সিদ্ধার্থ দাসে’র কবিতা
বাল্য বিবাহ
আগুন বিধবা সেজে পুড়ছে মাটির দেয়াল।
অহংকার ছুঁই ছুঁই মৃত্যুবাণ
মাংসল সংস্পর্শে গুরুধ্বনি রচিত।
তিরের আগুন সরগরম, কুমায়ূন চুপ।
ঠিকই দেখছে সাক্ষীগোপাল―
প্রণয়ী অঙ্গ শতজ্বালা
চুলপড়া শব্দে বিকশিত কাঞ্চনযোগ।
তেজস্বী হিংস্র হও।
ফুল ও আতরে গন্ধবিন্যাস যুগপৎ।
কৃষ্ণসঞ্চালনে তটিনী সমূহ নিভৃত, জল পার হয়।
স্বর্গরসে পরকীয়া শতায়ু কাম।
পরীক্ষা
খাতায় পাতায় যুদ্ধ শেষে বাড়ি যাই নম্বর।
দিন দুপুর আলো লেখে ফিরলে জওয়ান বাড়ির নম্বর।
বুকে আলো অভিসন্ধি, মুখে হাসি থাক,
মুখোশ ঢুকে যাক জঙ্গলে। ভুলভাল তদানিন্তন -
দায়বদ্ধ দ্রিদিম জলে...
চোখের নীচে আবেদন জাগ্রত কালি।
সবচেয়ে সহজ সত্য দধীচ, গাঙে ডুব দিয়েছে পলি।
দর্পন
তুমি আমায় দেখো, আমি তোমায় দেখি ধনু,
তুমি পরাশ্রয়ী সবুজ পাতার মর্ম লিখন, সকালে চাঁদভানু।
ছন্দ বহির্ভূত অক্ষর সাবলীল।
গাছের ছায়া মাত্রায় আমার বাড়ি মিথিল।
ভালোবাসে দূরহি যখন যেমন কাঁদি,
আলো অন্ধকারে সজীব চকিত আহ্লাদী।
দ্বিপ্রহর
লুকিয়ে পড়া কবিতার বই, বেআব্রু আলোক; সত্য সংহতি।
গানে গানে ভরিয়ে দেওয়া যায় দেহজ দুঃখ দোষ।
গানে গানে উচ্ছ্বাসিত মেঘ
বৈরি মেঘের স্তুতি।
বিদ্যার্থী মাঠ পাকা শিষ পালং
উপজীব্য কাগজ
বলপেন এইচ বি পেন্সিল জলঢং।
জ্বলে আগুন মনখারাপ, ভ্রমসংশোধন।
বিবসনা দেখতে চাই তফাতে।
বুকের চাপে ফুটেছে কুঁড়ি এন্ট্যাসিড
মুখের অরুচি নুন করলা ভাতে।
No comments:
Post a Comment