কোজাগরীর কবিতা
সঙ্গম-সঙ্গীত...
কবিতারা হরতালে গেলে নগরের সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা হেঁটে যাই।
অভিধান থেকে খুঁজে নিই শব্দহীন গন্তব্য।
শাল কাঠের জানলা থেকে ঘষা কাচের স্লাইডিং।
অনেকটা হাঁটতে থাকি...
ভেসে আসে বৃষ্টির সঙ্গম সঙ্গীত
রাত্রি রাত্রি মৃত্যু নামে।
সব রঙ চেনা হয় না বলেই-
একাকিত্বের
হিম বাগানে জীবনের অন্ত্যমিল
ট্রামকার্ডে যাযাবর নক্ষত্র, জলছাপ।
কবিতারা মাঝে মধ্যে হরতালে গেলে
জীবনের নুড়ি ভেঙে সাড়ে তিন হাত, সাড়ে পনেরো আনা...।
গোধূলি
দুপুরের ভাত ঘুম শেষ
জানলা লাগোয়া
প্রাচীরটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নাগরিক সন্ধে নেমে আসে।
বেঁচে থাকার টুকরো টুকরো স্বপ্নের রঙ তুলি, মনের অদৃশ্য কাশবনে জলছবি এঁকে যায়
মেঘেদের ভাঁজে ভাঁজে মাটির স্যাঁতসেঁতে গন্ধ, বৃষ্টিভেজা অক্ষর
অথচ কবিতা লিখব বললেই কবিতা লেখা যায় না....
তৃষ্ণা
যদিও আষাঢ় শ্রাবণ বর্ষাকাল, অথচ সারা বছর-ই বৃষ্টি পড়ে।
হৃদয়ের আনাচে-কানাচে হরেকরকম
যন্ত্রণা।
কাঠখোট্টা দুপুর
বাজপরা তালগাছের মতো দাঁড়িয়ে জীবন।
ঘুমের মধ্যরাতের দরজায় নির্জন সৌন্দর্য। তৃষ্ণা
কখনো কখনো কেঁদে ওঠে।
সালোকসংশ্লেষ
প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এক একটি
দুঃখ নিয়ে জীবনও বড় হয়।
ভেতরে ভেতরে
জলহীন বৃক্ষ ফুসফুসে নিকোটিন সঞ্চয় করে।
No comments:
Post a Comment