বাপন চক্রবর্তী’র কবিতা
অরূপরতন
অরূপরতন
ডাকব যাকে
সেই
কথাটি আড়াল থাকে
সেফটিপিনে স্মৃতির কোণাতে...
কীভাবে
সেই বিকেলবেলা
ছায়ার
সাথে শালিখ বলা
ভুলব
এসে বিজন প্রপাতে...
তখন সারাদিনের পুতুলখেলা
ছড়িয়ে দিয়ে কুড়িয়ে ঝোলা
পথের ক্ষত ফিরবে বাসাতে...
আর কিউট কোনও মনখারাপে
হঠাৎই যার অধর কাঁপে
ফিরেছে সেও, মধুর, তোমাতে...
ছায়াকাহিনি
মেঘের
ছায়ায় ভাসমান মুখখানি
ছড়িয়ে
পড়েছে বন্ধনহীন চুলও
দুপুরবেলার
সবকিছু তক্ষুনি
রহস্যচোখে
ছায়ার শরীর ছুঁল...
আলো
ছোঁয়াছুঁয়ি গাছের পাতায়, ডালে
বর্ষাবিকেল
নাম ধরে ডাকি তাকে
জলের
ছায়ায় এবং ছায়ার জলে
আজ
হারিয়ে ফেলেছি এতদিন ধরে খুঁজে বেড়িয়েছি যাকে...
অ্যালবাম
পৌঁছতে
পারিনি তাই দুপুরের গায়ে মরা শীত…
কেউ
যেন রোদ্দুরে মুছেছে ভিজে হাত।
ওরা
এসে নির্জনতা উল্টে দিচ্ছে ছাতে। চরাচর সিপিয়া অ্যালবাম।
তোমার
চোখের কাছে, তবু, নতজানু হতে চাই...
খোলস
খসিয়ে ফেলে দেহ থেকে
আকাশের শীত-চোখে
পৌঁছতে পারিনি বলে
দুপুরের
সবকিছু দাঁড়িয়ে রয়েছে...
অসম্ভব
প্রতীক্ষায়...
বসন্তদিন
অনুগ্রহ
করে শুনবেন... এভাবে বসন্তদিন ডেকে ফিরেছে।
সমুদ্র
ছিল ভীষণ সামুদ্রিক
মাংস
আর যৌনঢেউ সারাদিন―
চন্দ্রালোক
ভিজিয়ে যেত রাত্রি।
নুন
ছিল না তখনও ভালোবাসায়।
বিকেলবেলার
গল্পরৌদ্রে আমাদের ঢেউরিক্সা
অন্যমনস্ক হয়ে যেত সূর্যাস্তের দিকে
ফিরে
যাওয়ার সময় সবাই হাঁ করে দেখছিল
নোনতা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে অগোপন তথ্যসূত্র...
একাকী
এভাবেই
দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল।
আশ্বিনের
দ্বিপ্রহর। একমাঠ রৌদ্র।
কেউ
যেন আসবে তাই... ছায়াকে ঠেলছে রোদ
রোদ্দুরে ছায়ার কণ্ঠস্বর...
কথাদিন
অবসিত তারার আকাশে...
এভাবেই
হেরে যেতে যেতে
প্যারাসিটামল পথে
একাকী দাঁড়িয়ে থাকতে হবে...
অ্যালবাম // বসন্তদিন // একাকী ~ ভালো লাগলো
ReplyDelete