সমবেত বিবৃতি…
(২)
অস্থায়ী কোশ আর তার হলুদ হলুদ ফুল,
এক পা অথবা তিন পা বোরখা পরতে চায়।
(৩)
স্মৃতি = মুহূর্তের লাশ,
ঔজ্জ্বল্যতার সূত্রে পাংশু ন্যাপথলিন।
(৪)
বৃষ্টিকে ধরবে!! সে সাধ্য কই,
বরং ফেনিয়ে উঠে কান্নায় বুক চিরে রাঙাও ঘরোয়া
ট্রাপিজিয়াম।
(৫)
জড়তা কেটে গেলেই, মন জানে
নিপাট দুর্বলতায় তুমিও উদ্ভিদ।
(৬)
অক্ষিকাচের অবহেলা তবু,
কবিত্বের দাবি ন্যাড়াগাছটা ঘুমোচ্ছে।
(৭)
ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়ে দুমুখো সাপেরা আখের গুছিয়ে
যুগ যুগ ধরে দিয়ে আসছে হীনমন্য পোজ।
(৮)
কান্না এবং কান্নার কারণের ফারাকটুকু মেপে
কষ্টি পাথরে ঘষলে উৎকর্ষতার বোধ বৃদ্ধি পায়।
(৯)
পাতা ঝরে, পাতা গজায়..
শিকড়ের মনে থাকে মায়া আর সেইসব আদিম কসরত।
(১০)
তারপর, একদিন কী ভীষণ উত্তাপে গলে যাচ্ছে সব
ঘুম ভাঙা শহরের খাটের তলায় গোটা সূর্যের সমর্পণে।
ভীষণ ভালো একটা সিরিজ..
ReplyDelete