অন্তর চক্রবর্তী'র কবিতা
বৃক্ষমানব ও
পয়গম্বর
১.
ষোলোটি ছায়াময় অরণ্য
পিছু নিয়েছে হরিণীর...
ভ্রমণ এখনও বোঝেনি,
কীভাবে
রহস্য সুপূর্ণা হতে পারে...
ঝুপ করে আলো নামল
আর ক্ষুর ছেঁকে ধরল অন্তিম
এই তবে ষোলোকলা ?
উদগ্রীব হরিণশিশু হয়ে
জেগে উঠল ঋতু
ভাঙচুর রহস্যের পাড়ে...
পা থেকে অরণ্যে
গড়িয়ে যাচ্ছে
চারটি ছায়াময় তেপান্তর...
(২০১৯, কৃতজ্ঞতা : জীবনানন্দ দাশ)
২.
তুমি
সেই সমর্পণ―
অর্পণের প্রভূত অতীত...
যাত্রামুখ কেড়ে নিল
খাদ
অর্জন
তোমার আগামী বিপরীত...
ত্রস্ত শাদা আরশি থেকে খসে পড়ল চোখ―
ঘুম এড়ানো জলসৌধ ভেজাচ্ছে প্রেতলোক...
তুমি
সেই অনর্গল―
বিরলের চিহ্নজোড়া পা'য়...
চিরন্তন ফিরে এল
মূল
বল্কল
তোমার আগামী ঝরনায়...
(২০২০, কৃতজ্ঞতা : বাবা)
৩.
চিন্তক,
মানসীকে কেন ডাকো ?
দেহকল্প শোনাও ?
ঘুমরস নিতান্ত মিহি―
একথা অজানা নয় তার...
পায়ে পায়ে গলি এসে
চিরে দ্যায়
আজন্ম প্রাসাদের লেশ...
তরলের থেকেও তরল
দিগন্ত
অশ্রু
ও
স্নানে
মানসী ভেসে উঠছে
সুনীরা প্রসূতিগাছ হয়ে...
চিন্তক,
আমায় শিখিও দেহস্বর―
মনোজ আকাশকুঁড়ি থেকে...
তোমার আলোয়
রেখে যাচ্ছি
নির্জন
ও
আয়ুভাঙা শিথিল ঘোড়াদের...
(২০২০, কৃতজ্ঞতা : অমৃতা)
প্রতিটি অংশই অনবদ্য
ReplyDeleteবাহ, ভীষণ সুন্দর
ReplyDelete