অমিত পাটোয়ারীর কবিতা
স্থানীয় সংবাদ
আকাশবাণী কলকাতা
উড়ে বেড়াচ্ছি— কুসুমকুমারী দাশ।
খুঁড়ে নেওয়া বেআইনী বালির ওপর ভালোবাসা
স্থাপন ক’রছে দু’টো নেড়ি,
প্রোমোটারের বর্ষাতি থেকে টুপটুপ ক’রে ঝরে পড়ছে
মারীচ সংবাদ,
তুলসীতলায় হিসু ক’রে গ্যাছে
ছায়াছবির পেলব ডাইনি।
মগরাহাটের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে দুইজন দাঁড়া-কবির
অপমৃত্যু। একজন গুরুতর জখম
রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী রাতারাতি কুমির হয়ে
গ্যাছেন।
গত দশ বছরে দেশে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি
অনুমান, আগামী দশ বছরও
জয়সলমীর পদ্মশ্রী পাবে।
মাঝ-সমুদ্রের মাঝিদের গান গাওয়ার ব্যাপারে
সাবধান করা হচ্ছে
নকল ডানার পরিষেবা এখন এ পর্যন্তই
পরবর্তী ট্রাম চলবে একটু পরেই
দুস্মন্ত আসলে
দুস্মন্ত আসলে একজন পার্ভার্ট
তুমি ভেড়ির পাশে এসে ব’সলে—
অঙ্ক ক’ষে প্রমাণ ক’রে দিলাম
সরস্বতী
হাত তুলেছিলেন কবির মাথা থেকে
সামান্য পুঁটিমাছ নিয়ে চ’লে যাচ্ছো।
যে তোমাকে বিয়ে করলো না,
বছর পাঁচেক পরেও স্ত্রী-সন্তানসহ এসে
সে ব’লবে একই কথা—
সরস্বতী
হাত তুলেছিলেন কবির মাথা থেকে
কারণ
দুস্মন্ত আসলে একজন পার্ভার্ট
৮ই মে-এর লেখা
রাত্রিবেলা কবিতা লিখি ব’লে নাহিদের কথা
আমি কিছুই লিখি না
ভোরবেলা ব্রাশ ক’রি না
লিখব!
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে, সবকিছু ধুয়েটুয়ে
আমি লিখতাম,
চোখ বুজিস না নাহিদ, চোখ খুলে গা—
কান থেকে সরিয়ে নে হাত
নাগাসাকির পর ভগবান ম’রে গিয়েছেন
আর নন্দীগ্রামের পর রবীন্দ্রনাথ।
নাহিদের গেঁড়ে বাচ্চাটাকে
একটা চব্বিশ-কালার অয়েল প্যাস্টেল কিনে দিয়েছি
ওর জন্মদিন আট’ই মে
কখনো পঁচিশে বৈশাখ পড়ে, কখনো পড়ে না।
No comments:
Post a Comment