সৌরভ মাহান্তী'র কবিতা
এ
ই শ হ রে র রা খা ল
পাতারা
ঝরেছে বহুদিন আগে। তখনও শীতের সকাল।
ফেলে
আসা চোট, কুড়িয়ে রাখত এই শহরের রাখাল।
১.
এক-একটা
শীতকাল ফুরিয়ে আসে ঝরে যাওয়াদের গল্প লিখতে লিখতে। চামড়া খসে পড়ার শব্দে কান্না পায়
যে কপোত-কপোতীদের, তারা জানে আজ কার ঘরে নুন ফুরিয়ে এল, কার বটিতে আঁশটে গন্ধ।
বেলা
শেষে কপোত-কপোতীরা উড়ে যায়। আনন্দ সহকারে রোদ আসে রাখালের ছাদে। রাখালও একে একে উঠোনে
বিছিয়ে রাখে মাংসের দোকানগামী পশুদের শোক...
২.
যেসমস্ত
পথে মানুষ হেঁটেছিল বহুদিন আগে সে পথে হাঁটতে গিয়ে দেখি, পথের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে
কোনো এক রাখালের বাঁশি ভেঙে পড়ে আছে। বাঁশি কি বেজেছিল কোনোদিন? তবে সে বাঁশি ভাঙবে
কেন?
এসব
প্রশ্ন করো না আমায়। সুর যে কি বেদনার তোমায় কিভাবে বোঝাই এ অপরাহ্নবেলায়...
৩.
প্রভুর
গাভী হারিয়ে যাওয়াতে একশো চাবুক খেয়েছিল যে রাখালবালক, আজ তার কথা মনে পড়ে রাঙাধুলোর।
তুমি দেখেছো তাকে সারাটাদুপুর আদুড় গায়ে গাঁয়ের মোড়ে মোড়ে ফিরতে। তার মুখে ক্ষীণকায়
বাঁশির আঘাত, পিঠে চাবুকের দাগ; বুকেতে কদমফুল।
সন্ধেবেলা
শঙ্খ বাজলেই যে পাখিরা ঘুমিয়ে যায়। এ ভাবনা ভুল।
দূরের
পোল্ট্রিকাটা দোকান থেকে উড়ে আসছে পালক
একটা...দুটো...তিনটে...
সাদা
পালক আর ভাঙা বাঁশির টুকরো।
অসাধারণ... খুবই সুন্দর সৌরভ
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ ❤️
DeleteDarun likhechis vai
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteখুব ভালো হয়েছে।
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteখুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখা!
ReplyDeleteধন্যবাদ সবাইকে ❤️
ReplyDelete