লেখা পাঠান আমাদের chayarodpatrika@gmail.com

Wednesday, January 20, 2021

বাপন চক্রবর্তী, ১৪

বাপন চক্রবর্তী’র কবিতা

 

অরূপরতন

 

অরূপরতন ডাকব যাকে

সেই কথাটি আড়াল থাকে

সেফটিপিনে স্মৃতির কোণাতে...

 

কীভাবে সেই বিকেলবেলা

ছায়ার সাথে শালিখ বলা

ভুলব এসে বিজন প্রপাতে...


তখন  সারাদিনের পুতুলখেলা

ছড়িয়ে দিয়ে কুড়িয়ে ঝোলা

পথের ক্ষত ফিরবে বাসাতে...

 

আর কিউট কোনও মনখারাপে

হঠাৎই যার অধর কাঁপে

ফিরেছে সেও, মধুর, তোমাতে...

 

ছায়াকাহিনি

 

মেঘের ছায়ায় ভাসমান মুখখানি

ছড়িয়ে পড়েছে বন্ধনহীন চুলও

দুপুরবেলার সবকিছু তক্ষুনি

রহস্যচোখে ছায়ার শরীর ছুঁল...

আলো ছোঁয়াছুঁয়ি গাছের পাতায়, ডালে

বর্ষাবিকেল নাম ধরে ডাকি তাকে

জলের ছায়ায় এবং ছায়ার জলে

আজ হারিয়ে ফেলেছি এতদিন ধরে খুঁজে বেড়িয়েছি যাকে...

 

অ্যালবাম

 

পৌঁছতে পারিনি তাই দুপুরের গায়ে মরা শীত…

কেউ যেন রোদ্দুরে মুছেছে ভিজে হাত।

ওরা এসে নির্জনতা উল্টে দিচ্ছে ছাতে। চরাচর সিপিয়া অ্যালবাম।

তোমার চোখের কাছে, তবু, নতজানু হতে চাই...

খোলস খসিয়ে ফেলে দেহ থেকে

                           আকাশের শীত-চোখে

                                  পৌঁছতে পারিনি বলে

দুপুরের সবকিছু দাঁড়িয়ে রয়েছে...         

অসম্ভব প্রতীক্ষায়...

 

বসন্তদিন

 

অনুগ্রহ করে শুনবেন... এভাবে বসন্তদিন ডেকে ফিরেছে।

সমুদ্র ছিল ভীষণ সামুদ্রিক

মাংস আর যৌনঢেউ সারাদিন

চন্দ্রালোক ভিজিয়ে যেত রাত্রি।

নুন ছিল না তখনও ভালোবাসায়।

 

বিকেলবেলার গল্পরৌদ্রে আমাদের ঢেউরিক্সা

       অন্যমনস্ক হয়ে যেত সূর্যাস্তের দিকে

 

ফিরে যাওয়ার সময় সবাই হাঁ করে দেখছিল

নোনতা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে অগোপন তথ্যসূত্র...

 

একাকী

 

এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল।

আশ্বিনের দ্বিপ্রহর। একমাঠ রৌদ্র।

কেউ যেন আসবে তাই... ছায়াকে ঠেলছে রোদ

                     রোদ্দুরে ছায়ার কণ্ঠস্বর...

কথাদিন অবসিত তারার আকাশে...

 

এভাবেই হেরে যেতে যেতে

              প্যারাসিটামল পথে

                     একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে হবে...

সাত্যকি, ১৪

সাত্যকি’র কবিতা


অভিযান 

১.

আমি তো কখনও চাইনি

শহর হয়ে যাক

মফস্সলের এই একটুকরো জায়গা

 

দ্রুতগামীতা ভালো, কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক

মফস্সলের ঢিকঢিকে চলন

এই বেশ

             খানিক ধুলো উড়ে আসা

              চুলে বিলি কেটে দেওয়া

কিছু গাছ হাঁসেদের সাঁতারের শব্দ

শালিকের গায়ে বসে থাকা বিকেল

ধান কাটা হয়ে যাওয়ার পর পড়ে

থাকা বার্ধক্যের মাঠ

 

এই বেশ

আমি কখনও চাই না শহরে হয়ে উঠুক

এই সব সকালের মতো প্রিয় ছবির মফস্সল   

 

২.

ভোর এখন কোনো অমীমাংসিত গল্পের ঠিকানা লিখে যায়

আর সেই ঠিকানায় লেখা নাম খুঁজে খুঁজে কেটে যায় পড়ে থাকা দৈনিক সময় 

তারপর অবসন্নতা হাসি কান্নাগুলো জড়ো হয় টেবিলের পাশে যেখানে রাত নেমে আসে

এখন জ্বর হলে কেউ নেই কপালে হাত রেখে সেই জ্বরের উষ্ণতাকে হারিয়ে দেওয়ার

বান্ধবীদের হাত ধরার সময় যে শেষ

মেঘ যেমন প্রত্যেক গাছের উপর থেকে চলে যায় দূরের সরণিতে 

তারাও চলে গেছে তেমনই পড়ে আছে মায়া   

সেই মায়া থেকে কিছু কুড়িয়ে রেখেছি

এগুলোই ছড়িয়ে ছড়িয়ে যাবো আগামীর অভিযানে

ভেবেছি সেই অভিযানের একটা নাম দেবো

তোমাদের ফেলে রাখা সেই আলতা রঙের দুপুর থেকে কুড়িয়ে নেবো

তারপর থেকে সে আমার অভিযানের সঙ্গী হবে

সঙ্গী শব্দটা আজ বেশ আটকে ধরতে চায়

চারপাশে একবার তাকিয়ে দেখতে বলে

একবার হাতড়ে দেখতে বলে কাঁধের ব্যাগ

চেয়ে দেখতে বলে কলেজ স্ট্রিট থেকে বারাসাতের পড়ে থাকা পথ

আমি যশোর রোডের পাশে দাঁড়িয়ে দেখি উড়তে থাকা ধুলো

একবার ঘুরে দেখতে বলে কুয়াশার নিচে পড়ে থাকা কলেজের মাঠ

মাঠের প্রত্যেক ঘাস আজ হলুদ

আমি যদি জিজ্ঞাসা করি কেন এই রূপ 

তার কোনো উত্তর সে দেয় না

মুখ ঘুরিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে

পর মুহূর্তে তাকিয়ে বলে একবার দেখবে নাকি ওই,ওই যে মাঠের পাশ দিয়ে

রেললাইনের দিকে চলে যাওয়া পথ

দেখে এসো অনেক মায়া পড়ে আছে পারলে কুড়িয়ে নিও

আমি যাব কি যাব না ভাবতে ভাবতে কখন যে পা বাড়িয়ে ফেলি খেয়াল থাকে না 

যখন সেই সব দিন ঘিরে ধরে খেয়াল হয় আমি হেঁটে যাচ্ছি তাদের গায়ের উপর দিয়ে

সেই পথের ধারের ঘাসেরা তেমনই আছে যেমন ছিল

তবে সেই খালের জলে এখনও অনেক শ্যাওলার বাস তাকিয়ে থাকলে মুখ দেখা যায় না

আর একটু এগিয়ে যাই পুকুর বিকেলের মাঠ রেলের ধার

প্রত্যেকেই হাঁ করে তাকিয়ে থাকে

আর ফিসফিস করে

আমি ওসব বুঝি না

কয়েক পলক দেখি তারপর এগিয়ে যাই এবার পথ শেষ

ফিরে আসিদেখি তখনও মাঠে দাঁড়িয়ে আছে

তাকিয়ে আছে আকাশে রঙ করা মেঘেদের দিকে 

আমি আর কথা বলি না এবার এগিয়ে যাই সামনের পথে

আমার পিছনে পিছনে একটা ছায়া এগিয়ে আসছে বেশ বুঝতে পারি 

তবে এই যাত্রা পথের নামটা এখনও ঠিক করতে পারি নি!  

 

৩.

প্রত্যেক সন্ধ্যার একটা নিজস্ব চেহারা আছে একটা গন্ধ রেখে যায় কয়েকটা দুমুখো সাপ ছেড়ে দেয় তার কয়েকটা কিছু পিঁপড়ে আর কিছু কুঁচে মাছের শরীর নেমে আসে নিবিড় অন্ধকারের ভিতর তারপর তারার নীচে কখনও চাঁদের নীচে নালার মতো অগভীর রাতে বয়ে যায় বসিয়ে দেয় একটা তীব্র ঘ্রাণ কয়েকটা মানুষের শরীরে কয়েকটা পশুর শরীরে... উদ্ভিদ দু পায়ে হেঁটে নদী পার হয় বালি চকচকে নদী তীরে বসে থাকা নেশা গ্রস্ত মাঠ কয়েকটা অনুচ্চ পাহাড়ের মতো ঘাস মৌমাছির মতো যারা এই সন্ধ্যায় গন্ধ নিতে আসে তারাও এই সন্ধ্যার নিমন্ত্রিত অতিথিদের একজন তারা চাঁদ আর মৌরলা মাছের মতো হাওয়ার নীচে প্রত্যেক সন্ধ্যা আমার তোমার চোখের প্রসারিত দৃষ্টির সমান্তরালে একটা চেহারা রেখে যায়, একটা গন্ধ রেখে যায়...

অন্তর চক্রবর্তী, ১৪

অন্তর চক্রবর্তী'র কবিতা


বৃক্ষমানব ও পয়গম্বর


১.

ষোলোটি ছায়াময় অরণ্য

পিছু নিয়েছে হরিণীর...

 

ভ্রমণ এখনও বোঝেনি,

 

কীভাবে

রহস্য সুপূর্ণা হতে পারে...

 

ঝুপ করে আলো নামল

আর ক্ষুর ছেঁকে ধরল অন্তিম

 

এই তবে ষোলোকলা ?

 

উদগ্রীব হরিণশিশু হয়ে

জেগে উঠল ঋতু

 

ভাঙচুর রহস্যের পাড়ে...

 

পা থেকে অরণ্যে

গড়িয়ে যাচ্ছে

 

চারটি ছায়াময় তেপান্তর...

(২০১৯, কৃতজ্ঞতা : জীবনানন্দ দাশ)

 

২.

তুমি

সেই সমর্পণ

অর্পণের প্রভূত অতীত...

 

যাত্রামুখ কেড়ে নিল

 

খাদ

অর্জন

তোমার আগামী বিপরীত...

 

ত্রস্ত শাদা আরশি থেকে খসে পড়ল চোখ

ঘুম এড়ানো জলসৌধ ভেজাচ্ছে প্রেতলোক...

 

তুমি

সেই অনর্গল

বিরলের চিহ্নজোড়া পা'য়...

 

চিরন্তন ফিরে এল

 

মূল

বল্কল

তোমার আগামী ঝরনায়...

(২০২০, কৃতজ্ঞতা : বাবা)

 

৩.

চিন্তক,

মানসীকে কেন ডাকো ?

দেহকল্প শোনাও ?

 

ঘুমরস নিতান্ত মিহি

একথা অজানা নয় তার...

 

পায়ে পায়ে গলি এসে

চিরে দ্যায়

আজন্ম প্রাসাদের লেশ...

 

তরলের থেকেও তরল

 

দিগন্ত

অশ্রু

স্নানে

 

মানসী ভেসে উঠছে

সুনীরা প্রসূতিগাছ হয়ে...

 

চিন্তক,

 

আমায় শিখিও দেহস্বর

মনোজ আকাশকুঁড়ি থেকে...

 

তোমার আলোয়

রেখে যাচ্ছি

 

নির্জন

আয়ুভাঙা শিথিল ঘোড়াদের...

(২০২০, কৃতজ্ঞতা : অমৃতা)

সিদ্ধার্থ দাস, ১৪

সিদ্ধার্থ দাসে কবিতা

 

বাল্য বিবাহ

 

আগুন বিধবা সেজে পুড়ছে মাটির দেয়াল।

অহংকার ছুঁই ছুঁই মৃত্যুবাণ

মাংসল সংস্পর্শে গুরুধ্বনি রচিত।

তিরের আগুন সরগরম, কুমায়ূন চুপ।

 

ঠিকই দেখছে সাক্ষীগোপাল

প্রণয়ী অঙ্গ শতজ্বালা

চুলপড়া শব্দে বিকশিত কাঞ্চনযোগ।

তেজস্বী হিংস্র হও।

ফুল ও আতরে গন্ধবিন্যাস যুগপৎ।

কৃষ্ণসঞ্চালনে তটিনী সমূহ নিভৃত, জল পার হয়।

স্বর্গরসে পরকীয়া শতায়ু কাম।

 

পরীক্ষা

 

খাতায় পাতায় যুদ্ধ শেষে বাড়ি যাই নম্বর।

দিন দুপুর আলো লেখে ফিরলে জওয়ান বাড়ির নম্বর।

বুকে আলো অভিসন্ধি, মুখে হাসি থাক,

মুখোশ ঢুকে যাক জঙ্গলে। ভুলভাল তদানিন্তন -

দায়বদ্ধ দ্রিদিম জলে...

 

চোখের নীচে আবেদন জাগ্রত কালি।

সবচেয়ে সহজ সত্য দধীচ, গাঙে ডুব দিয়েছে পলি।

 

দর্পন

 

তুমি আমায় দেখো, আমি তোমায় দেখি ধনু,

তুমি পরাশ্রয়ী সবুজ পাতার মর্ম লিখন, সকালে চাঁদভানু।

 

ছন্দ বহির্ভূত অক্ষর সাবলীল।

গাছের ছায়া মাত্রায় আমার বাড়ি মিথিল।

 

ভালোবাসে দূরহি যখন যেমন কাঁদি,

আলো অন্ধকারে সজীব চকিত আহ্লাদী।

 

দ্বিপ্রহর

 

লুকিয়ে পড়া কবিতার বই, বেআব্রু আলোক; সত্য সংহতি।

গানে গানে ভরিয়ে দেওয়া যায় দেহজ দুঃখ দোষ।

গানে গানে উচ্ছ্বাসিত মেঘ

বৈরি মেঘের স্তুতি।

 

বিদ্যার্থী মাঠ পাকা শিষ পালং

উপজীব্য কাগজ

বলপেন এইচ বি পেন্সিল জলঢং।

 

জ্বলে আগুন মনখারাপ, ভ্রমসংশোধন।

বিবসনা দেখতে চাই তফাতে।

বুকের চাপে ফুটেছে কুঁড়ি এন্ট্যাসিড

মুখের অরুচি নুন করলা ভাতে।

সায়ক দাস, ১৪

সায়ক দাসে'র কবিতা


ডিসেম্বর

 

কিছু দূরপথ নেই। কীভাবে যেন ভগবান সাজিয়ে রেখেছে কুয়াশার সাঁজোয়া গাড়ি। ঠিক এইভাবে আমার বাবা আমার ভবিষ্যতের জন্য ঝুলিয়ে রাখে ক্যালেন্ডার‌। আমি কবিতা লিখলে শীত হয়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় ছেঁড়াখোঁড়া কাগজ-রোদ।

আমার বাবা জানে পরের ডিসেম্বরে আমি থাকব না‌। তাই ইদানিং ক্যালেন্ডারে ঝুল বাড়ে বেশি...

 

আমায় তুমি নিয়ে যেতে পারতে। ঝড়া পাতার উল্লাস দেখতে দেখতে আমি আর তুমি যেতাম। কিন্তু তুমি এলে না। আমার মাথার ভিতর কে শুধু বরফ ভরে দিল। ধীরে ধীরে আমি পচে যেতে দেখলাম আমার চারপাশ। হতশ্রী শীত! চারপাশ শুধু বদ্ধ এখন।

রোদে ইদানিং গা ভেজে না আর...

 

ডিসেম্বর চারিদিকে সুতো দিয়ে বেঁধে রাখে মৃত্যুকালিন শব্দ। কুকুরের মৃতদেহের পেটে জল চড়ে, ঠান্ডা হয়।

মধ্যবিত্ত গলিতে নদীর জল ঢুকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় স্বপ্নের স্লেজ। হরিণের চামড়া পড়ে থাকে দরজায়। রাতের উল্লাসে ভেসে যায় স্বপ্নমদির সান্তা।

 

ডিসেম্বর এলেই মনে পড়ে

আমার প্রেমিকার জন্মদিন

মনে পড়ে কীভাবে আমি কুয়াশা আটকে রেখেছি নিজের চারিপাশে। কীভাবে একটু একটু করে সত্যি করে ফেলছি নতুন আসবাবের স্বপ্ন।

ডিসেম্বর এলেই মনে পড়ে, কীভাবে চিরসত্য লুকিয়ে প্রেমিকার হাতে দিয়ে যাচ্ছি টাটকা, দগদগে গোলাপ...

 

ঠিক আগের ডিসেম্বরের আগে আমার মা ছিল। আমি শ্যাওলায় পিছলে গেলে আমার পায়ে পড়ত আদরের চুন-হলুদ, নরম শীতল মালিশ। আমায় জড়িয়ে থাকতো সহিষ্ণু কাঁথা...

এখন দেয়াল থেকে খসে পড়ে চুন। মা ডাকলে আরও চেপে ধরে দস্যু নৈঃশব্দ্যতা।

 

এই শীতে আমি বাইরে বেরিয়ে দেখি

কীভাবে তুমি ঘর থেকে সরিয়ে ফেলছো শান্ত, শীতল বরফ। কীভাবে আমি জড়িয়ে নিচ্ছি সাংসারিক চাদর!

অমিত পাটোয়ারী, ১৪

অমিত পাটোয়ারীর কবিতা


স্থানীয় সংবাদ

 

আকাশবাণী কলকাতা

উড়ে বেড়াচ্ছিকুসুমকুমারী দাশ।

 

খুঁড়ে নেওয়া বেআইনী বালির ওপর ভালোবাসা

স্থাপন করছে দুটো নেড়ি,

প্রোমোটারের বর্ষাতি থেকে টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে

মারীচ সংবাদ,

তুলসীতলায় হিসু করে গ্যাছে

ছায়াছবির পেলব ডাইনি।

মগরাহাটের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে দুইজন দাঁড়া-কবির

অপমৃত্যু। একজন গুরুতর জখম

রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী রাতারাতি কুমির হয়ে গ্যাছেন।

 

গত দশ বছরে দেশে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি

অনুমান, আগামী দশ বছরও

জয়সলমীর পদ্মশ্রী পাবে।

মাঝ-সমুদ্রের মাঝিদের গান গাওয়ার ব্যাপারে

সাবধান করা হচ্ছে

 

নকল ডানার পরিষেবা এখন এ পর্যন্তই

পরবর্তী ট্রাম চলবে একটু পরেই

 

দুস্মন্ত আসলে

 

দুস্মন্ত আসলে একজন পার্ভার্ট

 

তুমি ভেড়ির পাশে এসে বসলে

অঙ্ক কষে প্রমাণ করে দিলাম

সরস্বতী

হাত তুলেছিলেন কবির মাথা থেকে

 

সামান্য পুঁটিমাছ নিয়ে চলে যাচ্ছো।

যে তোমাকে বিয়ে করলো না,

বছর পাঁচেক পরেও স্ত্রী-সন্তানসহ এসে

সে বলবে একই কথা

 

সরস্বতী

হাত তুলেছিলেন কবির মাথা থেকে

কারণ

দুস্মন্ত আসলে একজন পার্ভার্ট

 

৮ই মে-এর লেখা

 

রাত্রিবেলা কবিতা লিখি বলে নাহিদের কথা

আমি কিছুই লিখি না

ভোরবেলা ব্রাশ করি না

লিখব!

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে, সবকিছু ধুয়েটুয়ে

আমি লিখতাম,

চোখ বুজিস না নাহিদ, চোখ খুলে গা

কান থেকে সরিয়ে নে হাত

নাগাসাকির পর ভগবান মরে গিয়েছেন

আর নন্দীগ্রামের পর রবীন্দ্রনাথ।

 

নাহিদের গেঁড়ে বাচ্চাটাকে

একটা চব্বিশ-কালার অয়েল প্যাস্টেল কিনে দিয়েছি

ওর জন্মদিন আটই মে

কখনো পঁচিশে বৈশাখ পড়ে, কখনো পড়ে না।